Tuesday, March 23, 2010

পার্ক স্ট্রীটে আগুন-রেগুলেশন গুলো মানতে কবে শিখব?



সেটা ২০০১ সালের ফ্রেব্রুয়ারী। আমেরিকাতে কাজের দ্বিতীয় দিন। হঠাৎ চারিদিকে ফায়ার সাইরেন। আমি ত সত্যিই আগুন লেগেছে ভেবে দৌড়ে অফিসের বাইরে এলাম। পড়ে শুনলাম ইহারে কয় ফায়ার ড্রিল। ইনস্পেক্টর হঠাৎ করে এসে দেখছেন, বিল্ডিং গুলি রেগুলেশন মেনে চলছে কি না। ফায়ার এলার্ম চলে কি না। এমার্জেন্সি এক্সিট গুলো খোলে কি না। বছরে দুবার প্রতিটা অফিস বিলডিং এই ভাবে চেক করা হয়।


কলকাতার বাড়ি-অফিসগুলোর এমন দূরাবস্থা-আগুন কেন লাগল-তার চেয়ে, আগুন কেন রোজ লাগে না, সেটা ভেবেই আশ্চর্য্য হই বেশী। যে কোন অফিস একটু পুরানো মানেই তার প্রতিটা তলে স্টোভ জ্বেলে রান্না, ইলেকট্রিকের ওপনে পুরানো তার ছড়াছরি চারিদিকে। কোলকাতা মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা আদৌ কোন দিন কোন আফিসে গিয়ে ফায়ার ড্রিল করেন বলে শুনি নি। অথচ এটা পৃথিবীর সর্বত্রই নিয়ম।


এমন জতুর্গৃহের জন্যে যে ফায়ার বিগ্রেড থাকে তাদের কি অবস্থা?


আগুন লেগেছিল ১-১৫ তে। ফায়ার বিগ্রেড সাথে সাথেই খবর পেয়েছে-মাত্র ৫ মিনিট দূরে তাদের অফিস। তাও তাদের কাজ শুরু করতে করতে ২টো বেজেছে। সঙ্গে আধুনিক মই ও ছিল না। ফলে ৪ জন ঝাঁপিয়ে মারা গেছে। আধুনিক ফায়ার বিগ্রেড থাকলে, মূল্যবান প্রাণগুলি বেঁচে যেতে পারত।


আসলে পশ্চিম বঙ্গের বর্তমান বামফ্রন্ট সরকার এতটাই অপদার্থ এদের গালাগাল দিতেও করুণা হয়। ফায়ার বিগ্রেডের আধুনীকরনের টাকা ফিরে যায়-মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা সম্ভবত অফিসেই আসেন না। আমেরিকা ইরাকে একটা কাক মারলে এরা বিগ্রেডে মিছিল ডাকে-আর সেই যে মূল্যবান প্রানগুলো হারালো-এদের জন্যে আবার ইহা হইয়া থাকে বা কমিটি বসিয়েই দ্বায়িত্ব সারবে। আর আমাদের বিরোধী নেত্রী ঘটনা স্থলে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক কিছু করেছেন। সেই জন্যে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে খাটো করব না-কিন্ত সিস্টমে কি ঘুন ধরেছে, সেটা নিয়ে ভাবার ক্ষমতা বোধ হয়, তার পার্টির ও নেই।

Monday, March 22, 2010

দ্বন্দ ঃ বাংলা সিনেমাতে মস্কো আর্ট থিয়েটারের স্বাদ



সিনেমাটা এই মাত্র দেখে উঠলাম। আমাজন থেকে কিনে ছিলাম-এই প্রথম কোন বাংলা সিনেমার নতুন রিলিজের একটা অথেন্টিক ডিভিডি আমেরিকাতে বসেই দেখতে পাচ্ছি-এটা ভেবেই আমি উদ্বেলিত!

যেকোন ভাল সিনেমা দেখার সব থেকে বড় প্রাপ্তি "রেশ"-বিরিয়ানির স্বাদটা মনের তন্ত্রে কতটা নাড়া দিল। স্বাদের সেই রেশটা মনে কি দাগ কেটে গেল! সেটাই পাওনা। দেখেই মনে হলে চেকভের কোন নাটক দেখে উঠলাম-নিট একটা দুর্দান্ত ছোটগল্প। হইয়াও হইলোনা শেষ স্টাইলের ফিনিস-মস্কো আর্ট থিয়েটারের পরিবেশনা-আর স্ট্যানিজলাভস্কির অভিনয় ঘরানার জাদুকর সৌমিত্রের " রাউন্ড টেবল" বিশ্লেষন। অভিনেতার আবেগ সেখানে বিমূর্ত-ডিটাচড-কিন্ত অবজেক্টিভ। লি ট্রাসবার্গ বা রবার্ট লুইসের থেকেও আমার দ্বন্দের সৌমিত্রকে আরো বেশী ভাল লাগল-বিশেষত এরা সবাই স্ট্যানিজলাভস্কির মন্ত্রশিষ্য। অন্যন্যাও এই দৃশ্যে সত্যই সৌমিত্রের সমকক্ষ-শুধু একটাই আক্ষেপ। অন্তিম দৃশ্যে পরিচালক অনন্যার ক্লোজ আপ শট বেশী নেন নি-মানসিক দ্বন্দের জন্যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজেরই আশ্রয় নিয়েছেন বেশী। আমার মনে হয়েছে অন্যন্যার মুখাভিনয়টা বেশ শক্তিশালি-সেটা পরিচালক অন্তিম দৃশ্যে আরেকটু বেশী ব্যাবহার করতে পারতেন।

