Saturday, February 21, 2009

ইসলামের সমালোচনা করাই দৈনিক স্টেটসম্যানের সম্পাদক গ্রেফতার

এই নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের সংবাদপত্রে আমি কোন সংবাদই দেখিলি-বাংলাদেশের প্রথম আলো ছাপিয়েছে-যদিও ঘটনা ঘটেছে কোলকাতায়

যরত মুহাম্মদকে (সাঃ) নিয়ে আপত্তিকর প্রবন্ধ প্রকাশের দায়ে গতকাল গ্রেফতারকৃত ভারতীয় দৈনিক দ্য স্টেটসম্যানের সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার ও প্রকাশক আনন্দ সিনহাকে জামিন দেয়া হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কোলকাতার একজন মুসলিম নেতা ইসলাম বিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং এর স্বল্প সময় পরই আদালত তাদেরকে জামিন দেয়। সম্প্রতি দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় ব্রিটিশ লেখক জন হ্যারির লেখা Why should I respect these oppressive religions? ( ‘কেন আমি এই অত্যাচারী ধর্মকে শ্রদ্ধা করবো' ) শীর্ষক একটি নিবদ্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি ঐ দৈনিকটির পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত বিতর্কিত নিবন্ধের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়নি। (সুত্র )
এর আগে জন হ্যারির বিতর্কিত ঐ লেখাটি পশ্চিমা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধ এখানে দেওয়া হলঃ
http://www.independent.co.uk/opinion/commentators/johann-hari/johann-hari-why-should-i-respect-these-oppressive-religions-1517789.html

প্রথমত জনহ্যারির লেখাটি ধর্ম সম্মন্ধে বিশেষত ইসলাম সম্মন্ধে কটূ সত্যকেই প্রকাশ করেছে। সেটা হল এই যে ইসলামের পশ্চাদপর অন্ধকার অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে, রাজনৈতিক ক্ষমতা লুটছে কিছু ব্যাক্তি। সেটা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান-সব দেশের জন্যে সত্য। এই সত্যটুকু প্রকাশের অধিকারও কেড়ে নিলে-আমরা অন্ধকারে ডুবে যাব।
এই লেখাটিতে জন হ্যারি যে দাবি করেছেন তা আমিও করিঃ

The Universal Declaration of Human Rights stated 60 years ago that "a world in which human beings shall enjoy freedom of speech and belief is the highest aspiration of the common people". It was a Magna Carta for mankind – and loathed by every human rights abuser on earth. Today, the Chinese dictatorship calls it "Western", Robert Mugabe calls it "colonialist", and Dick Cheney calls it "outdated". The countries of the world have chronically failed to meet it – but the document has been held up by the United Nations as the ultimate standard against which to check ourselves.

এবং জন হ্যারি যে সমস্যার কথা বলেছেন তা আজকের নয়। মানবাধিকার আসলেই সার্বজনীন। ১৮২৪ সালে লর্ড বেন্টিং একই দ্বিধার সম্মুখীন ছিলেন-সতীদাহ প্রথা রধ করার জন্যে। এবং তিনিও সিদ্ধান্তে এসেছিলেন-মানবাধিকার সবার জন্যে-তা কোন পশ্চিমা ধারা নয়। তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে হিন্দুরা সতীদাহ প্রথা চলাতে পারে না। অথচ ধর্মের নামেই সবথেকে বেশী মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় পৃথিবীর সবদেশে। এই নিয়ে আমার ২০০৫ সালে লেখা একটি ব্লগ দেখতে পারেনঃ
লক্ষ্য করুন লর্ড বেনটিঙ্ক ও একই কথা বলেছেনঃ

With the firm undoubting conviction entertained upon this question, I should be guilty of little short of the crime of multiplied murder if I could hesitate in the performance of this solemn obligation

ধর্মকে সমালোচনা করার অ ধিকার নিয়ে যে লড়াই আমরা করছি-সেই লড়াকু অকুতোভয় যোদ্ধাদের জন্যে ঘটনাটা জানিয়ে রাখলাম। এর সাথে প্রথম আলোর পাঠকদের মন্তব্যগুলোও দিলামঃ


http://prothom-aloblog.com/users/base/broadcaster/131#

পাঠকরা নিন্দা জানাতেই পারেন। তবে কিছু কিছু পাঠকের বাক স্বাধীনতা হরন করার দাবি দেখে আসলেই দুঃখ হয় এরা কোন শতাব্দির লোক? এদের ভারতেও হিন্দুদের মধ্যেও দেখেছি। তবে ইসলামে এই ধরনের ডাইনোসরদের সংখ্যা অন্যধর্মের চেয়ে বেশী-সেটাও ঠিক।

