Friday, July 23, 2010

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি-মাওবাদি অত্যাচার থেকে এখন মুক্তি চাইছে আদিবাসিরা



ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়াটাই নিয়ম।
আর যদি ভুল আদর্শবাদের পথে লোককে ঠেলে, তাদের ক্রমাগত পাঁঠাবলি দেওয়া হতে থাকে, এবং এটাই যদি কমিনিজমের সর্বত্র ইতিহাস হয়-তাহলে বলতেই হবে জঙ্গল মহলে মেয়েরা যেভাবে "জনগণের কমিটি" ( যা এখন প্রকাশ্যেই মাওবাদিদের একটি উইং হিসাবে কাজ করছে) এর বিরুদ্ধে একসাথে রুখে দাঁড়িয়েছে-তাতে এটা পরিস্কার মাওবাদিদের পায়ের তলার ভিত নড়ে গেছে। আর যত সেই ভিত নড়ছে-ততই তাদের অত্যাচার বাড়ছে।

১৯১৮-১৯ সালে রাশিয়ার ইতিহাসে ঠিক একই ঘটনা ঘটে। অনেক আশা জাগিয়ে ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে নির্বাচিত এসেম্বলিকে রেড আর্মির বন্দুকের নলের সামনে ভেঙে শ্রমিক শ্রেনীর প্রতিনিধি বলে দাবী করে লেনিনের বলশেভিক গুন্ডা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। কিন্ত সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ১৯১৮ সালে শুরু হয় লাল সন্ত্রাস বা বলশেভিকদের গুন্ডামো। যেসব শ্রমিকরা এক সময় বলশেভিক পার্টি বা লেনিনকে সমর্থন করেছিল-তারাই রাশিয়ার সর্বত্র বলশেভিক পার্টির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে। তারা ভেবে ছিল লেনিন শ্রমিক কৃষকের উদ্ধার কর্ত্তা-তারা ভাবে নি ক্ষমতায় গেলে সবাই হয় রাবণ। আর লাল বিপ্লবীরা ক্ষমতা পেলে তারা হয় দশাণন। কিন্ত তখন সেনা বাহিনী ছিল লেনিনের হাতে। ৫০০,০০০ শ্রমিক কৃষককে হত্যা করে লেনিন ক্ষমতা অটুট রাখেন।

কিন্ত জঙ্গল মহলে ত আর মাওবাদি দের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নেই। এখানে মাওরা খুন করলে, আধাসেনা বাহিনীর কাছে খবর পৌছে দিলে, মাওরা মার খাবেও। গত দুই বছরে মাওবাদিদের হাতে বন্দীত্ব আদিবাসিদের কাছে খুব সুখকর হয় নি। তারা ধীরে হলেও বুঝেছে জলে মাওবাদি, ডাঙায় পুলিশ-এই অবস্থায় তাদের জীবনটাই নষ্ট হতে চলেছে। মাও কিবা সরকার-কেওই তাদের বন্ধু না-সবার কাছেই তারা দাবার বোরে। তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে মাওবাদিরা গুলি মারবে-আর সরকার পেটে বসাবে।

এইভাবে কমিনিউস্ট গুন্ডা বাহিনী নামিয়ে আদিবাসিদের উন্নতির কোন আন্দোলন করা সম্ভব না আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি। শত্রু যখন শক্তিশালী, অহিংস আন্দোলনের কোন বিকল্প সেদিন ও ছিল না। আজ ও নেই। প্রশ্ন উঠবে যারা আহিংস পথ নিয়েছিলেন-যেমন হিমাংশু কুমার বা ডঃ বিনায়ক সেন-তাদের ওপর পুলিশী অত্যাচার নেমে এসেছে। আমার পালটা প্রশ্ন হল গান্ধীবাদিরা কি বৃটিশ পুলিশের লাঠি খান নি , না বৃটিশদের জেলে যান নি? ইতিহাস সেই বৃটিশ দের মনে রেখেছে-না মাতঙ্গিনী হাজরাকে মনে রেখেছে? পুলিশ হিংসাত্মক হলেই হিংসার পথ নিতে হবে? তাহলে ত অহিংসার দর্শনেরই পরাজয়। শত্রুকে তার ভুল বোঝানোই আসল গান্ধীবাদ-আর শত্রু তার ভুলের মধ্যে দিয়েই সেটা বুঝবে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে আদিবাসিদের শত্রু আমরা। সভ্য বাঙালী বা ভারতীয়রা। সেই বোধটা বা সংবেদনশীলতাই যখন ভারতবাসীদের মধ্যে জাগরুক না-তখন মাওবাদিদের খুনোখুনি আদিবাসীদের কোন সমস্যার সমাধান করবে? এটাত সরল সমীকরন। আদিবাসীদের ঢাল করে কিছু রোম্যান্টিক বিপ্লবী ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। আদিবাসীরা আর বেশীদিন বোরে হতে চাইবে না। সেই সময় আজ আগত।

Wednesday, July 21, 2010

বঙ্গ সম্মেলন ২০১০ -বাঙালী আর কবে শিখবে?




(১)
আমি আমেরিকাতে এসেছি ২০০১ এর জানুয়ারীতে-নাসডাক যখন হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করে সেই বছর এসেই বঙ্গ সম্মেলনে গিয়েছিলাম-বস্টনের লাওয়েলে আসলে বঙ্গ সম্মেলন নিয়ে আনন্দবাজার আগে এত হাইপ মার্কেটিং করেছে -বলাযায় একগাদা প্রত্যাশা নিয়েই গিয়েছিলাম বস্টনে তখন উদ্যোক্তাদের টাকা ছিল না-কনভেনশন সেন্টার ভাড়া করার বাজেট তাদের ছিল না হাইস্কুল ভাড়া করে বঙ্গ সম্মেলন হত পাত পেড়ে মাছ ভাত শুক্ত খায়িয়েছিল খারাপ লাগে নি তখন কোলকাতা থেকে হাতে গোনা কয়েকটা গয়না বা শাড়ির স্টল বসত

(২)

এরপর দীর্ঘদিন বঙ্গ সম্মেলনে যাওয়া হয়ে ওঠে নি-২০০৮ সালে টরেন্টো বঙ্গ সম্মেলনে বহুদিন বাদে গেছি। সেখানে বেশ অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। খাবার দাবার কিছু ছিল না। আমার এক কাকাশশুরের বাড়ি থেকে যাতায়াত করছিলাম। শুক্রবারে ওপেনিং সেরিমনির দিনে রাত আটতেই খাবার শেষ। নচিকেতা, বিপ্লব সহ অনেক কেই স্থানীয় টরেন্টোবাসিরা খায়িয়েছিল। মির শেষমেশ খিদের চোটে আমাকেই বলেই দিল-এটা কি ধরনের সম্মেলন দাদা? উদ্যোক্তাদের ধারে কাছে পাওয়া যায় নি। বোধ হয় গণ ধোলাই এর ভয়ে কেওই আর নিজেদের টরেন্টো সম্মেলনের উদ্যোক্তা বলে পরিচয় দেয় নি। এই কেলেঙ্কারী থেকে বে এরিয়ার বাঙালীরা শিক্ষা নিয়ে ২০০৯ সালে আবার খাবারের বন্দোবস্ত ভাল ছিল বলেই শুনেছি। কারন উদ্যোক্তারা
কিচেন নিয়ে যত্ন নিয়েছিলেন।

২০১০ সালে আটলান্টিক সিটিতে আবার টরেন্টোর স্মৃতি ফিরে এল। ক্যাটারিং এর দ্বায়িত্বে ছিল শাওনাওয়াজ বলে এক পাকিস্থানি দোকান। তাদের যঘন্য ডিমের কারি খেয়ে বাঙালীর উৎসবের আমেজ আর মেজাজটাই এবার দফারফা হয়েছে। বাঙালী খাবার ছারা কি করে বঙ্গোৎসব হয়? সেটা গোটা পৃথিবীর বাঙালী বুঝলেও উদ্যোক্তা বাঙালী বোঝে না-কারনা তাদের দৃষ্টি কি করে সেই খাবারের দোকানীর কাছ থেকে মোটা স্পনসর পাওয়া যায়! কেন সেই স্পনসর লাগে, কোথায় সেই টাকা যায়-সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কারন যে বঙ্গ সম্মেলনে অভিজিতের মতন বলিউডি গায়করা গাইবেন-আর শুভমিতার মতন শিল্পীদের পাত্তা নেই-সেখানে অভিজিতের হিন্দি গান শোনার বিল মেটাতে বাঙালীকে কেন অখাদ্য পাকিস্থানী খাবার খেতে হবে ঐ দুই দিন-সেটা আমার সাধারন বুদ্ধিতে বোধগম্য না।