স্ক্রিপ্ট বেশ স্মার্ট-প্রথম দিকে একটু শ্লো। ধ্রুপদী সঙ্গীতের মতন গল্পের বিবর্তন এবং বিস্তার। শেষের দিকের চিত্রনাট্য শুধু স্মার্ট না ব্রিলিয়ান্ট ও বটে। তবে এই ধরনের সিনেমার সংলাপে আরো বেশী শৈল্পিক সংঘাতের দরকার-যা শেষ দৃশ্যে পূরণ হয়েছে। প্রথমের দিকের স্ক্রিপ্টটা আরো উন্নত করা যেত।

সৌমিত্র, অনন্যার পরে সিনেমাটার সব থেকে বড় পাওনা ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের অসাধারন ব্যাবহার। মৌয়ুখ ভৌমিকের দক্ষতা প্রশ্নাতীত-আর সেই জন্যেই সিনেমটার কিছু কিছু অংশে মেট্রোপলিটান অপেরার স্বাদ। যা বাংলা সিনেমায় কিছুটা অভিনব স্বাদ-একটা নতুন বাতাস। তবে পাশ্চাত্য ধ্রুপদের ব্যাবহারে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছি না-কিছু কিছ ক্ষেত্রে সাউন্ড লেভেল মিক্সিং বেশ দুর্বল।

এর পরে লাখ টাকার প্রশ্ন-দ্বন্দ আন্তর্জাতিক মানে কোথায়? বাংলা যেসব সিনেমা দেখি-তার থেকে অনেক ভাল-সেত সন্দেহ নেই। কিন্ত আন্তর্জাতিক মানে এটাকে কোথায় রাখব? আমি নিজে ফেলিনি, কুরোসোয়া, চেন কাইজের ভক্ত। সৌমিত্র অনন্যার অভিনয়, নেপথ্য সঙ্গীত বা গল্পটা সত্যই সেই প্রত্যাশা পূরন করেছে। কিন্ত ক্যামেরার কাজ আরো ভাল করতে হবে। ডায়ালোগে আরো বেশী সাহিত্যিক গভীরতা এবং শিল্প চাই। সিনেমাটোগ্রাফিও অনেক অনেক ভাল করা দরকার। বাংলা ফিল্প ইন্ডাস্ট্রি অবশ্যই এটা পারে-যদি সিনেমাতে টাকা ঢালা যায়। ঘি না ঢাললে ত আর বিরিয়ানি তৈরী হয় না।

এই জন্যেই আমি আন্তরিক ভাবে চাইছি ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের উদ্দেশ্য যে বাংলা সিনেমার আন্তর্জাতিক বাজার -সেটা সফল হৌক। পশ্চিম বঙ্গের বাইরে থাকা ৫ মিলিয়ান বাঙালীর কাছে বাংলা সিনেমা পৌছে দিতে পারলে, এই ধরনের উন্নত আন্তর্জাতিক মানের বাংলা সিনেমা তৈরী করা সম্ভব। কুরোসোয়া বা ফেলিনির সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শক, তাদের দেশের দর্শকের থেকে অনেক বেশী। সৌমিত্র, অনন্যার মতন অভিনেতা অভিনেত্রী বা সুমন বাবুর মতন পরিচালকরা থাকতে সেটা হবে না কেন? ক্যাশ ফ্লো এলে অবশ্যই হবে।

দ্বন্দ সেই আশাটাই জাগিয়ে রাখল।

Tuesday, March 16, 2010

হলিউডের বাঙালী অভিনেতা সম্রাট চক্রবর্ত্তী বাংলা সিনেমা নিয়ে কি ভাবছেন?

সম্রাট চক্রবর্তী- নামটি খুব বাঙালি শোনালেও তিনি আসলে একজন হলিউড অভিনেতা। তিনি অ্যামেরিকান রিপার্টরি থিয়েটার এবং মস্কো আর্ট থিয়েটার স্কুল থেকে অভিনয়ে স্নাতক হয়েছেন। অভিনয় করেছেন 'ল অ্যান্ড অর্ডার', 'সপরানো' এবং এমন আরও অনেক বিখ্যাত মার্কিন টিভি প্রোডাকশনে। এছাড়া তিনি 'দ্য বং কানেকশন' ও 'পিয়ালির পাসওয়ার্ড' এর মত বাংলা সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।





১৬ই মার্চ তার নতুন সিনেমা 'দ্বন্দ্ব' পুরো উত্তর অ্যামেরিকার হোম এন্টারটেইনমেন্ট মার্কেটে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স ও ব্লকবাস্টারের মাধ্যমে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। 'দ্বন্দ্ব' ১৬ই মার্চ ইতিহাস তৈরি করবে। এমনকি এটি প্রথম বাংলা সিনেমা যা একইসাথে ভারত এবং উত্তর অ্যামেরিকার মার্কেটে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার-এর কারণে যারা উত্তর অ্যামেরিকায় 'ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো' তে বাংলা সিনেমা সরবরাহ করে। উত্তর অ্যামেরিকায় থেকে এভাবে বাংলা মুভি দেখতে পারা সত্যিই বিস্ময়কর, কারণ এখানে বাংলা ছবি মুক্তি পায় না।





বিপ্লব: তো সম্রাট, ভিএনএন রেডিও তে স্বাগতম।





সম্রাট: আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ, বিপ্লব।





বিপ্লব: আপনার ক্যারিয়ারটা খুবই আন্তর্জাতিক। এই বয়সে হলিউড, বলিউড, টলিউড সবখানে অভিনয় করতে পারাটা সত্যিই বিস্ময়কর। তো এ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাটা কি আমাদের একটু বলবেন? আপনার তুলনামূলক অভিজ্ঞতাটা কেমন?