ধর্মের মুখোশ এই ভাবে বেশীদিন আটকে রাখা যাবে না। ধর্মের আসল মুখ রাজনৈতিক ক্ষমতালিপ্সু কিছু অসৎ লোকের-আর মুখোসটা হচ্ছে মানবিকতা, নৈতিকতার নামাবলী। কোরান এবং গীতা পড়লে এটা ভালো বোঝা যায়। তখনকার সময়ে রাষ্ট্র গঠনে এসবের দরকার ছিল-সেটা মেনে নিতে আমার আপত্তি নেই। কারন তা সত্য। কিন্ত বর্তমানে ধর্মের নামাবলী চাপিয়ে ক্ষমতাদখলের রাজনীতি যারা করছেন-তাদের জেলে না ঢুকিয়ে-সাহসী সম্পাদকদের কেন জেলে ঢোকানো হবে-সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু ভবিষ্যত চাইবে।

Tuesday, February 10, 2009

What can we do for our parents in home


India is not an welfare state like Europe. Over last two decades, due to severe economic stagnation, generations of best and brightest from Bengal had to leave West Bengal and settle elsewhere for living. But now the obvious peril of the exodus is looming larger. Thousands of parents have been left alone -who would take care of them? what they are going to do? How they can avail medical emergency in need? I know somebody among us had to come forward.

http://www.youtube.com/watch?v=5oMXzU-cr3A


I am glad, Animesh Chowdshuri from Virginia, finally came forward. He has started long waited organization, that we, all the NRBs badly need. So I decided to tak his interview so that he can explain what he is trying to do for our parents. Please click on this link to see the video. Below is his company website.

Taking care of your parents in Kolkata






..

Monday, February 9, 2009

তৃণমূল-কংগ্রেস জোট কেন দানা বাঁধছে না?


বিষ্ণুপুরে জোট হবেই-ভিন্নবাসর রেডিওতে জোর দিয়ে বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য। ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জেনে যাওয়ার কথা। কিছুই হল না। কারন মমতা বা কংগ্রেস কেও কারুর দাবি মানতে রাজী নন।

মমতার দাবি কংগ্রেসকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে-তারা ভোটের পরে সিপিএমের সাথে জোট বাঁধবে না। সেটা সোনিয়ার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না-কারন মমতার চেয়ে সিপিএমের আসন সংখ্যা অনেক বেশী। এবং তা দরকার হতেই পারে কেন্দ্রে সরকার গড়তে। তার থেকে বড় কথা কংগ্রেস যে শর্ত দিয়েছে-এন ডি এ ছাড়তে হবে-সেটা মানতে রাজী না মমতা। ফলে বিরোধি জোট এখন বিশ বাঁও জলে। এটা বিশ্লেষন করলেই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সিপিএম বিরোধি রাজনীতির অস্তিচর্মহীন কঙ্কালসার অয়বয়।

(১) মমতা কেন দাবি তুললেন লোকসভায় সিপিএমের সাথে জোট বাঁধা যাবে না? পশ্চিম বঙ্গের ৪২টা সিটই যদি, ইউ পি এ তে থাকে, ভারতীয় রাজনীতিতে পশ্চিম বঙ্গ অনেক বেশী শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রীয় অনুদানের অনেক বেশী অংশ পশ্চিম বঙ্গে আসবে-তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করে কেন এই আবদার (অবশ্য রাজ্যের ভাল, তিনি আর কবেই বা বুঝলেন)?