(৩)
অনুষ্ঠান নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করল ক্যাকটাস নামে কোন এক কোলকাতার নৃত্যগোষ্ঠী। কেমন করেছে? দু একটা স্যাম্পল এখানেই দেখুন। তাদের নাচের সমালোচনা করছি না-কিন্ত যেমন খুশী তেমন নাচ বা গরুর লেজে রঙ দিয়ে কেও ছবি আঁকলে যে এবশট্রাক্ট আর্ট হয়-সেটা কারুর কারুর ওপর অত্যাচার ও হতে পারে। আমি ১৫ মিনিট দেখেই উঠে গেছি। খুব পরিস্কার ভাবে উদ্যোক্তারা দ্বায়িত্ব দিয়েই খালাস ছিলেন-কেও দেখেনি আসলে হচ্ছে টা কি। ক্যাকটাস তাও নাচতে পারে-যারা বিদায়ী অনুষ্ঠান করল-ভারতীয় আর জাপানী নৃত্যের কোলাজ করে-সেটাত আরো ভয়াবহ। ওই গ্রুপের নৃত্যশিল্পীদের চেয়ে যেকোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা এখানে ভাল নাচে। উৎপল ফকিরের গান খুব ভাল লেগেছে।
অনীক অনেক উন্নতি করেছে দেখলাম। আমি অধিকাংশ সময় ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের স্টলে থাকায়-বাকী অনুষ্ঠান খুব বেশী দেখিনি-তবে অভিজিত অসহ্য লেগেছে। উপস্থাপনা সেই গ্রাম্য বোকা বোকা ভাঁড়ামো। ন্যাশভিলের স্থানীয় বঙ্গ সম্মেলনে পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন আনন্দবাজারের সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য্য। দারুন লেগেছে আমার। কারন প্রতিটা শিল্পীকে খুব ভালভাবে চেনেন গৌতমবাবু। সেইতুলনায় বঙ্গ সম্মেলনের উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছিল-নদীয়ার মফঃশহরে বসে শীতকালের টলিউড নাইট দেখছি!

(৪)

বঙ্গ সম্মেলনে গানকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়-সিনেমা বা নাটক দারুন ভাবে অবহেলিত। মূলত ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের অনুষ্ঠানগুলি কভার করছিলাম বলে সিনেমার দিকটাতেই ছিলাম। সিনেমাকে যেভাবে দুয়োরাণী করে রাখা হয়েছিল-তাতে কোলকাতা থেকে আগত ফিল্মস্টারদের অনেকেই অপমানিত বোধ করেছেন। অরিজিত খুব ভদ্রভাবেই
উদ্যোক্তাদের কাছে সাজেশন রেখেছেন-২০১১ সালে ফিল্ম সেকশনটিকে গুরুত্ব দিতে
বারের সব থেকে বড় স্পনসর ছিল-ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার, যারা সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা আমেরিকাতে হলে দেখাচ্ছে বা আমাজনের মাধ্যমে ডিভিডি বিক্রি করছে। অথচ-চলচ্ছিত্র সেকশনটিকে যেভাবে অন্য হল ঘরে রাখা হয়েছে, তা বাঞ্ছনীয় না। পরেরবার সিনেমা সেকশনটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। মেইন স্টেজে স্থানীয় শিল্পী বেসুরো স্বরে গাইবে-আর একটি পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ২০০ জনের হলে দেওয়া হবে-তা বেশ দৃষ্টিকটু।

(5)

স্পনসর রা বঙ্গ সম্মেলন কোন দিন ই পছন্দ করে নি। কিন্ত আমেরিকান বাঙালী সমাজে এর বিকল্প না থাকায় এত দিন বঙ্গসম্মেলন ছিল রিয়াল এস্টেট মুঘলদের ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। এবার প্রথম বারের মতন ন্যাশভিলে আঞ্চলিক বঙ্গ সম্মেলনের জন্ম হয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম। ন্যাশভিলের আঞ্চলিক বঙ্গসম্মেলন দারুণ সফল। এই ট্রেন্ড চালু থাকলে ২০১২ সাল থেকে বঙ্গ সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের কপালে দুঃখ আছে।

শাড়ি বা গয়নার দোকানীদের বিক্রি ভালোই ছিল। তাদের লোকসান হয় না। কিন্ত রিয়াল এস্টেট কোম্পানী গুলো দেখলাম বেজায় অখুশী। একেত তাদের স্টলের পজিশন ছিল ভেতরে। তারপর বঙ্গ সম্মেলন নতুন বাঙালীদের একদম টানতে পারছে না। রিয়াল এস্টেট আসে নতুন খরিদ্দারের খোঁজে। নতুন বাঙালী আমেরিকাতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ২০০৮ সালের রিশেসনের পর থেকে। ফলে রিয়াল এস্টেটের জন্যে বঙ্গ সম্মেলন আমের আঁটি। তবে গয়না আর শাড়ি বিক্রি বেড়েই চলেছে। ডিভিডি বিক্রিও ভালোই হয়েছে- বই এর নতুন পড়ুয়া নেই। নামী শিল্পীদের ছবির ভালো কাটতি ছিল। মোটামুটি ১৫০০-২০০০ বাঙালী আসে বঙ্গ সম্মেলনে। সব মিলিয়ে ২০০,০০০-৩০০,০০০ ডলারের বেশী কেনা কাটা হয় বলে মনে হয় না। তাও তার সিংহভাগ যায় জুয়েলার্সদের পকেটে। তবে এটাও ঠিক-বঙ্গ সম্মেলন বিশ্বের সব থেকে ধণী বাঙালীদের সম্মেলন।

এবার বিজনেস ফোরাম ভালোই চলেছে। আরো অনেক বেশী বাঙালী ব্যাবসাতে আসছেন-এটা দারূন সুখবর। আরো বেশী বাঙালী ব্যাবসায়ী বঙ্গ সম্মেলনে আসুন। এটাই চাইব।

Thursday, July 8, 2010

Bengali Film industry greets detabazaar in NABC2010



8th July, 2010: Atlantic City, NJ


Members of Bengali Film industry-Arpita, Arijit, Aniruddha (Tony) and Sayan arrived today in Atlantantic City, NJ, venue of North American Bengali Conference 2o10. Databazaar hosts a dinner to celebrate the opening of Bengali Film industry in US market. Aniruddha Roy Choudhuri, celebrated film maker of Antaheen and Ekti tarar khonjer told the audience


that for a long time good Begali Films had market only in Kolkata-now addition of


foreign market would surely surge a new generation of Bengali Films. He also told that he would like to see more experiments with Bengali Films.




DVDs of all the latest Bengali Movies, Ekti Tarar Khonje, Jadi Ekdin, The Japanese Wife, Dwando and Angshumaner Chabi will be available from Databazaar Stall 502 in NABC 2010. Cast and crew from Ekti tarar khonje will be available in the stall to sign the DVDs for you.

Monday, May 24, 2010

Bengali Press Release

দারুন ভালো লাগলো সিনেমাটি দেখে। বিশেষ করে আপনারা, ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের পরিচালক দেবাশিষ রায় এই চমৎকার আইডিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ পাবেন। প্রতিমাসে যদি এমন একটা সিনেমা দেখা যায় তাহলে খুবই ভালো হবে। কারণ পাইরেটেড ডিভিডির বাজে প্রিণ্ট, বাজে সাউণ্ডে সিনেমা দেখে আসলে ঠিক সিনেমার আসল স্বাদটা উপভোগ করা সম্ভব হয়না। আর আজকে এতো দর্শক আগমন এবং সবার সিনেমা দেখা পরবর্তী এই উচ্ছ্বাসই বলে দেয় এমন উদ্যোগে আমেরিকার দর্শকরা সবসময়ই পাশে থাকবে।

মন্তব্যটি করেছিলেন, আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলা চলচ্চিত্র "দ্য জাপানীজ ওয়াইফ" এর প্রিমিয়ার শো শেষ হবার পরে একজন দর্শক। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার নর্থ আমেরিকার দর্শকদের জন্য এখন থেকে ভারতের পাশাপাশি সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো আমেরিকাতেও প্রিমিয়ার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের প্রথম শো ছিলো "দ্য জাপানীজ ওয়াইফ"। সিনেমাটি প্রদর্শন করা হয়, কুইন্স অর্কাড হাই স্কুলের চমৎকার অডিটোরিয়ামে। ভাবনার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়া যায় দর্শকদের কাছ থেকে। কানায় কানায় পরিপূর্ন না হলেও বেশ বড় একটা বাঙ্গালী সমাবেশ হয় সেদিন।