সম্রাট: প্রথমেই বলতে চাই ছোটবেলা থেকেই যাদের ছবি দেখে এসেছি, যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের সাথে কাজ করতে পারায় আমি নিজেকে সম্মানিত ও ভাগ্যবান মনে করি। আমি বড় হয়েছি অ্যামেরিকার ম্যাসাচুসেটস এর বস্টনে। বাবা-মা কে অনেক ধন্যবাদ যে তারা আমাকে ছোটবেলায়ই বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ৮ বছর বয়সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ও কবিতার সাথে আমার খুব ভাল পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার সাথেও সেই সূত্রে পরিচয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ছেলেপেলে বড় হয় টেলিভিশনে ককেশিয়ান অভিনেতাদের দেখতে দেখতে, ই.টি. এবং স্টার ওয়ারস এর মত সিনেমার সাথে পরিচয় ঘটে- আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। একদিন আমার মা অমিতাভ বচ্চনের 'নমক হালাল' নামে একটা সিনেমা ভাড়া করে নিয়ে আসে। এটাই আমার দেখা প্রথম বচ্চন সিনেমা এবং এটা দেখেই আমার মধ্যে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছিল। তরুণ অমিতাভ বচ্চন, বড় পর্দায় এতো সুন্দর সুন্দর গান, সেই প্রথম বড় পর্দায় এমন শক্তিশালী কোন ভারতীয় চরিত্র দেখা। সেটা ছিল বিস্ময়কর, আমাকে আরও ভারতীয় সিনেমা দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিল। পরবর্তীতে অনেক ভারতীয় সিনেমা দেখেছি, যেমন সত্যজিৎ রায়ের অপু ত্রয়ী। এভাবেই আমার মাঝে সিনেমার অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা জেগে উঠে।ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে আমি স্পাইক লি-র মত পরিচালকদের সাথে কাজ করতে পেরেছি যিনি "ডু দ্য রাইট থিং" এর মত বিখ্যাত সিনেমা করেছেন। এটা আসলেই খুব বিস্ময়কর এবং অনেকটা একই রকম। ইন্ডাস্ট্রির কথা আসলে আপনি হয়তো বলিউড, টলিউড বা হলিউড বলবেন, কিন্তু আমি বরং বলিউডকে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং টলিউডকে বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নামে ডাকব কারণ এগুলো ইনডাস্ট্রি হতে চায় ব্যাপারটা এমন না, এরা সবাই স্বয়ংসম্পূর্ণ ইন্ডাস্ট্রি। বলিউড তথা ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তো অনেকদিন ধরে সিনেমা বানিয়ে আসছে। এমনকি এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেকদিন থেকেই এটা সর্ববৃহৎ ছিল কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে।তবে আমি আবারও বলছি, ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং হলিউড অনেকটা একই রকম। আমি যেমন স্পাইক লি-র সাথে কাজ করতে পেরেছি যা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়, তার করা "শি হেইট মি" সিনেমায় কাজ করেছি। তেমনি আবার অমিতাভ বচ্চনের সাথে কাজ করে ধন্য হয়েছি। বচ্চন ইয়াশ রাজ ফিল্মস এর ব্যানারে সিলসিলা করেছিলেন। সম্প্রতি ইয়াশ রাজ এর ব্যানারে হওয়া নিউ ইয়র্ক সিনেমায় আমি তার সাথে কাজ করতে পেরেছি। এটি আমার জন্য এক বিশাল উপহার ছিল এবং এর অংশ হতে পেরে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। আবার সম্প্রতি টলিউড তথা বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করাটাও অন্যরকম অভিজ্ঞতা দিয়েছে। অনেক বছর ধরেই আমি সৌমিত্র চ্যাটার্জির গুণমুগ্ধ, 'অপুর সংসার' দেখার পর থেকেই। দ্বন্দ্ব সিনেমায় তিনি আছেন, বং কানেকশনেও ছিলেন।কিন্তু দ্বন্দ্বের অভিজ্ঞতা খুব মনে পড়ছে। এমনকি সিনেমাটা ডাব করার সময় আমি সৌমিত্র্য চ্যাটার্জির সাথেই ছিলাম ডাবিং রুমে। আসলে আমি ডাবিং রুম থেকে বের হচ্ছিলাম আর তিনি ঢুকছিলেন। সে ছিল আমার জন্য খুব স্মরণীয় একটা মুহূর্ত। আমাদের মধ্যে কিছুক্ষণ আলাপ হয়েছিল, তিনি সত্যজিৎ রায়ের 'অরণ্যের দিনরাত্রি' সিনেমার সেটে ঘটা কিছু মজার অভিজ্ঞতা বলেছিলেন আমায়।এই কাজগুলো করতে পারায় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তাছাড়া আমার অভিনয় ক্যারিয়ার আমাকে ভারত পুনরাবিষ্কারে সাহায্য করেছে, আমার বাবা-মা যেদেশ থেকে এসেছেন সেই দেশ পুনরাবিষ্কারে। আমি মেট্রো বা বাসে করে ঘুরতে পারছি এই দেশেরই একটি শহরে, সত্যজিৎ রায় যে স্থানগুলোতে শুটিং করেছিলেন সেগুলো নিজ চোখে দেখতে পারছি। আমার পূর্বপুরুষদের ভূমিতে ঘুরে ফিরতে পারছি। তাই এই তিনটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পেরেই আমি ধন্য। এবং সত্যি বলতে এই তিনটা ইন্ডাস্ট্রিই একই মৌলিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, যাদের গুণমুগ্ধ ছিলাম তাদের সাথে কাজ করতে গিয়ে আমাকে যে পথ ধরে এগুতে হয়েছে সবখানেই তা একই ছিল। এবং সকল ক্ষেত্রেই যাত্রাগুলো ছিল চমকপ্রদ।