উত্তরটা এই-- তিনি যে রাজনীতি করেন, সেটার নাম অচ্ছুৎ বর্গের রাজনীতি। তৃণমূল এখন তাদের প্ল্যাটফর্ম, যারা মনেপ্রানে সিপিএমকে ঘৃণা করে। সেই ঘৃণার আবেগে ভোটব্যাঙ্ক ভরে তৃণমূলের। অবশ্য এর কৃতিত্বটাও সিপিএমের পাওনা। গণতন্ত্রে এই অচ্ছুৎ এর রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা সিপিএমই। তারাই ক্যাডারদের শিখিয়েছে বিরোধি মানে অচ্ছুৎদের আখড়া-তাদের ওপর দমন পীড়ন নিপীড়ন চলেছেই। আজকে সেই নিপীড়িতরাই তৃণমূলের আশ্রয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। রাজ্যে রাজনীতির সুস্থ আবহটাই নেই-আছে শুধু ঘৃণা আর হিংসা। ফলে তৃণমুলের সমর্থকদের মন রাখতে, মমতা দাবি করছেন- কংগ্রেস যেন সিপিএমকে অচ্ছ্যুত ঘোষনা করে। তাতে রাজ্যের ক্ষতি হলে হৌক। এমনকি নিজেরা কম সিট পেলেও কিছু যায় আসে না। জমিদারী আদিম ঘৃণাটা না রাখলে যেন মান থাকে না।
এই ভাবে কখনো সুস্থ রাজনীতি বা গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব?

(২) মমতার ঘৃণাবাদি রাজনীতি যদি পশ্চিম বঙ্গকে ধ্বংশোদ্দ্যোত তলোয়ারের একদিক হয়-অন্যদিকটার নাম প্রকাশ কারাতের বালখিল্যতা। এই প্রকাশ কারাত আজ ঘোষনা করেছেন, কংগ্রেস বাদে আর যেকোন ধর্ম নিরেপেক্ষ জোটে তিনি আছেন। আপামর বাঙালী প্রশ্ন করতে পারে, কারাত কি এখনো ভাবেন, এই দেশের রাজনীতিটা দিল্লীর জেনিউ এর রাজনীতি? নইলে তার কথাটার মানে কি? কংগ্রেস এবং তার জ়োট সঙ্গীদের বাদ দিয়ে পড়ে রইল কে? জয়ললিতা, মায়াবতী আর চন্দ্রবাবু-যারা আগে বিজেপির দোশর ছিলেন। যৌবনে প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদের পর যেমন অনেক যুবা দাবীকরেন-বালিশের সাথে শোবে তাও বিয়ে করবে না-প্রকাশ কারাতের কথাবার্ত্তা সেই পর্যায়ের প্রলাপে চলে গেছে। কিন্তু ইউএস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়াল ডিল থেকে আজ পর্যন্ত, তার বালখিল্যতার খেসারত দিচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ। এবং সিপিএমের বাঙালী কমরেডরা রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষতি হচ্ছে দেখেও, তাদের জেনারেল সেক্রেটারীর ছেলেমানুষি সহ্য করে যাচ্ছেন। কারন প্রতিবাদ করলেই-সিপিএমে খেটে করা পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারটা একদিনে ধ্বংশ হবে। এই দিল্লীনিবাসী নেতার ছেলেমানুষি আর কতদিন তারা সহ্য করবেন-সেটা তারাই ঠিক করুন। আমরা কিন্ত দেখতে পাচ্ছি-প্রকাশ কারাতের ক্রীতদাসত্ব স্বীকার করে পশ্চিম বঙ্গের চূড়ান্ত ক্ষতি করছেন কমরেডরা সেই ইউ-এস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়ার ডিল থেকেই।

অবশ্য পলাশী যুদ্ধের আগে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দফতরে লর্ড ক্লাইভের লেখা চিঠি মনে পড়ে গেল। ক্লাইভ লিখেছিলেন, এই বাঙালীদের কোন জাতিগর্ব নেই, এরা নিজেদের কোন্দলে বেশী মগ্ন এবং অন্যের দাসত্ব স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত। আড়াইশো বছর অতিক্রান্ত-বাঙালী আজও অপরিবর্তিত।

Tuesday, February 3, 2009

সিপিএমের এম পি দের জন্যে পশ্চিম বঙ্গের ১০০ কোটি টাকা ফিরে গেল!

আমাদের সিপিমের এম পি রা আবার তাদের স্বব্যার্থতার উজ্জ্বলতর মহিমা রাখলেন। এম পি রা উন্নয়নের জন্যে ১০ কোটি টাকা পান-তাদের এলাকার উন্নয়নের জন্যে। তবে খরচ হয় ডি এমের হাত দিয়ে। এম পিরা শুধু পরিকল্পনা বানান। দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের সব এম পি তাদের কোটার টাকা শেষ করে ফেলেছেন-সিপিএমের এম পিরা পারেন নি। তড়িৎ তরফদার ১০ কোটির মধ্যে ন কোটি টাকায় খরচ করেন নি। এখন গাল পাড়ছেন ডি এম দের। আরে ডি এমদের তাড়া দেওয়ার কাজটা কাদের? সেটা কি জনগণ করবে?