প্রিমিয়ারের শুরুতেই ভিএনএন বাংলার বিপ্লব পাল কথা বলেন ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের পরিচালক দেবাশিষ রায় এবং আমেরিকার বাঙ্গালী এসোসিয়েশন সংস্কৃতি'র সভাপতি মিঃ তপনের সাথে। দেবাশিষ রায় জানান, এতোদিন এইদেশে বাংলা সিনেমা দেখার উপায় কী ছিলো? হয় পাইরেটেড ডিভিডি কিংবা ছবি মনে টুকে রাখা যাতে করে দেশে গেলে সেটা দেখা নেওয়া যায়। এই প্যাচ থেকে দর্শকদের মুক্তিদিতে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি প্রবাসী এই বিপুল সংখ্যক দর্শকদের জন্য বাংলা সিনেমা প্রদর্শনের একটা স্ট্রাকচার তৈরী করতে। যাতে প্রতিমাসে অন্তত দুটো তিনটি সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা দর্শকদের দেখানো সম্ভব হয়। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার প্রবাসী বিভিন্ন বাঙ্গালী এসোসিয়েশনের সাথে যোগাযোগ করে অডিটোরিয়াম ভাড়া করে সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া যারা সিনেমা হলে এসে দেখতে পারবেন না, তারা যেন ভালো মানের এবং ভালো সাউন্ডের বাংলা সিনেমা কিনে দেখতে পারেন, তার জন্য এমাজন, নেটফ্লিক্স, বেস্টবে, আইটিউনস সহ প্রায় সকল অনলাইন স্টোরে এ সকল ধরণের সিনেমা রাখার ব্যবস্থাও করছে ডেটাবাজার।


ওয়াশিংটনের সকল চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য ডেটাবাজার বাঙ্গালী এসোশিয়েশন সংস্কৃতি'র সাথে সম্পর্কবদ্ধ হয়েছে। এই প্রসংগে সংস্কৃতির সভাপতি তপন জানান, সংস্কৃতি প্রায় চল্লিশ বছর বয়স্ক সংগঠন। কিন্তু এতোদিনেও তারা এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেননি। বিপ্লব পালের ভিন্ন এক প্রশ্নে তিনি জানান, এই উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বাঙালি কমিউনিটির যার সাথেই কথা বলেছেন সেই খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর দর্শকদের এই দারুন ফিডব্যাকের কল্যানে সংস্কৃতি এখন থেকে প্রতিমাসেই অন্তত দুটি থেকে তিনটি ছবি এইভাবে উইকএণ্ডে দেখানোর ব্যবস্থা করবে।

Wednesday, April 14, 2010

News uploading instruction

Then this is how you fill up the form

Headline--> give any title of news/article

By line--> Your name or the author of the article

Tags--> browse words, correct tag for the news

Picture:
browse a pic that is right for the news/article

Filed by: Your name

Summery: Summary of the news in 1-2 lines

Enter a link: This is optional. If your news needs to be pasted from a email, then paste that news in enter story--- don't need this then
But if you need to paste URL of news or blog, or if you are cross linking the news then give URL of that news here.

If the news is Youtube:
enter the link this
http://www.youtube.com/watch?v=gWysgJINbA4&feature=popular

>>>
http://www.youtube.com/watch/v/gWysgJINbA4&feature=popular

Upload a file : This is optional. If you are uploading a audio-file you will need it.
Enter story : Copy and paste your blog here, if you do not want to link it-this is optional..and do not need it when URL is given or youtube video is link

Then click publish-and it is published!!!!


If you make a mistake, then just delete the news by hitting right hand top button.. assetid is the number in the URL link of the published news..for example for link of the news
http://www.vnnbangla.com/newsreader.aspx?id=144
you need to give 144 in delete and hit delete.
In short it is news aggregation system in all forms-mainstream, blog-all kinds of news can be accomodated here.
Please keep uploading and linking your latest news/blogs/videos...

Friday, April 9, 2010

ITunes এ প্রথম বাংলা সিনেমা ঃ দ্বন্দ ইতিহাস তৈরী করল

অনেকেই ভাবছেন আই টিউনে বাংলা সিনেমা "দ্বন্দ" রেন্টে বা ডাউনলোড হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে-এই ঘটনাকে কেন আমি ঐতিহাসিক বলছি? টরেন্ট সহ নানান ডাউনলোড সাইটে অমন শত শত বাংলা সিনেমা বেআইনি ভাবে ডাউনলোড করা যায়!

এতে নতুনত্বটা কি?

এটা বুঝতে আমাকে ভিডীও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আই টিউন সাইটের মালিক আপলকে নিয়ে কিছু লিখতে হয়। আই ফোন বা আই পডের দৌলতে আপনার সবাই আপল কোম্পানীর নাম অবশ্যই শুনেছেন। আপল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উদ্ভাবক কোম্পানী হিসাবে গত তিন বছর ধরে প্রথম স্থানে। এরাই প্রথম হাই ডেফিনিশন ভিডিওর জনক-যা তাদের H-264 কোডেকের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে জন্ম নিয়েছিল আজ থেকে ছয় বছর আগে। কোডেক হচ্ছে কিছু গণিতিক এলগোরিদম যা দিয়ে ভিডীও ফাইলকে কম্প্রেস করে ছোট করা হয়। যেমন ধরুন একটা ১ঘন্টার সিনেমা হাই ডেফিনিশনে শুটিং করলে, তার ফাইল সাইজ দাঁড়াবে ১২ টেরাবাইটের ওপরে ( এক টেরাবাইট মানে ১০০০ গিগাবাইট)। ৩৫ মিলিমিটারের ফিল্ম থেকে ডিজিটাল মাস্টার ( ডিজি বিটা) বানালে, সেটার সাইজ হয় ১০০ গিগাবাইট। এবার সেটা দিয়ে না ডিভিডি হবে, না কেও ডাউনলোড করতে পারবে। কারন ডিভিডি তে ২-৮ গিগাবাইট আঁটে। ফলে অনেক গণিত কষে সেই ফাইলকে ছোট করে দেওয়া হয়, যাতে ভিডিওর রং, বা মোশন বা রিজল্যুশনের ক্ষতি না হয়। সেই গণিতকে বলে ভিডিও কোডেক-যার কোডেক যত উন্নত তার ভিডিও কোয়ালিটি তত উন্নত।

আই টিউন সাইট থেকে ভিডিও দেখার সাথে অন্য ডাউনলোড বা ডিভিডির পার্থক্য কোথায়?

প্রথমে ডিভিডির কথাতে আসি।ভিসিডি কোডেক কোয়ালিটি হচ্ছে MPEG1 । ডিভিডিতে যে কোডেক চলে তা MPEG2। আর আই টিউন তৈরী হয় H-264 নামে এপেলের কোডেক দিয়ে যা MPEG4 or MP4-অর্থাৎ তা ডিভিডি থেকে অনেকগুন উন্নত। ডিভিডির একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, এগুলো 8-bit encrypted. সেখানে আই টিউনে ৩২ bit বা 64 bit encrypted কোডেক চলে-ফলে ভিডিওর রঙ এবং মোশন অনেক উন্নত। তবে বাংলা সিনেমার ডিজিটাল মাস্টার অত ভাল হয় না-তবুও এই দ্বন্দ সিনেমারই ডিভিডি এবং আই টিউন ফাইলের কোয়ালিটির মধ্যে অনেক পার্থক্য। আই টিউনের ভিডিও দেখে আপনার অনেক বেশী ভাল লাগবে। সেই অর্থে দ্বন্দই হল প্রথম বাংলা সিনেমা যা আপনারা MPEG4 এ দেখতে পাবেন।

আর বে আইনি ডাইনলোড কোয়ালিটি? আমার কিছু বলার নেই। এগুলো ডিভিডি রিপ করে সস্তার WMV-9 কোডেকে করা ভিডিও। এমনিতে ডিভিডি কোয়ালিটিই আহামরি কিছু না-আবার সেটাকে ভেঙে WMV-9 এর মতন মাইক্রোসফটের পুরানো কোডেকের ভিডিও খুবই নিম্নমানের। খারাপ কোয়ালিটির ভিডিও আমাকে বিনা পয়সাতে কেও দেখালেও আমি দেখব না। কারন সেটা আমার কাছে অত্যাচার। তাছারা আই টিউন সাইটে পয়সা দিয়ে বাংলা সিনেমা দেখলে, সেই টাকার ৭০% বাংলা সিনেমা শিল্পে যাবে। যা বাংলার সংস্কৃতিকে উন্নত করবে।

আমি যেটা লিখলাম-সেটা শুধু পড়ে বুঝতে পারবেন না। আপল সাইট থেকে দ্বন্দ রেন্ট করে দেখুন ( এখানে ক্লিক করুন)। তাহলেই পার্থক্যটা খুব ভাল করে বুঝতে পারবেন।

ডেটাবাজারের কর্নাধারন অনি শীল যখন আমাকে ইমেল করে জানালেন, দ্বন্দ আইটিউনে পাওয়া যাচ্ছে-আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার আই টিউন একাউন্ট থেকে দ্বন্দ রেন্ট করে নিলাম। বাংলা সিনেমার জন্যে উনি যা করে দিয়ে গেলেন, ইতিহাসই তার উত্তর দেবে। কারন সমগ্র বিশ্বের সিনেমা এখন আই টিউনে পাওয়া যায়। বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক হতে গেলে আই টিউনে আসতেই হত। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের মাধ্যমে উনি যুগান্তকারী সেই পথটা খুলে দিয়ে গেলেন। তবে বাংলা সিনেমাকে আরো উন্নত করতে হবে। বাংলা সিনেমার ক্যামেরা, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পোষ্টপ্রোডাকশন এখনো বেশ নিম্নমানের।

হয়ত আই টিউনে বাংলা সিনেমাটা যাবে, সেই চাপেই বাংলা সিনেমা এবার উন্নত প্রযুক্তির আঁচল ধরবে।

Tuesday, March 23, 2010

পার্ক স্ট্রীটে আগুন-রেগুলেশন গুলো মানতে কবে শিখব?