বিপ্লব: আচ্ছা, এবার দ্বন্দ্বে ফিরে আসি। এখানে আপনার চরিত্রের মাধ্যমে বিবাহবহির্ভূত প্রেম এর সম্পর্ক ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। আপনার এই চরিত্রায়ন কি প্রাকৃতিকভাবেই এসেছে, নাকি নিজের মত করে নতুনভাবে চরিত্রটি তৈরি করেছেন?





সম্রাট: (হাসি) আপনি জানেন যে অভিনেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে একটা গল্প সৎ, বিশ্বাসযোগ্য এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা। আমি অনেক ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছি- ইন্টারোগেটর, প্রেমিক; আর অভিনেতা হিসেবে আমাদের দায়িত্বের একটা বড় অংশ হচ্ছে নিজের আইডিয়া চরিত্রের মধ্যে নিয়ে আসা, নিজেদের মত করে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কিন্তু একই সাথে এটা কল্পনা, সৃজনশীলতা এবং পারষ্পরিক সহযোগিতার অংশ যার সাহায্যে চরিত্রটা তৈরি হয়।





বিপ্লব: চরিত্র রূপায়নে নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আপনি পরিচালক সুমনের কাছ থেকে কতটুকু স্বাধীনতা পেয়েছেন?





সম্রাট: চরিত্রের মধ্যে নিজে থেকে কিছু যোগ করা, কিছু সৃষ্টি করা বা ক্ষেত্রবিশেষে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ সুমন আমাকে দিয়েছে। আমাকে নিজের মত করে কিছু যোগ করতে দেয়ার ক্ষেত্রে সুমনের সুস্পষ্ট দূরদৃষ্টি এবং উদারতা ছিল বিস্ময়কর। আমি মাঝেমধ্যেই কোন একটা লাইন বা কোন একটা মুহূর্ত নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতাম, সে উত্তর দিত ঠিকই কিন্তু আবার বলত যেন আমি নিজে নিজে বিষয়টা ভেবে দেখি, নিজের মত করে। সে আসলে সত্যিকার অর্থেই এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছিল যাতে কাজটা স্বচ্ছন্দে এগিয়ে যেতে পারে। তার সাথে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে, অনেক স্বাধীনতা পেয়েছি; এমন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন পরিচালকের সাথে কাজ করতে পারা এবং সুন্দরী অনন্যা চ্যাটার্জির প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করা, সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার।





বিপ্লব: আচ্ছা এবার অনন্যা চ্যাটার্জির প্রসঙ্গে আসি। তার সাথে কাজ করে কেমন লেগেছে? আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আপনি তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?





সম্রাট: আমি মনে করি অনন্যা খুব শক্তিশালী এবং স্বতঃস্ফূর্ত একজন অভিনেত্রী। এখানে থেকে সে অনেক ভাল কাজ করতে পারবে। তার সাথে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে এবং একই সাথে খুব মজাও পেয়েছি। কারণ সে খুব বিনয়ী, একইসাথে আবার খুব শক্তিশালী। চোখ দেখেই তার গভীর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সে খুব স্বতঃস্ফূর্ত, স্বভাবসিদ্ধ অভিনেত্রীদের মতোই অভিনয় করতে তার খুব একটা শ্রম দিতে হয় না। স্বাধীন, আন্তর্জাতিক বা হলিউড সিনেমায় আমি অনেকের সাথেই অভিনয় করেছি। যেমন 'কিসিং কাজিনস' এ ব্রিটিশ অভিনেত্রী রেবেকা হেজলউড এর সাথে কাজ করেছি। এলিজাবেথ রিজার হলিউড সিনেমা ও টেলিভিশন ফিল্মের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, 'দ্য ওয়েডিং উইকএন্ড' সে আমার কো-স্টার ছিল। সত্যি বলতে অনন্যা তাদের একেবারে সমমানের, মেধা এবং পেশাদারিত্ব সকল দিক দিয়েই।





বিপ্লব: তা জেনে ভাল লাগল। কিন্তু একজন দক্ষিণ এশীয় হিসেবে হলিউডে কাজ করতে গিয়ে কি আপনার কোন অসুবিধা হয় না? কারণ আমার অভিজ্ঞতা বলে, ককেশিয়ান না হলে হলিউডে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া খুব কষ্টকর। সুতরাং আপনি কি মনে করেন, বলিউড এবং এখন টলিউড যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় অভিনেতাদের জন্য নতুন সুযোগ করে দিচ্ছে?