সব থেকে আশ্চর্য্য লাগছে তরফদারের ঔদ্ধত্ব্য। উনি নাকি উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রই খুঁজে পান নি। ব্যারাকপুর শহরটা কি আমেরিকার সান ডিয়েগো শহর হয়ে গেল যে উনি উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রই খুঁজে পেলেন না? উনার শহরে ত পা ফেলার জায়গা নেই-এত ঘন লোক বসতি। এই যে পশ্চিম বঙ্গের জন্যে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা জলে ফেললেন সিপিএমের এম পিরা,
এর খেসারত কে দেবে? জনগণ? তার ওপর তরফদার সুলভ ঔদ্ধত্য যোগ হলে, এটাই কি প্রমানিত হয় না, সিপিএমের নেতারা জনগণের প্রতি এক চরম উদাসীন মনোভাব নিয়ে চলেন? কারন তাদের সমর্থকরা ত আবার পার্টীর চিহ্ন নিয়ে গরু ভেরা দাঁড়ালে-তাদের ও ভোট দেবে। শমীক লাহিড়ী ভদ্রলোক-তিনি দাবি করছেন তার 'ভদ্র' অনুরোধেও ডি এমরা সচল হয় নি! তাহলে বাপু, এম পি কেন? বাড়িতে বসে লেখা-লেখি করুন-যে ডি এমদের দিয়ে কাজ করাতে পারবে, এমপির পদটা তাকেই ছেড়ে দিন দাদা!

যাইহোক শুনলাম এই অপদার্থতা এবং ঔদ্ধত্যের কারনে, তড়িৎকে এবার টিকিট দেবে না সিপিএম। উত্তম সিদ্ধান্ত। আমরা দেখতে চাই, যেসব নেতারা এই দশ কোটি টাকার মধ্যে নুন্যতম আট কোটি খরচ করতে পারেন নি-তাদের সবাইকে বসিয়ে দিক সিপিএম। আর সেটা যদি না করে-তাহলে বুঝতে হবে, সিপিএম সম্পূর্ণ জন বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিকে চলেছে। যেসব এম পিরা নিজেদের এলাকার উন্নয়নকে অবহেলা করেছে-তাদের এই ভাবেই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হৌক। জ়নগণের জন্যেই নেতা-নেতা কখনোই পার্টি বা 'রাজনৈতিক আদর্শের' হতে পারেন না গণতন্ত্রে। তাই জনগনকে যারা অবহেলা করে, তাদের নেতার আলখাল্লা খুলে নেওয়া হৌক। গণতন্ত্রের রঙ্গমঞ্চে নেতার পাঠ তাদের জন্যে নয়।

ভারত সিরিজ জিতল ৩-০


Result India won by 147 runs

বীরু আর যুবি ঝড়ে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। দুজনেই সেঞ্চুরী করলেন।

ফুল স্কোর এখানেঃ



উদোম মার খেলেন মেণ্ডিস এবং মুরলীধরন। প্রজ্ঞান ওঝার দুরন্ত বোলিং এর সামনে নতজানু হল শ্রীলঙ্কা-প্রজ্ঞান পেলেন চারটি উইকেট। ভারত এই নিয়ে ক্রমাগত চারটি ম্যাচে জিতল।

Monday, February 2, 2009

বৈদেশিক নীতির প্রভাব ক্রিকেটে কেন??


পাকিস্থান ক্রিকেট বোর্ড এবারে তাদের ক্রিকেটারদের ভারতের আই পি এল লীগে খেলার অনুমতি দিচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য খুব খারাপ খবর। আগের বারের মতন ইডেনে শোয়েব আখতার বা ওমর গুলকে দেখা যাবে না। রাজস্থান রয়্যাল ও বঞ্চিত হবে তনভীর সোয়েলের মতন বোলারের অভাবে। পাকিস্থানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত টিট ফর ট্যাট-ভারত পাকিস্থান সফর বাতিল করেছে। তার প্রতিক্রিয়া।