সেটা ২০০১ সালের ফ্রেব্রুয়ারী। আমেরিকাতে কাজের দ্বিতীয় দিন। হঠাৎ চারিদিকে ফায়ার সাইরেন। আমি ত সত্যিই আগুন লেগেছে ভেবে দৌড়ে অফিসের বাইরে এলাম। পড়ে শুনলাম ইহারে কয় ফায়ার ড্রিল। ইনস্পেক্টর হঠাৎ করে এসে দেখছেন, বিল্ডিং গুলি রেগুলেশন মেনে চলছে কি না। ফায়ার এলার্ম চলে কি না। এমার্জেন্সি এক্সিট গুলো খোলে কি না। বছরে দুবার প্রতিটা অফিস বিলডিং এই ভাবে চেক করা হয়।


কলকাতার বাড়ি-অফিসগুলোর এমন দূরাবস্থা-আগুন কেন লাগল-তার চেয়ে, আগুন কেন রোজ লাগে না, সেটা ভেবেই আশ্চর্য্য হই বেশী। যে কোন অফিস একটু পুরানো মানেই তার প্রতিটা তলে স্টোভ জ্বেলে রান্না, ইলেকট্রিকের ওপনে পুরানো তার ছড়াছরি চারিদিকে। কোলকাতা মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা আদৌ কোন দিন কোন আফিসে গিয়ে ফায়ার ড্রিল করেন বলে শুনি নি। অথচ এটা পৃথিবীর সর্বত্রই নিয়ম।


এমন জতুর্গৃহের জন্যে যে ফায়ার বিগ্রেড থাকে তাদের কি অবস্থা?


আগুন লেগেছিল ১-১৫ তে। ফায়ার বিগ্রেড সাথে সাথেই খবর পেয়েছে-মাত্র ৫ মিনিট দূরে তাদের অফিস। তাও তাদের কাজ শুরু করতে করতে ২টো বেজেছে। সঙ্গে আধুনিক মই ও ছিল না। ফলে ৪ জন ঝাঁপিয়ে মারা গেছে। আধুনিক ফায়ার বিগ্রেড থাকলে, মূল্যবান প্রাণগুলি বেঁচে যেতে পারত।


আসলে পশ্চিম বঙ্গের বর্তমান বামফ্রন্ট সরকার এতটাই অপদার্থ এদের গালাগাল দিতেও করুণা হয়। ফায়ার বিগ্রেডের আধুনীকরনের টাকা ফিরে যায়-মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা সম্ভবত অফিসেই আসেন না। আমেরিকা ইরাকে একটা কাক মারলে এরা বিগ্রেডে মিছিল ডাকে-আর সেই যে মূল্যবান প্রানগুলো হারালো-এদের জন্যে আবার ইহা হইয়া থাকে বা কমিটি বসিয়েই দ্বায়িত্ব সারবে। আর আমাদের বিরোধী নেত্রী ঘটনা স্থলে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক কিছু করেছেন। সেই জন্যে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে খাটো করব না-কিন্ত সিস্টমে কি ঘুন ধরেছে, সেটা নিয়ে ভাবার ক্ষমতা বোধ হয়, তার পার্টির ও নেই।

Monday, March 22, 2010

দ্বন্দ ঃ বাংলা সিনেমাতে মস্কো আর্ট থিয়েটারের স্বাদ



সিনেমাটা এই মাত্র দেখে উঠলাম। আমাজন থেকে কিনে ছিলাম-এই প্রথম কোন বাংলা সিনেমার নতুন রিলিজের একটা অথেন্টিক ডিভিডি আমেরিকাতে বসেই দেখতে পাচ্ছি-এটা ভেবেই আমি উদ্বেলিত!

যেকোন ভাল সিনেমা দেখার সব থেকে বড় প্রাপ্তি "রেশ"-বিরিয়ানির স্বাদটা মনের তন্ত্রে কতটা নাড়া দিল। স্বাদের সেই রেশটা মনে কি দাগ কেটে গেল! সেটাই পাওনা। দেখেই মনে হলে চেকভের কোন নাটক দেখে উঠলাম-নিট একটা দুর্দান্ত ছোটগল্প। হইয়াও হইলোনা শেষ স্টাইলের ফিনিস-মস্কো আর্ট থিয়েটারের পরিবেশনা-আর স্ট্যানিজলাভস্কির অভিনয় ঘরানার জাদুকর সৌমিত্রের " রাউন্ড টেবল" বিশ্লেষন। অভিনেতার আবেগ সেখানে বিমূর্ত-ডিটাচড-কিন্ত অবজেক্টিভ। লি ট্রাসবার্গ বা রবার্ট লুইসের থেকেও আমার দ্বন্দের সৌমিত্রকে আরো বেশী ভাল লাগল-বিশেষত এরা সবাই স্ট্যানিজলাভস্কির মন্ত্রশিষ্য। অন্যন্যাও এই দৃশ্যে সত্যই সৌমিত্রের সমকক্ষ-শুধু একটাই আক্ষেপ। অন্তিম দৃশ্যে পরিচালক অনন্যার ক্লোজ আপ শট বেশী নেন নি-মানসিক দ্বন্দের জন্যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজেরই আশ্রয় নিয়েছেন বেশী। আমার মনে হয়েছে অন্যন্যার মুখাভিনয়টা বেশ শক্তিশালি-সেটা পরিচালক অন্তিম দৃশ্যে আরেকটু বেশী ব্যাবহার করতে পারতেন।

স্ক্রিপ্ট বেশ স্মার্ট-প্রথম দিকে একটু শ্লো। ধ্রুপদী সঙ্গীতের মতন গল্পের বিবর্তন এবং বিস্তার। শেষের দিকের চিত্রনাট্য শুধু স্মার্ট না ব্রিলিয়ান্ট ও বটে। তবে এই ধরনের সিনেমার সংলাপে আরো বেশী শৈল্পিক সংঘাতের দরকার-যা শেষ দৃশ্যে পূরণ হয়েছে। প্রথমের দিকের স্ক্রিপ্টটা আরো উন্নত করা যেত।

সৌমিত্র, অনন্যার পরে সিনেমাটার সব থেকে বড় পাওনা ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের অসাধারন ব্যাবহার। মৌয়ুখ ভৌমিকের দক্ষতা প্রশ্নাতীত-আর সেই জন্যেই সিনেমটার কিছু কিছু অংশে মেট্রোপলিটান অপেরার স্বাদ। যা বাংলা সিনেমায় কিছুটা অভিনব স্বাদ-একটা নতুন বাতাস। তবে পাশ্চাত্য ধ্রুপদের ব্যাবহারে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছি না-কিছু কিছ ক্ষেত্রে সাউন্ড লেভেল মিক্সিং বেশ দুর্বল।

এর পরে লাখ টাকার প্রশ্ন-দ্বন্দ আন্তর্জাতিক মানে কোথায়? বাংলা যেসব সিনেমা দেখি-তার থেকে অনেক ভাল-সেত সন্দেহ নেই। কিন্ত আন্তর্জাতিক মানে এটাকে কোথায় রাখব? আমি নিজে ফেলিনি, কুরোসোয়া, চেন কাইজের ভক্ত। সৌমিত্র অনন্যার অভিনয়, নেপথ্য সঙ্গীত বা গল্পটা সত্যই সেই প্রত্যাশা পূরন করেছে। কিন্ত ক্যামেরার কাজ আরো ভাল করতে হবে। ডায়ালোগে আরো বেশী সাহিত্যিক গভীরতা এবং শিল্প চাই। সিনেমাটোগ্রাফিও অনেক অনেক ভাল করা দরকার। বাংলা ফিল্প ইন্ডাস্ট্রি অবশ্যই এটা পারে-যদি সিনেমাতে টাকা ঢালা যায়। ঘি না ঢাললে ত আর বিরিয়ানি তৈরী হয় না।

এই জন্যেই আমি আন্তরিক ভাবে চাইছি ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের উদ্দেশ্য যে বাংলা সিনেমার আন্তর্জাতিক বাজার -সেটা সফল হৌক। পশ্চিম বঙ্গের বাইরে থাকা ৫ মিলিয়ান বাঙালীর কাছে বাংলা সিনেমা পৌছে দিতে পারলে, এই ধরনের উন্নত আন্তর্জাতিক মানের বাংলা সিনেমা তৈরী করা সম্ভব। কুরোসোয়া বা ফেলিনির সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শক, তাদের দেশের দর্শকের থেকে অনেক বেশী। সৌমিত্র, অনন্যার মতন অভিনেতা অভিনেত্রী বা সুমন বাবুর মতন পরিচালকরা থাকতে সেটা হবে না কেন? ক্যাশ ফ্লো এলে অবশ্যই হবে।

দ্বন্দ সেই আশাটাই জাগিয়ে রাখল।

Tuesday, March 16, 2010

হলিউডের বাঙালী অভিনেতা সম্রাট চক্রবর্ত্তী বাংলা সিনেমা নিয়ে কি ভাবছেন?