সম্রাট: হ্যা, আমি মনে করি এটা ধীর প্রক্রিয়া, কিন্তু আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় ও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় অভিনেতাদের জন্য নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। এবং আমি মনে করি দ্বন্দ্বের একই সাথে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স এবং ব্লকবাস্টারের মত সবগুলো চ্যানেলে একই দিনে মুক্তি পাওয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এগিয়ে যেতে হলে এ ধরণের কাজ আরও করতে হবে।অ্যামেরিকায় আমি স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। শিক্ষকরা আমাকে অভিনয় করতে উৎসাহিত করে বলেছেন, ককেশিয়ান না হলেও কোন অসুবিধা নেই, অ্যামেরিকায় আন্তর্জাতিক পরিবেশ রয়েছে। তারপরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয় ককেশিয়ান না হয়ে হলিউডে নাম করা বেশ কষ্টকর। প্রখ্যাত আফ্রিকান-অ্যামেরিকান অভিনেতা সিডনি পোয়াটিয়ে আজ থেকে ৫৫ বছর আগে অস্কার পেয়েছিলেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আর কতজন আফ্রিকান-অ্যামেরিকান সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন? যথেষ্ট নয়। আমি আশাকরি এই ইন্টারনেট সমাজে সবকিছুর গতি যেহেতু আগের চেয়ে বেশি সেহেতু ভারতীয়দের তেমন অবস্থায় আসতে আরও কম সময় লাগবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে আমরা বেশ ধীর গতিতে আগাচ্ছি। আসলে আমাদেরকে আরও সংঘটিত হতে হবে, নিজেদের সম্প্রদায়কে আরও সমর্থন জোগাতে হবে। বৈশ্বিক বাজারে উন্নতি করার একটাই উপায় আছে, পাইরেসি-র মত কাজগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা। এটা আমি আরও একবার বলতে চাই। ডিভিডি-র ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই পাইরেসি বন্ধ করতে হবে।বিপ্লব: আচ্ছা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলা সিনেমাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন এবং বাংলা সিনেমাকে বৈশ্বিক স্কেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার পরামর্শ কী?সম্রাট: একেবারে প্রথম থেকে শুরু করা যাক। সত্যজিৎ রায়ের সময়টাতে বাংলা সিনেমা যে শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে তাকে ছাড়িয়েও গেছে। এমনকি রায়ের "অপু ত্রয়ী" সেই সময়ই সব আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছে। আমি মনে করি, বর্তমানে তেমন পর্যায়ে পৌঁছানোর উপকরণ সবই আছে। কিন্তু আসল বিষয় হচ্ছে গল্প এবং নির্মাণ কৌশলের দিক দিয়ে উঁচু মান বজায় রাখা এবং সেটা ভালভাবে প্রকাশ করা।সুমন ঘোষের 'দ্বন্দ্ব'-এ নির্মাণ এর মান এবং গল্প খুবই সুন্দর। এতে রয়েছে বরুন মুখার্জির চমৎকার চিত্রগ্রহণ এবং ময়ূখ ভৌমিকের অনন্যসাধারণ সঙ্গীত যার সবই আন্তর্জাতিক মানের। তাই বলা যায় বাংলা সিনেমা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর মত অবস্থায়ই রয়েছে, এখন কেবল দরকার চলচ্চিত্র সম্প্রদায়টিকে সমর্থন জোগানো। এবং আবারও বলছি, সেটা পাইরেসির মাধ্যমে নয়, সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে করতে হবে।বৈশ্বিক ভারতীয় হিসেবে আমাদেরকে কম দামে পাইরেটেড ডিভিডি কেনা বা ভাড়া করা বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি ডিভিডির মূল কপি না কিনে পাইরেটেড কপি কিনে তাহলে নির্মাতা অর্থ হারায়। আর যথেষ্ট আয় করতে না পারলে নির্মাতারা নতুন মানসম্পন্ন সিনেমা বানাতে পারেন না।





বিপ্লব: আমি মনে করি বর্তমানে পাইরেসির চেয়ে ভয়ংকর জিনিস হচ্ছে টরেন্ট। কারণ বিট টরেন্টের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার থেকে খুব সহজেই যেকোন কিছু পাওয়া যায়।





সম্রাট: ঠিক তাই। সুতরাং আমি মনে করি যদি আমরা সুমন ঘোষ, ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন এর মত চলচ্চিত্রকারদের সিনেমার মূল কপি কে সাপোর্ট করি তাহলে বাংলা বা ভারতীয় সিনেমা বৈশ্বিক মার্কেটে আরও এগিয়ে যেতে পারবে।





বিপ্লব: আমার শেষ প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?





সম্রাট: আমার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা খুবই সরল। আমি অভিনেতা হিসেবে সিনেমার মাধ্যমে গল্প বলে যেতে চাই, বিশেষ করে এমন সব গল্প বলতে চাই যার সাথে বর্তমান সমাজের সম্পর্ক রয়েছে। তা সে হলিউড, ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা বেংগলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন। আমার কাছে সিনেমা একটি সর্বজনীন ভাষা। এটা বাংলা বা হিন্দি বা এমনকি ইংরেজিরও উর্ধ্বে। একটি নির্বাক চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও সবকিছু প্রকাশ করা সম্ভব। আমি অভিনেতা হিসেবে এভাবে গল্প বলে যেতে চাই তা সে এলএ, নিউ ইয়র্ক, বোম্বে বা কলকাতা যেখানেই হোক।

Monday, March 15, 2010

As an actor, my job is to tell a story, in a truthful, believable and in an interesting way-Samrat Chakrabarti on his latest release "Dwando"

advertisement



[Radio Interview is available in this Link]

Samrat Chakrabarty-the name may sound very Bengali to you-but he is indeed a Hollywood actor. He graduated in acting from American Repertory Theater and Moscow Arts Theater School . His film credit includes famous US TV
productions like "Law and order", "Sorpanos" and many more. He also acted in the Bengali movies like Bong connection, Piyalir password.