সফর বাতিল কি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল? পাকিস্থান সরকার যেভাবে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পরোক্ষে ঢিলেমি দিয়েছে-তাতে ভারতের প্রায় সব মিডিয়া এবং জনগণ একে ঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করে। আমি করি না-আমার মনে হচ্ছে খুব ভুল করছি আমরা। পাকিস্থানের জনগণ এবং সরকারকে এক করে দেখে সিদ্ধান্ত নিলে মারাত্মক ভুল হবে।

পাকিস্থানের প্রায় ৬০% লোক এখন একবেলা খেয়ে আছে। মুষ্টিমেয় কিছু ফ্যামিলি পাকিস্থান চালাচ্ছে এই অদ্ভুত দেশটির জন্মলগ্ন থেকে। পাকিস্থানের ৬০% অভুক্ত লোক যাতে বিদ্রোহ না করে-তার জন্যে এদের ধর্মান্ধ বানানোর চেয়ে ভাল মগজ ধোলাই এর ঔষধ আর কি আছে? এই শ্রেণী দ্বন্দটা পাকিস্থান বহুদিন ধরেই তাদের দেশের লোকের মধ্যে কাষ্মীর নিয়ে ভারতের আগ্রাসনের কথা শুনিয়ে জেহাদি তৈরী করে ধামা চাপা দিয়ে এসেছে। কাশ্মীরের লোকজন এবার ব্যাপক হারে ভোট দিয়েছে-বিচ্ছিন্নবাদি গোষ্ঠি গুলি নিজেরাই স্বীকার করেছে-কাষ্মীরের লোকেরা এখন আরো ভাল থাকতে চাই-তারা সমৃদ্ধি চাইছে স্বাধীনতার চেয়ে বেশী। এমন অবস্থায় মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী বলে পাকিস্থানের কাষ্মীর পলিশির একটাই লক্ষ্য-এই ধরনের ঘৃণা ছড়িয়ে যাতে গরীব লোকেদের রাগটাকে ভারত বা আমেরিকা বা কখনো ইরাণের বিরুদ্ধে চালনা করা যায়। তাতে জাদ্দারী কিয়ানীদের ক্ষমতাই থাকার সুবিধা-দেশটাকে চেটেপুটে খাওয়ার সুবিধা বেশী।

তাহলে এই ক্রিকেট বন্ধ করে কার সুবিধা করা হল? পাকিস্থানের সেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠিকেই আমরা হাতে মোয়া ধরিয়ে দিলাম। ওদের এখন ভারত বিরোধী ঘৃণা ছড়াতে আরো সুবিধা!

১৯৯৯ সালে ইডেনে যখন শোয়েব আখতার প্রথম বলে শচীনকে বোল্ড করে-আমি তখন মাঠে। ঠিক ফেন্সের ধারে বসে ছিলাম। ওভার শেষ হতেই শোয়েব যখন ফেন্সের কাছে আসে-তার উদ্দেশ্যে গালাগাল শুরু হয়-আবার কিছু লোক তার প্রতিবাদ ও করছিল গ্যালারী থেকে। ২০০৮ সালে আমরা কি দেখেছি? শোয়েব দিল্লীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ম্যাচে গম্ভীর আর শেহভাগকে আউট করতেই ইডেন শোয়েব শোয়েব চিৎকারে ভেঙে পড়েছে। একই রকম সাপোর্ট পেয়েছে ওমর গুল এবং সোয়েল তনবীর। ২০০৮ সালে পাকিস্থানী ক্রিকেটারা ভারতে যত জনপ্রিয় হয়েছেন তেমনটা আগে দেখি নি। এটা কি পাকিস্থানে কোন সংবাদ দিচ্ছিল না? এত এত পাকিস্থানি আই পি এল দেখছিলেন-কারন তাদের সব তারকাই এই লীগে ছিলেন। পাকিস্থানের একটা বড় অংশই কোলকাতার নাইট রাইডার্সের সমর্থক ছিল। এগুলোই ত ভারত বিরোধি পাকি মনোবৃত্তি আস্তে আস্তে কমাচ্ছিল। আই পি এল ছাড়া এটা হত না।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এটা খুব ভুল সিদ্ধান্ত-আমরা চক্রান্তকারী ক্ষমতালোভি পাক শাসক গোষ্ঠীর হাত শক্ত করলাম মাত্র।