সম্রাট চক্রবর্তী- নামটি খুব বাঙালি শোনালেও তিনি আসলে একজন হলিউড অভিনেতা। তিনি অ্যামেরিকান রিপার্টরি থিয়েটার এবং মস্কো আর্ট থিয়েটার স্কুল থেকে অভিনয়ে স্নাতক হয়েছেন। অভিনয় করেছেন 'ল অ্যান্ড অর্ডার', 'সপরানো' এবং এমন আরও অনেক বিখ্যাত মার্কিন টিভি প্রোডাকশনে। এছাড়া তিনি 'দ্য বং কানেকশন' ও 'পিয়ালির পাসওয়ার্ড' এর মত বাংলা সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।





১৬ই মার্চ তার নতুন সিনেমা 'দ্বন্দ্ব' পুরো উত্তর অ্যামেরিকার হোম এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেটে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স ও ব্লকবাস্টারের মাধ্যমে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। 'দ্বন্দ্ব' ১৬ই মার্চ ইতিহাস তৈরি করবে। এমনকি এটি প্রথম বাংলা সিনেমা যা একইসাথে ভারত এবং উত্তর অ্যামেরিকার মার্কেটে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার-এর কারণে যারা উত্তর অ্যামেরিকায় 'ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো' তে বাংলা সিনেমা সরবরাহ করে। উত্তর অ্যামেরিকায় থেকে এভাবে বাংলা মুভি দেখতে পারা সত্যিই বিস্ময়কর, কারণ এখানে বাংলা ছবি মুক্তি পায় না।





বিপ্লব: তো সম্রাট, ভিএনএন রেডিও তে স্বাগতম।





সম্রাট: আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ, বিপ্লব।





বিপ্লব: আপনার ক্যারিয়ারটা খুবই আন্তর্জাতিক। এই বয়সে হলিউড, বলিউড, টলিউড সবখানে অভিনয় করতে পারাটা সত্যিই বিস্ময়কর। তো এ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাটা কি আমাদের একটু বলবেন? আপনার তুলনামূলক অভিজ্ঞতাটা কেমন?





সম্রাট: প্রথমেই বলতে চাই ছোটবেলা থেকেই যাদের ছবি দেখে এসেছি, যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের সাথে কাজ করতে পারায় আমি নিজেকে সম্মানিত ও ভাগ্যবান মনে করি। আমি বড় হয়েছি অ্যামেরিকার ম্যাসাচুসেটস এর বস্টনে। বাবা-মা কে অনেক ধন্যবাদ যে তারা আমাকে ছোটবেলায়ই বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ৮ বছর বয়সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ও কবিতার সাথে আমার খুব ভাল পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার সাথেও সেই সূত্রে পরিচয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ছেলেপেলে বড় হয় টেলিভিশনে ককেশিয়ান অভিনেতাদের দেখতে দেখতে, ই.টি. এবং স্টার ওয়ারস এর মত সিনেমার সাথে পরিচয় ঘটে- আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। একদিন আমার মা অমিতাভ বচ্চনের 'নমক হালাল' নামে একটা সিনেমা ভাড়া করে নিয়ে আসে। এটাই আমার দেখা প্রথম বচ্চন সিনেমা এবং এটা দেখেই আমার মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছিল। তরুণ অমিতাভ বচ্চন, বড় পর্দায় এতো সুন্দর সুন্দর গান, সেই প্রথম বড় পর্দায় এমন শক্তিশালী কোন ভারতীয় চরিত্র দেখা। সেটা ছিল বিস্ময়কর, আমাকে আরও ভারতীয় সিনেমা দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল। পরবর্তীতে অনেক ভারতীয় সিনেমা দেখেছি, যেমন সত্যজিৎ রায়ের অপু ত্রয়ী। এভাবেই আমার মাঝে সিনেমার অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা জেগে উঠে।ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে আমি স্পাইক লি-র মত পরিচালকদের সাথে কাজ করতে পেরেছি যিনি "ডু দ্য রাইট থিং" এর মত বিখ্যাত সিনেমা করেছেন। এটা আসলেই খুব বিস্ময়কর এবং অনেকটা একই রকম। ইন্ডাস্ট্রির কথা আসলে আপনি হয়তো বলিউড, টলিউড বা হলিউড বলবেন, কিন্তু আমি বরং বলিউডকে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং টলিউডকে বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নামে ডাকব কারণ এগুলো ইনডাস্ট্রি হতে চায় ব্যাপারটা এমন না, এরা সবাই স্বয়ংসম্পূর্ণ ইন্ডাস্ট্রি। বলিউড তথা ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তো অনেকদিন ধরে সিনেমা বানিয়ে আসছে। এমনকি এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেকদিন থেকেই এটা সর্ববৃহৎ ছিল কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে।তবে আমি আবারও বলছি, ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং হলিউড অনেকটা একই রকম। আমি যেমন স্পাইক লি-র সাথে কাজ করতে পেরেছি যা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়, তার করা "শি হেইট মি" সিনেমায় কাজ করেছি। তেমনি আবার অমিতাভ বচ্চনের সাথে কাজ করে ধন্য হয়েছি। বচ্চন ইয়াশ রাজ ফিল্মস এর ব্যানারে সিলসিলা করেছিলেন। সম্প্রতি ইয়াশ রাজ এর ব্যানারে হওয়া নিউ ইয়র্ক সিনেমায় আমি তার সাথে কাজ করতে পেরেছি। এটি আমার জন্য এক বিশাল উপহার ছিল এবং এর অংশ হতে পেরে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। আবার সম্প্রতি টলিউড তথা বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করাটাও অন্যরকম অভিজ্ঞতা দিয়েছে। অনেক বছর ধরেই আমি সৌমিত্র চ্যাটার্জির গুণমুগ্ধ, 'অপুর সংসার' দেখার পর থেকেই। দ্বন্দ্ব সিনেমায় তিনি আছেন, বং কানেকশনেও ছিলেন।কিন্তু দ্বন্দ্বের অভিজ্ঞতা খুব মনে পড়ছে। এমনকি সিনেমাটা ডাব করার সময় আমি সৌমিত্র্য চ্যাটার্জির সাথেই ছিলাম ডাবিং রুমে। আসলে আমি ডাবিং রুম থেকে বের হচ্ছিলাম আর তিনি ঢুকছিলেন। সে ছিল আমার জন্য খুব স্মরণীয় একটা মুহূর্ত। আমাদের মধ্যে কিছুক্ষণ আলাপ হয়েছিল, তিনি সত্যজিৎ রায়ের 'অরণ্যের দিনরাত্রি' সিনেমার সেটে ঘটা কিছু মজার অভিজ্ঞতা বলেছিলেন আমায়।এই কাজগুলো করতে পারায় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তাছাড়া আমার অভিনয় ক্যারিয়ার আমাকে ভারত পুনরাবিষ্কারে সাহায্য করেছে, আমার বাবা-মা যেদেশ থেকে এসেছেন সেই দেশ পুনরাবিষ্কারে। আমি মেট্রো বা বাসে করে ঘুরতে পারছি এই দেশেরই একটি শহরে, সত্যজিৎ রায় যে স্থানগুলোতে শুটিং করেছিলেন সেগুলো নিজ চোখে দেখতে পারছি। আমার পূর্বপুরুষদের ভূমিতে ঘুরে ফিরতে পারছি। তাই এই তিনটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পেরেই আমি ধন্য। এবং সত্যি বলতে এই তিনটা ইন্ডাস্ট্রিই একই মৌলিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, যাদের গুণমুগ্ধ ছিলাম তাদের সাথে কাজ করতে গিয়ে আমাকে যে পথ ধরে এগুতে হয়েছে সবখানেই তা একই ছিল। এবং সকল ক্ষেত্রেই যাত্রাগুলো ছিল চমকপ্রদ।





বিপ্লব: আচ্ছা, এবার দ্বন্দ্বে ফিরে আসি। এখানে আপনার চরিত্রের মাধ্যমে বিবাহবহির্ভূত প্রেম এর সম্পর্ক ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। আপনার এই চরিত্রায়ন কি প্রাকৃতিকভাবেই এসেছে, নাকি নিজের মত করে নতুনভাবে চরিত্রটি তৈরি করেছেন?