On 16th March, His latest Bengali movie Dwando will be released all over North American home entertainment market through Netflix, Amazon and Blockbluster. Dwando will create a history on 16th march-indeed it will be the first ever Bengali movie which will be released in the
North American market concurrently with India. This has all been possible thanks to Databazaar Media ventures who would distribute Bengali movies in North America
on First day first show. This is quite sensational considering we do not get latest Bengali release in North America.

Biplab: So Samrat welcome to VNN Radio,

Samrat: Thank you for having me, Biplab.

Biplab: You have a truly international film career, you have acted in Hollywood, Bollywood and Tollywood, and it’s really amazing at your age. Can you please share your experience, how you feel about all three industries?

Samrat: I grew up in Boston, Massachusetts, in America, and my parents thankfully gave me an education in many things Bengali, specifically -Rabindranath Tagore, at the age of 8, I was well versed with his music and poetry. In the US, I grew up watching mostly Caucasian actors on television and films. Movies like ET and Star Wars, is what I grew up on. Then at some point, my mother rented a Hindi film called “Namak Halal”, starring a young Amitabh Bachchan. It really changed my life. All of a sudden I saw on the big screen, someone who was Indian with a substantial role. And that inspired me to watch more Indian cinema, films like Satyajit Ray’s Apu’s Trilogy, and ultimately planted the dream of one day becoming a screen actor.

As far these three “Industries” (Hollywood, Bollywood and Tollywood) are concerned, I find many similarities in them. But first off, I would rather call Bollywood, “The Indian Film Industry” and Tollywood “The Bengali Film Industry” because they are not “wanna-be” industries, they ARE industries in themselves. In fact, the Indian Film Industry is the biggest film industry in the world. It HAS been for a long time and only now it’s getting some spotlight on a global scale.

Personally, I have had a very similar experience with all three Industries: I have looked up to people like Spike Lee and got to work with him in the Hollywood film “She Hate Me”. I have enjoyed numerous films made by the great Indian Film production company, YASHRAJ, who have made classic Amitabh Bachchan films like Silsila and I just worked on a film last year under the YASHRAJ banner called “New York”. And similarly, I have looked up to Soumitra Chatterjee, for years, since APUR SANSAR, and he is in both of the recent Bengali films I’ve done: Bong Connection and Dwando.

I remember, during the production of DWANDO: I was coming out of the dubbing room as the legendary Soumitra Chatterjee was getting ready to go in. We had some chai in the waiting area and he shared with me some funny anecdotes of what happened on the sets of Satyajit Ray’s “Aranyer Din Ratri”. That was quite a memorable moment for me.

I feel extremely lucky to be a part of all three industries and work with people who have inspired me to become an actor in the first place.

Biplab: So in the film DWANDO, your character is involved in an extramarital love affair. Did that character come to you naturally or how did you come about creating the character?

Samrat: (Laughs.) As an actor, my job is to tell a story, in a truthful, believable and in an interesting way. And I have played many different characters ranging from serious interrogators to romantic lovers. Part of being an actor, has to do with bringing ideas of self and self experiences to the character. But the other part of creating a character has to do with imagination and collaboration with the director.

Biplab: How much input and freedom did you get from director Suman on that, on the creation of the character you played in DWANDO?

Samrat: Suman gave me space to improvise, to help me bring my own authenticity to this character. His clarity of vision and generosity as a director was amazing. I would ask him questions sometimes, about a specific a line or a specific moment and he would answer them with ease and yet encourage me to explore it in my own way. Suman really created a comfortable environment to let the work happen. It was great to work together with him to find my character who portrays the lover of the of role played by the beautiful Ananya Chatterjee.

Biplab: How was your experience working with her? And how would your rate Ananya Chatterjee on an international standard?

Samrat: I think Ananya is a very strong, spontaneous and natural actress. I think she is here to stay and she will make waves. Working with her was a pleasure and a lot of fun because she is so down to earth and yet powerful. You can see it in her eyes; there is a lot of gravitas. There is effortlessness in her acting. I’ve had many co-stars in Independent, International, and Hollywood films, like the British actress, Rebecca Hazelwood in the film KISSING COUSINS or the accomplished Hollywood/TV actress Elizabeth Reaser in the film THE WEDDING WEEKEND. And to be honest, Ananya is right up there with them, in her skill, talent, and professionalism.

Biplab: That’s good to know…But being a South Asian, do you have a hard time in Hollywood? Because in my experience: I have seen that unless you are Caucasian, it is very difficult to make it big in Hollywood. So do you think that in that sense, Bollywood and now Tollywood are opening up more opportunities for South Asian actors in the United States?

Samrat: Yes I think it is a slow process but we are moving forward. I think the Indian and Bengali Film Industry are opening up new channels for South Asian actors in the US. And I think the fact that DWANDO is releasing on the same date through all these channels like Amazon, Netflix and Blockbuster, all over the world, IS a historical event. And we need to do this more, if we want to move ahead.

Frankly speaking, it IS difficult to make it in Hollywood, if you are not Caucasian. It’s been 55 years since the great African American actor, Sydney Poitier, won an Oscar. How many other African American Best Actor Oscar winners have there been, since? Not enough. I pray that it takes Indians a quicker time in today's high-speed Internet society we live in. But unfortunately we are moving at a low speed. Ultimately, I think we need to share and support our community, we have to come together. There is only one way to move forward on a global level, we must stop things like PIRACY. I want to say this one more time. We must stop piracy when it comes to DVDs.