Sunday, February 1, 2009

প্রণব-সিপিএম ঘনিষ্ঠতা এবং একটি বাঙালী রোগ

অপেলো হাসপাতালের শিল্যানাসে প্রণব বাবু এবং সিপিএম একে ওপরের ভূসয়ী প্রসংসা করায় দেখা যাচ্ছে অনেক কংগ্রেসীর গাত্রদাহ হচ্ছে। সরাকারি স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা লাটে উঠলেও সিপিএম বেসরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ভালোই করেছে। প্রণব বাবুর তারই প্রশংসা করেছেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই বেসরকারী স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা বা নার্সিং হোমের উন্নতিতে সাধারন জনগনের কিছু যায় আসে? নিশ্চয় যায় আসে। এপোলোর মতন সংস্থা এখানে এলে হায়দ্রাবাদ মাদ্রাসে ছুটতে হয় না বাঙালীকে। সিপিএম যেমন সরকারী স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় সম্পূর্ণ ব্যার্থ এবং তজ্জন্য তাদের নিন্দা প্রাপ্য-কিন্ত বেসরকারী ক্ষেত্রে সাফল্যর কিছু ধন্যবাদ তারা নিশ্চয় পেতে পারে। আবার প্রণব বাবু জঙ্গীপুরে উন্নয়নের যে কাজ করেছেন-সেটাও অন্য এম পি দের কাছে শিক্ষানীয় বিষয়। সেটা সিপিএম স্বীকার করলেই দোষনীয় হবে কেন?

বাঙালীর রাজনীতি করার সংজ্ঞা কি তাহলে মমতা ব্যানার্জির মতন কুনাট্য? সিপিএমকে গালাগাল আর সিপিএমের পালটা খুন আর ধর্ষনের রাজনীতি কি আমাদের ভবিষ্যত? এই অন্ধকার আর কতদিন চলবে? তৃণমূল এখন ডিফ্যাক্টো সিপিএম বিরোধিদের প্ল্যাটফর্ম-যারা মনে করে সিপিএম একটা কমপ্লিট এভিল। ভালো কথা। গণতন্ত্রে এই গ্রুপ থাকতেই পারে-বিশেষত সিপিএম তার বত্রিশ বছরের ইতিহাসে গণতন্ত্রের প্রতি সুবিচার করে নি। কিন্ত এর বাইরেও বিশাল এক জনগোষ্ঠি আছে-যারা মনে করেন, রাজনীতি হওয়া উচিত ইস্যুভিত্তিক এবং পশ্চিম বঙ্গের উন্নতিকে সামনে রেখে।

আমি খুব পরিষ্কার ভাবেই মনে করি সিপিএম এবং তৃনমূল কেওই পশ্চিম বঙ্গের উন্নতিকে প্রাধান্য দেয় না। হ্যাঁ বুদ্ধদেব বাবু নিশ্চয় চেষ্টা করছেন-কিন্ত এটাও ত ঘটনা যে ইন্দো-আমেরিকান নিউক্লিয়ার ডিলে উনি প্রকাশ কারাতের বাল-খিল্যতা থামাতে পারেন নি। প্রকাশ কারাতের অবস্থান পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ বিরোধি ছিল-বুদ্ধ বুঝেছেন ঠিকই-কিন্তু পার্টিতে নিজের ভবিষ্যত ভেবে, কারাতকে থামালেন না। পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ বিসর্জন দিলেন। মমতা ব্যানার্জীর কথা যত কম বলা যায় তত ভাল।

অন্ধ বিরোধিতা অন্ধত্বের বন্ধ্যা রাজনীতির জন্ম দেয়। যে দোষ থেকে প্রকাশ কারাত বা মমতা কেও মুক্ত নন। সিপিএম মমতার অন্ধ বিরোধিতাকে কঠাক্ষ করে-আবার নিজেরা আমেরিকার অন্ধ বিরোধিতা করে। আমাদের মতন সাধারন জনগন এই ধরনের অন্ধ বিরোধিতাতে নিশ্চয় ক্রুদ্ধ-কারন ক্ষতি হয় পশ্চিম বঙ্গের! ওবামা কিন্ত রিপাবলিকান পার্টির দক্ষ প্রশাসকদের রেখে দিয়েছেন নিজের টিমে। পশ্চিম বঙ্গে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের প্রধান অন্তরায়-মমতার কুনাট্য এবং সিপিএমের উদ্ধত আত্মরম্ভিকতা। গণতন্ত্রের এই কুৎসিত পরিবেশ যত দ্রুত কাটে-তত ভাল। প্রণব বাবু এবং সিপিএমকে এই সুপ্রচেষ্ঠার জন্যে আগাম ধন্যবাদ।