সম্রাট: (হাসি) আপনি জানেন যে অভিনেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে একটা গল্প সৎ, বিশ্বাসযোগ্য এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা। আমি অনেক ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছি- ইন্টারোগেটর, প্রেমিক; আর অভিনেতা হিসেবে আমাদের দায়িত্বের একটা বড় অংশ হচ্ছে নিজের আইডিয়া চরিত্রের মধ্যে নিয়ে আসা, নিজেদের মত করে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কিন্তু একই সাথে এটা কল্পনা, সৃজনশীলতা এবং পারষ্পরিক সহযোগিতার অংশ যার সাহায্যে চরিত্রটা তৈরি হয়।





বিপ্লব: চরিত্র রূপায়নে নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আপনি পরিচালক সুমনের কাছ থেকে কতটুকু স্বাধীনতা পেয়েছেন?





সম্রাট: চরিত্রের মধ্যে নিজে থেকে কিছু যোগ করা, কিছু সৃষ্টি করা বা ক্ষেত্রবিশেষে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ সুমন আমাকে দিয়েছে। আমাকে নিজের মত করে কিছু যোগ করতে দেয়ার ক্ষেত্রে সুমনের সুস্পষ্ট দূরদৃষ্টি এবং উদারতা ছিল বিস্ময়কর। আমি মাঝেমধ্যেই কোন একটা লাইন বা কোন একটা মুহূর্ত নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতাম, সে উত্তর দিত ঠিকই কিন্তু আবার বলত যেন আমি নিজে নিজে বিষয়টা ভেবে দেখি, নিজের মত করে। সে আসলে সত্যিকার অর্থেই এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছিল যাতে কাজটা স্বচ্ছন্দে এগিয়ে যেতে পারে। তার সাথে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে, অনেক স্বাধীনতা পেয়েছি; এমন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন পরিচালকের সাথে কাজ করতে পারা এবং সুন্দরী অনন্যা চ্যাটার্জির প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করা, সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার।





বিপ্লব: আচ্ছা এবার অনন্যা চ্যাটার্জির প্রসঙ্গে আসি। তার সাথে কাজ করে কেমন লেগেছে? আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আপনি তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?





সম্রাট: আমি মনে করি অনন্যা খুব শক্তিশালী এবং স্বতঃস্ফূর্ত একজন অভিনেত্রী। এখানে থেকে সে অনেক ভাল কাজ করতে পারবে। তার সাথে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে এবং একই সাথে খুব মজাও পেয়েছি। কারণ সে খুব বিনয়ী, একইসাথে আবার খুব শক্তিশালী। চোখ দেখেই তার গভীর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সে খুব স্বতঃস্ফূর্ত, স্বভাবসিদ্ধ অভিনেত্রীদের মতোই অভিনয় করতে তার খুব একটা শ্রম দিতে হয় না। স্বাধীন, আন্তর্জাতিক বা হলিউড সিনেমায় আমি অনেকের সাথেই অভিনয় করেছি। যেমন 'কিসিং কাজিনস' এ ব্রিটিশ অভিনেত্রী রেবেকা হেজলউড এর সাথে কাজ করেছি। এলিজাবেথ রিজার হলিউড সিনেমা ও টেলিভিশন ফিল্মের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, 'দ্য ওয়েডিং উইকএন্ড' সে আমার কো-স্টার ছিল। সত্যি বলতে অনন্যা তাদের একেবারে সমমানের, মেধা এবং পেশাদারিত্ব সকল দিক দিয়েই।





বিপ্লব: তা জেনে ভাল লাগল। কিন্তু একজন দক্ষিণ এশীয় হিসেবে হলিউডে কাজ করতে গিয়ে কি আপনার কোন অসুবিধা হয় না? কারণ আমার অভিজ্ঞতা বলে, ককেশিয়ান না হলে হলিউডে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুব কষ্টকর। সুতরাং আপনি কি মনে করেন, বলিউড এবং এখন টলিউড যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় অভিনেতাদের জন্য নতুন সুযোগ করে দিচ্ছে?





সম্রাট: হ্যা, আমি মনে করি এটা ধীর প্রক্রিয়া, কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় ও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় অভিনেতাদের জন্য নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। এবং আমি মনে করি দ্বন্দ্বের একই সাথে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স এবং ব্লকবাস্টারের মত সবগুলো চ্যানেলে একই দিনে মুক্তি পাওয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এগিয়ে যেতে হলে এ ধরণের কাজ আরও করতে হবে।অ্যামেরিকায় আমি স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। শিক্ষকরা আমাকে অভিনয় করতে উৎসাহিত করে বলেছেন, ককেশিয়ান না হলেও কোন অসুবিধা নেই, অ্যামেরিকায় আন্তর্জাতিক পরিবেশ রয়েছে। তারপরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয় ককেশিয়ান না হয়ে হলিউডে নাম করা বেশ কষ্টকর। প্রখ্যাত আফ্রিকান-অ্যামেরিকান অভিনেতা সিডনি পোয়াটিয়ে আজ থেকে ৫৫ বছর আগে অস্কার পেয়েছিলেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আর কতজন আফ্রিকান-অ্যামেরিকান সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন? যথেষ্ট নয়। আমি আশাকরি এই ইন্টারনেট সমাজে সবকিছুর গতি যেহেতু আগের চেয়ে বেশি সেহেতু ভারতীয়দের তেমন অবস্থায় আসতে আরও কম সময় লাগবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে আমরা বেশ ধীর গতিতে আগাচ্ছি। আসলে আমাদেরকে আরও সংঘটিত হতে হবে, নিজেদের সম্প্রদায়কে আরও সমর্থন জোগাতে হবে। বৈশ্বিক বাজারে উন্নতি করার একটাই উপায় আছে, পাইরেসি-র মত কাজগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা। এটা আমি আরও একবার বলতে চাই। ডিভিডি-র ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই পাইরেসি বন্ধ করতে হবে।বিপ্লব: আচ্ছা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলা সিনেমাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন এবং বাংলা সিনেমাকে বৈশ্বিক স্কেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার পরামর্শ কী?সম্রাট: একেবারে প্রথম থেকে শুরু করা যাক। সত্যজিৎ রায়ের সময়টাতে বাংলা সিনেমা যে শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে তাকে ছাড়িয়েও গেছে। এমনকি রায়ের "অপু ত্রয়ী" সেই সময়ই সব আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছে। আমি মনে করি, বর্তমানে তেমন পর্যায়ে পৌঁছানোর উপকরণ সবই আছে। কিন্তু আসল বিষয় হচ্ছে গল্প এবং নির্মাণ কৌশলের দিক দিয়ে উঁচু মান বজায় রাখা এবং সেটা ভালভাবে প্রকাশ করা।সুমন ঘোষের 'দ্বন্দ্ব'-এ নির্মাণ এর মান এবং গল্প খুবই সুন্দর। এতে রয়েছে বরুন মুখার্জির চমৎকার চিত্রগ্রহণ এবং ময়ূখ ভৌমিকের অনন্যসাধারণ সঙ্গীত যার সবই আন্তর্জাতিক মানের। তাই বলা যায় বাংলা সিনেমা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর মত অবস্থায়ই রয়েছে, এখন কেবল দরকার চলচ্চিত্র সম্প্রদায়টিকে সমর্থন জোগানো। এবং আবারও বলছি, সেটা পাইরেসির মাধ্যমে নয়, সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে করতে হবে।বৈশ্বিক ভারতীয় হিসেবে আমাদেরকে কম দামে পাইরেটেড ডিভিডি কেনা বা ভাড়া করা বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি ডিভিডির মূল কপি না কিনে পাইরেটেড কপি কিনে তাহলে নির্মাতা অর্থ হারায়। আর যথেষ্ট আয় করতে না পারলে নির্মাতারা নতুন মানসম্পন্ন সিনেমা বানাতে পারেন না।





বিপ্লব: আমি মনে করি বর্তমানে পাইরেসির চেয়ে ভয়ংকর জিনিস হচ্ছে টরেন্ট। কারণ বিট টরেন্টের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার থেকে খুব সহজেই যেকোন কিছু পাওয়া যায়।





সম্রাট: ঠিক তাই। সুতরাং আমি মনে করি যদি আমরা সুমন ঘোষ, ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন এর মত চলচ্চিত্রকারদের সিনেমার মূল কপি কে সাপোর্ট করি তাহলে বাংলা বা ভারতীয় সিনেমা বৈশ্বিক মার্কেটে আরও এগিয়ে যেতে পারবে।





বিপ্লব: আমার শেষ প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?