Biplab: How do you rate Bengali cinema on an international standard and what are your suggestions on getting Bengali cinema more visible on a global scale?

Samrat: Well, let’s start at the beginning, Bengali Cinema matched and surpassed international standards during the times of Satyajit Ray. In fact, Ray’s APU trilogy won all the awards in the international festival back then. And I think, in today’s world, the content is already there. But it’s about keeping up a high standard for both production values and story, and getting it out there.

In Suman Ghosh’s DWANDO, the production values and story are beautiful. It has stunning cinematography by Barun Mukherjee and gorgeous music by composer Mayookh Bhaumik that are on a global standard. So Bengali cinema is already there on an international standard but now its really about supporting the film community. Again, NOT through piracy but thru legitimate channels.

We, as global Indians, must stop buying or renting pirated dvds at a discounted price. If one rents or buys a copy of a film (not the original), then the filmmakers lose money. If filmmakers lose money, they will not have money to make new, quality films.

Biplab: I think these days, more dangerous than piracy is the torrents, because these days in Bit Torrent, thru computer download, you can get any movie.

Samrat: Exactly. So if we continue to support the ORIGINAL prints of filmmakers like Suman Ghosh, Rituporno Ghosh, Aparna Sen, then the Bengali or Indian cinema WILL continue to rise and be successful in the global market.



Biplab: My final question: What's your career plan?

Samrat: My career plan is very simple: I want to continue to tell stories as an actor through the medium of cinema, specifically stories that are relevant to TODAY’S society. Whether that is in Hollywood or The Indian Film Industry, or The Bengali Film Industry. To me, cinema is a universal language. It goes beyond Bangla or Hindi or even English. You can do a silent film and express everything. It doesn’t matter if it takes place in LA, New York, Bombay or Kolkata. Let's continue to make it happen.

Saturday, March 13, 2010

বাঙালী সমাজের রক্ষণশীলতা কি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা?’



সম্পাদক বিপ্লব পালের প্রশ্নের মুখমুখি চিত্র পরিচালক সুমন ঘোষ

১৬ ই মার্চ-অর্থা এই সামনের মঙ্গলবার, তার নতুন সিনেমা দ্বন্দ্ব, গোটা উত্তর আমেরিকাতে মুক্তি পাচ্ছে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের সৌজন্যে
নেট ফ্লিক্স, ব্লক ব্লাস্টার এবং আমাজনের রিলিজ হচ্ছে, এই নতুন সিনেমা দ্বন্দ্বদ্বন্দ্ব বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে


এই প্রথম কোন বাংলা সিনেমা একই সাথে ভারতে এবং আমেরিকাতে রিলিজ হচ্ছে শুধু তাই নয় রিলিজের সাথে সাথে তা নেটফ্লিক্স, আমাজন বা ব্লক ব্লাস্টারে
পাওয়াও যাচ্ছে

সেই দ্বন্দ্ব নিয়েই আমরা কথা বলছি সুমন ঘোষের সাথে-যিনি একই সাথে অর্থনীতির অধ্যাপক এবং চলচিত্র পরিচালক

বিপ্লবঃ দ্বন্দ্বের এই গল্পটা কবে থেকে মাথায় এল? হঠা ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যা নিতে এক্সপেরিমেন্ট করতে ইচ্ছুক হলেন কেন?

সুমনঃ ত্রিকোণ প্রেমের গল্প দ্বন্দ্ব তা নয়, তবে মূল ন্যারেটিভ টা তাইএখানে আরো কিছু এক্সপ্লোর হয় একজন ডাক্তারের প্রিন্সিপল, প্রিন্সিপল টুওউয়ার্ডস প্রফেশন, পারসোনাল প্রিন্সিপল এই ছবিটার গল্প আমার মাথায় আসে অর্থা দ্বন্দ্ব গল্পের মূল inspiration ছিল ক্রিস্টভ ত্রিকলস্কির একটা ছোট গল্পসেটা দেখি এবং গল্পটা আমার মাথায় ধরেতখন আমি ভাবি এটা একটা contemporary renditionসুতরাং অনেক বছর পর এই রকম কাহিনী বাংলা ছবিতে খুব interesting হবেএবং শেষ পর্যন্ত ঠিক করিছবিতে সৌমিত্র চ্যাটার্জীর চরিত্রটিকে ভাবি এবং সেটাকে কি করে আরো explore করা যায় ওনার অভিনয়ের মাধ্যমে আমার প্রথম ছবিতে উনি আমার সাথে কাজ করেছেনসবমিলিয়ে সিনেমাটাকে একটা নতূন রুপকরণ দেওয়া হয়েছেএটা খুবি জরুরি, কারণ এটা fake property

বিপ্লবঃ বাঙালী সমাজের রক্ষণশীলতা কি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা? বিশেষত এই ধরনের থিমে যে কোন বিদেশী পরিচালক যৌনতা নিয়ে যতটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবেন, আপনি পারবেন না