সম্রাট: আমার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা খুবই সরল। আমি অভিনেতা হিসেবে সিনেমার মাধ্যমে গল্প বলে যেতে চাই, বিশেষ করে এমন সব গল্প বলতে চাই যার সাথে বর্তমান সমাজের সম্পর্ক রয়েছে। তা সে হলিউড, ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন। আমার কাছে সিনেমা একটি সর্বজনীন ভাষা। এটা বাংলা বা হিন্দি বা এমনকি ইংরেজিরও উর্ধ্বে। একটি নির্বাক চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও সবকিছু প্রকাশ করা সম্ভব। আমি অভিনেতা হিসেবে এভাবে গল্প বলে যেতে চাই তা সে এলএ, নিউ ইয়র্ক, বোম্বে বা কলকাতা যেখানেই হোক।

Monday, March 15, 2010

As an actor, my job is to tell a story, in a truthful, believable and in an interesting way-Samrat Chakrabarti on his latest release "Dwando"

advertisement



[Radio Interview is available in this Link]

Samrat Chakrabarty-the name may sound very Bengali to you-but he is indeed a Hollywood actor. He graduated in acting from American Repertory Theater and Moscow Arts Theater School . His film credit includes famous US TV
productions like "Law and order", "Sorpanos" and many more. He also acted in the Bengali movies like Bong connection, Piyalir password.

On 16th March, His latest Bengali movie Dwando will be released all over North American home entertainment market through Netflix, Amazon and Blockbluster. Dwando will create a history on 16th march-indeed it will be the first ever Bengali movie which will be released in the
North American market concurrently with India. This has all been possible thanks to Databazaar Media ventures who would distribute Bengali movies in North America
on First day first show. This is quite sensational considering we do not get latest Bengali release in North America.

Biplab: So Samrat welcome to VNN Radio,

Samrat: Thank you for having me, Biplab.

Biplab: You have a truly international film career, you have acted in Hollywood, Bollywood and Tollywood, and it’s really amazing at your age. Can you please share your experience, how you feel about all three industries?

Samrat: I grew up in Boston, Massachusetts, in America, and my parents thankfully gave me an education in many things Bengali, specifically -Rabindranath Tagore, at the age of 8, I was well versed with his music and poetry. In the US, I grew up watching mostly Caucasian actors on television and films. Movies like ET and Star Wars, is what I grew up on. Then at some point, my mother rented a Hindi film called “Namak Halal”, starring a young Amitabh Bachchan. It really changed my life. All of a sudden I saw on the big screen, someone who was Indian with a substantial role. And that inspired me to watch more Indian cinema, films like Satyajit Ray’s Apu’s Trilogy, and ultimately planted the dream of one day becoming a screen actor.

As far these three “Industries” (Hollywood, Bollywood and Tollywood) are concerned, I find many similarities in them. But first off, I would rather call Bollywood, “The Indian Film Industry” and Tollywood “The Bengali Film Industry” because they are not “wanna-be” industries, they ARE industries in themselves. In fact, the Indian Film Industry is the biggest film industry in the world. It HAS been for a long time and only now it’s getting some spotlight on a global scale.

Personally, I have had a very similar experience with all three Industries: I have looked up to people like Spike Lee and got to work with him in the Hollywood film “She Hate Me”. I have enjoyed numerous films made by the great Indian Film production company, YASHRAJ, who have made classic Amitabh Bachchan films like Silsila and I just worked on a film last year under the YASHRAJ banner called “New York”. And similarly, I have looked up to Soumitra Chatterjee, for years, since APUR SANSAR, and he is in both of the recent Bengali films I’ve done: Bong Connection and Dwando.

I remember, during the production of DWANDO: I was coming out of the dubbing room as the legendary Soumitra Chatterjee was getting ready to go in. We had some chai in the waiting area and he shared with me some funny anecdotes of what happened on the sets of Satyajit Ray’s “Aranyer Din Ratri”. That was quite a memorable moment for me.

I feel extremely lucky to be a part of all three industries and work with people who have inspired me to become an actor in the first place.

Biplab: So in the film DWANDO, your character is involved in an extramarital love affair. Did that character come to you naturally or how did you come about creating the character?

Samrat: (Laughs.) As an actor, my job is to tell a story, in a truthful, believable and in an interesting way. And I have played many different characters ranging from serious interrogators to romantic lovers. Part of being an actor, has to do with bringing ideas of self and self experiences to the character. But the other part of creating a character has to do with imagination and collaboration with the director.

Biplab: How much input and freedom did you get from director Suman on that, on the creation of the character you played in DWANDO?

Samrat: Suman gave me space to improvise, to help me bring my own authenticity to this character. His clarity of vision and generosity as a director was amazing. I would ask him questions sometimes, about a specific a line or a specific moment and he would answer them with ease and yet encourage me to explore it in my own way. Suman really created a comfortable environment to let the work happen. It was great to work together with him to find my character who portrays the lover of the of role played by the beautiful Ananya Chatterjee.

Biplab: How was your experience working with her? And how would your rate Ananya Chatterjee on an international standard?

Samrat: I think Ananya is a very strong, spontaneous and natural actress. I think she is here to stay and she will make waves. Working with her was a pleasure and a lot of fun because she is so down to earth and yet powerful. You can see it in her eyes; there is a lot of gravitas. There is effortlessness in her acting. I’ve had many co-stars in Independent, International, and Hollywood films, like the British actress, Rebecca Hazelwood in the film KISSING COUSINS or the accomplished Hollywood/TV actress Elizabeth Reaser in the film THE WEDDING WEEKEND. And to be honest, Ananya is right up there with them, in her skill, talent, and professionalism.

Biplab: That’s good to know…But being a South Asian, do you have a hard time in Hollywood? Because in my experience: I have seen that unless you are Caucasian, it is very difficult to make it big in Hollywood. So do you think that in that sense, Bollywood and now Tollywood are opening up more opportunities for South Asian actors in the United States?

Samrat: Yes I think it is a slow process but we are moving forward. I think the Indian and Bengali Film Industry are opening up new channels for South Asian actors in the US. And I think the fact that DWANDO is releasing on the same date through all these channels like Amazon, Netflix and Blockbuster, all over the world, IS a historical event. And we need to do this more, if we want to move ahead.

Frankly speaking, it IS difficult to make it in Hollywood, if you are not Caucasian. It’s been 55 years since the great African American actor, Sydney Poitier, won an Oscar. How many other African American Best Actor Oscar winners have there been, since? Not enough. I pray that it takes Indians a quicker time in today's high-speed Internet society we live in. But unfortunately we are moving at a low speed. Ultimately, I think we need to share and support our community, we have to come together. There is only one way to move forward on a global level, we must stop things like PIRACY. I want to say this one more time. We must stop piracy when it comes to DVDs.

Biplab: How do you rate Bengali cinema on an international standard and what are your suggestions on getting Bengali cinema more visible on a global scale?

Samrat: Well, let’s start at the beginning, Bengali Cinema matched and surpassed international standards during the times of Satyajit Ray. In fact, Ray’s APU trilogy won all the awards in the international festival back then. And I think, in today’s world, the content is already there. But it’s about keeping up a high standard for both production values and story, and getting it out there.

In Suman Ghosh’s DWANDO, the production values and story are beautiful. It has stunning cinematography by Barun Mukherjee and gorgeous music by composer Mayookh Bhaumik that are on a global standard. So Bengali cinema is already there on an international standard but now its really about supporting the film community. Again, NOT through piracy but thru legitimate channels.

We, as global Indians, must stop buying or renting pirated dvds at a discounted price. If one rents or buys a copy of a film (not the original), then the filmmakers lose money. If filmmakers lose money, they will not have money to make new, quality films.

Biplab: I think these days, more dangerous than piracy is the torrents, because these days in Bit Torrent, thru computer download, you can get any movie.

Samrat: Exactly. So if we continue to support the ORIGINAL prints of filmmakers like Suman Ghosh, Rituporno Ghosh, Aparna Sen, then the Bengali or Indian cinema WILL continue to rise and be successful in the global market.



Biplab: My final question: What's your career plan?

Samrat: My career plan is very simple: I want to continue to tell stories as an actor through the medium of cinema, specifically stories that are relevant to TODAY’S society. Whether that is in Hollywood or The Indian Film Industry, or The Bengali Film Industry. To me, cinema is a universal language. It goes beyond Bangla or Hindi or even English. You can do a silent film and express everything. It doesn’t matter if it takes place in LA, New York, Bombay or Kolkata. Let's continue to make it happen.

Saturday, March 13, 2010

বাঙালী সমাজের রক্ষণশীলতা কি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা?’



সম্পাদক বিপ্লব পালের প্রশ্নের মুখমুখি চিত্র পরিচালক সুমন ঘোষ

১৬ ই মার্চ-অর্থা এই সামনের মঙ্গলবার, তার নতুন সিনেমা দ্বন্দ্ব, গোটা উত্তর আমেরিকাতে মুক্তি পাচ্ছে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের সৌজন্যে
নেট ফ্লিক্স, ব্লক ব্লাস্টার এবং আমাজনের রিলিজ হচ্ছে, এই নতুন সিনেমা দ্বন্দ্বদ্বন্দ্ব বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে


এই প্রথম কোন বাংলা সিনেমা একই সাথে ভারতে এবং আমেরিকাতে রিলিজ হচ্ছে শুধু তাই নয় রিলিজের সাথে সাথে তা নেটফ্লিক্স, আমাজন বা ব্লক ব্লাস্টারে
পাওয়াও যাচ্ছে

সেই দ্বন্দ্ব নিয়েই আমরা কথা বলছি সুমন ঘোষের সাথে-যিনি একই সাথে অর্থনীতির অধ্যাপক এবং চলচিত্র পরিচালক

বিপ্লবঃ দ্বন্দ্বের এই গল্পটা কবে থেকে মাথায় এল? হঠা ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যা নিতে এক্সপেরিমেন্ট করতে ইচ্ছুক হলেন কেন?

সুমনঃ ত্রিকোণ প্রেমের গল্প দ্বন্দ্ব তা নয়, তবে মূল ন্যারেটিভ টা তাইএখানে আরো কিছু এক্সপ্লোর হয় একজন ডাক্তারের প্রিন্সিপল, প্রিন্সিপল টুওউয়ার্ডস প্রফেশন, পারসোনাল প্রিন্সিপল এই ছবিটার গল্প আমার মাথায় আসে অর্থা দ্বন্দ্ব গল্পের মূল inspiration ছিল ক্রিস্টভ ত্রিকলস্কির একটা ছোট গল্পসেটা দেখি এবং গল্পটা আমার মাথায় ধরেতখন আমি ভাবি এটা একটা contemporary renditionসুতরাং অনেক বছর পর এই রকম কাহিনী বাংলা ছবিতে খুব interesting হবেএবং শেষ পর্যন্ত ঠিক করিছবিতে সৌমিত্র চ্যাটার্জীর চরিত্রটিকে ভাবি এবং সেটাকে কি করে আরো explore করা যায় ওনার অভিনয়ের মাধ্যমে আমার প্রথম ছবিতে উনি আমার সাথে কাজ করেছেনসবমিলিয়ে সিনেমাটাকে একটা নতূন রুপকরণ দেওয়া হয়েছেএটা খুবি জরুরি, কারণ এটা fake property

বিপ্লবঃ বাঙালী সমাজের রক্ষণশীলতা কি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা? বিশেষত এই ধরনের থিমে যে কোন বিদেশী পরিচালক যৌনতা নিয়ে যতটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবেন, আপনি পারবেন না

সুমনঃ হ্যাঁ ঠিকআমাদের সমাজে তথা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এটা allowed নাতবে যদি আমার এই ছবি দ্বন্দ্বে যৌনতার দৃশ্য রাখার দরকার হত, আমি পিছপা হতাম না দ্বন্দ্বের মত ছবিতে এরকম দৃশ্য রাখার দরকার ছিল নাকিন্তু ছবিটির কাহিনী শুনে অনেকে হয়ত যৌনতা রাখার ডিমান্ড করবেনআমার মনে হয়নি যে এটা রাখার দরকার ছিল তাই রাখা হয়নিএখানে যখন আন্তর্জাতিক সিনেমা নিয়ে কথা হচ্ছে ইরানে ত অনেক বেশী সেন্সরশিপ । Abbas Kiarostami, Jafar Panahi, Majid Majidi এর সিনেমা তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে তারা যা দেখাতে পারে না ,আমরা বাংলা ছবিতে দেখাতে পারিকিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের ছবির মান অনেক উচ্চমানেরসুতরাং আমার মনে হয় না যে বাঙালী সমাজের রক্ষণশীলতা বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা।

বিপ্লবঃ সত্যজিত রায় পশ্চিম বঙ্গ সরকারের অনুদানে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা বানিয়েছেনবর্তমানে রাজ্য সরকার সেসব অনুদান বহুদিন হল বন্ধ করে দিয়েছেনআন্তর্জাতিক মার্কেটের জন্যে বাঙালী সিনেমা বানিয়ে কি আপনার মনে হয় একটা বিকল্প পথের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে?

সুমনঃ হ্যাঁ definitely অনেক সহজ হবে দেখুন বর্তমানে অনেক বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না তা নয়আমি সব ছবির কথা বলতে পারবো না, তবে কিছু ছবির কথা বলতে পারি যে সত্যজিত রায়ের পরবর্তীকালে ঋতুপর্ণ ঘোষের বাড়িওয়ালিবা সুমন মুখোপাধ্যায়ের হারবার্টএগুলো সব আন্তর্জাতিক মানেরই ছবি তবে হ্যাঁ এই সমস্ত ছবি যে সময় হয় তখন বাংলা ছবির মার্কেটটা খুবি কম বা ছোটএরকম ঘরানার ছবি কলকাতার কিছু হল এবং বোধহয় শিলিগুড়ি বা বর্ধমানের মত কিছু বড় শহরের হলে মুক্তি পায়সে টা যে বক্স অফিসের দিক থেকে খুব ভাল সে রকম কিছু নাসুতরাং আমার মনে হয় বাংলা ছবির মার্কেট টাকে আরো expand করা উচিত এবং বক্স অফিস ধারণাটাকে গ্লোবালাইসড ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবেএরফলে পরিচালক যারা বাড়িওয়ালিবাহারবার্টএর মত সিনেমা তৈরি করে তেমন বাণিজ্যিক সফলতা পাননি তাঁরা আরো আগ্রহী হবে এই রকম সিনেমা তৈরী করতে এবং আরো বাড়িওয়ালিবা হারবার্টএর মত ছবি তৈরি হবে ও ছবিগুলি বাণিজ্যিক ভাবে সফল হবে

সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার সত্যজিত রায়, গৌতম ঘোষ বা মৃণাল সেনের পরিচালিত সিনেমাগুলো তে আর্থিক সাহায্য করেছিলোকিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছেএক্ষেত্রে এখন ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের উদ্যোগটা যথেষ্ট ভালোযা বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে ভালো হবে

বিপ্লবঃ আমেরিকাতে একটা বিদেশী সিনেমা ১০ মিলিয়ান ডলার করতে পারলেই-বিশেষ ভাবে সফল বলে বক্স অফিস মনে করেএই দশকে আমেরিকার সফল বিদেশী সিনেমা গুলি যদি আমরা দেখি-যেমন মটোর সাইকেল ডাইরি বা টক টু হারবা ফেয়ার ওয়েল টু মাই কঙ্কুবাইন বা এম্পায়ার এন্ড দি এসাসিন এর মতন আন্তর্জাতিক ভাবে সফল চাইনিজ সিনেমা গুলির মধ্যে কিছু কমোনালিটি আছে-এই সিনেমা গুলি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক পটভূমিকা এবং সেই বিশাল ক্যানভাসে দাঁড়িতে মানবিক সম্পর্ক গুলি যৌনতার কষ্টিপাথরে যাচাই করেছেদ্বন্দ্ব সেখানে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে বলে আপনার মনে হয়?

সুমনঃ প্রথমত কোনো তুলনা হয় নাআপনি যাদের নাম বললেন সেই সমস্ত সিনেমা বা সেই সমস্ত সিনেমার বিখ্যাত পরিচালকদের সাথে

আমার ছবি জাতীয় পুরস্কার পায় সৌমিত্র চ্যাটার্জী সেরা অভিনেতা এবং আমার সিনেমা বেস্ট বাংলা ফিল্ম হিসেবেবেস্ট বাংলা ফিল্ম তবে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি না আমি বাংলা ছবিকে হেয় করছি না , আমি নিজেকে হেয় করছি আর কিএকটা ছোট মাপকাঠি দিয়ে মাপলেই বোঝা যাবেসত্যজিত রায়ের পরবর্তীকালে ১৯৯০ সালের পর থেকে ২০০০ শতকে কোন বাংলা ছবি মেজর কোন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা সেকশনে গেছে কিনা আমার জানা নেই বা কোন কম্পিটিশন সেকশনে বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে বলতে পারেন? সুতরাং সেখান থেকেই বাংলা ছবির মাপকাঠিটা পরিষ্কার বোঝা যায়

বিপ্লবঃ বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করতে কি কি দরকার? ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারে বাংলা সিনেমা কি ভাবে উপকৃত হবে?

সুমনঃ বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করতে বাংলা সিনেমার মার্কেট টাকে আরো বাড়াতে বা expand করতে হবেডিমান্ড ও সাপ্লাই ব্যাপারটা জানেন তোসেই অনুযায়ী বাংলা ছবিকে ছড়িয়ে দিতে হবে আগে তো এটা ছিলনাতবে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের সহায়তায় বাংলা ছবির মার্কেট টা অনেক বেশী ছড়িয়ে পড়বেফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলা ছবির ভালো চাহিদা হবেবাংলা ছবি আবার সফলতা পাবে বলে আশা রাখি

( ভিডিও তে ইন্টারভিউটি শুনুন)।