সুমনঃ হ্যাঁ ঠিকআমাদের সমাজে তথা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এটা allowed নাতবে যদি আমার এই ছবি দ্বন্দ্বে যৌনতার দৃশ্য রাখার দরকার হত, আমি পিছপা হতাম না দ্বন্দ্বের মত ছবিতে এরকম দৃশ্য রাখার দরকার ছিল নাকিন্তু ছবিটির কাহিনী শুনে অনেকে হয়ত যৌনতা রাখার ডিমান্ড করবেনআমার মনে হয়নি যে এটা রাখার দরকার ছিল তাই রাখা হয়নিএখানে যখন আন্তর্জাতিক সিনেমা নিয়ে কথা হচ্ছে ইরানে ত অনেক বেশী সেন্সরশিপ । Abbas Kiarostami, Jafar Panahi, Majid Majidi এর সিনেমা তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছে তারা যা দেখাতে পারে না ,আমরা বাংলা ছবিতে দেখাতে পারিকিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের ছবির মান অনেক উচ্চমানেরসুতরাং আমার মনে হয় না যে বাঙালী সমাজের রক্ষণশীলতা বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা।

বিপ্লবঃ সত্যজিত রায় পশ্চিম বঙ্গ সরকারের অনুদানে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা বানিয়েছেনবর্তমানে রাজ্য সরকার সেসব অনুদান বহুদিন হল বন্ধ করে দিয়েছেনআন্তর্জাতিক মার্কেটের জন্যে বাঙালী সিনেমা বানিয়ে কি আপনার মনে হয় একটা বিকল্প পথের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে?

সুমনঃ হ্যাঁ definitely অনেক সহজ হবে দেখুন বর্তমানে অনেক বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না তা নয়আমি সব ছবির কথা বলতে পারবো না, তবে কিছু ছবির কথা বলতে পারি যে সত্যজিত রায়ের পরবর্তীকালে ঋতুপর্ণ ঘোষের বাড়িওয়ালিবা সুমন মুখোপাধ্যায়ের হারবার্টএগুলো সব আন্তর্জাতিক মানেরই ছবি তবে হ্যাঁ এই সমস্ত ছবি যে সময় হয় তখন বাংলা ছবির মার্কেটটা খুবি কম বা ছোটএরকম ঘরানার ছবি কলকাতার কিছু হল এবং বোধহয় শিলিগুড়ি বা বর্ধমানের মত কিছু বড় শহরের হলে মুক্তি পায়সে টা যে বক্স অফিসের দিক থেকে খুব ভাল সে রকম কিছু নাসুতরাং আমার মনে হয় বাংলা ছবির মার্কেট টাকে আরো expand করা উচিত এবং বক্স অফিস ধারণাটাকে গ্লোবালাইসড ওয়ার্ল্ড এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবেএরফলে পরিচালক যারা বাড়িওয়ালিবাহারবার্টএর মত সিনেমা তৈরি করে তেমন বাণিজ্যিক সফলতা পাননি তাঁরা আরো আগ্রহী হবে এই রকম সিনেমা তৈরী করতে এবং আরো বাড়িওয়ালিবা হারবার্টএর মত ছবি তৈরি হবে ও ছবিগুলি বাণিজ্যিক ভাবে সফল হবে

সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার সত্যজিত রায়, গৌতম ঘোষ বা মৃণাল সেনের পরিচালিত সিনেমাগুলো তে আর্থিক সাহায্য করেছিলোকিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছেএক্ষেত্রে এখন ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের উদ্যোগটা যথেষ্ট ভালোযা বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে ভালো হবে

বিপ্লবঃ আমেরিকাতে একটা বিদেশী সিনেমা ১০ মিলিয়ান ডলার করতে পারলেই-বিশেষ ভাবে সফল বলে বক্স অফিস মনে করেএই দশকে আমেরিকার সফল বিদেশী সিনেমা গুলি যদি আমরা দেখি-যেমন মটোর সাইকেল ডাইরি বা টক টু হারবা ফেয়ার ওয়েল টু মাই কঙ্কুবাইন বা এম্পায়ার এন্ড দি এসাসিন এর মতন আন্তর্জাতিক ভাবে সফল চাইনিজ সিনেমা গুলির মধ্যে কিছু কমোনালিটি আছে-এই সিনেমা গুলি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক পটভূমিকা এবং সেই বিশাল ক্যানভাসে দাঁড়িতে মানবিক সম্পর্ক গুলি যৌনতার কষ্টিপাথরে যাচাই করেছেদ্বন্দ্ব সেখানে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে বলে আপনার মনে হয়?

সুমনঃ প্রথমত কোনো তুলনা হয় নাআপনি যাদের নাম বললেন সেই সমস্ত সিনেমা বা সেই সমস্ত সিনেমার বিখ্যাত পরিচালকদের সাথে

আমার ছবি জাতীয় পুরস্কার পায় সৌমিত্র চ্যাটার্জী সেরা অভিনেতা এবং আমার সিনেমা বেস্ট বাংলা ফিল্ম হিসেবেবেস্ট বাংলা ফিল্ম তবে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি না আমি বাংলা ছবিকে হেয় করছি না , আমি নিজেকে হেয় করছি আর কিএকটা ছোট মাপকাঠি দিয়ে মাপলেই বোঝা যাবেসত্যজিত রায়ের পরবর্তীকালে ১৯৯০ সালের পর থেকে ২০০০ শতকে কোন বাংলা ছবি মেজর কোন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা সেকশনে গেছে কিনা আমার জানা নেই বা কোন কম্পিটিশন সেকশনে বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে বলতে পারেন? সুতরাং সেখান থেকেই বাংলা ছবির মাপকাঠিটা পরিষ্কার বোঝা যায়

বিপ্লবঃ বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করতে কি কি দরকার? ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারে বাংলা সিনেমা কি ভাবে উপকৃত হবে?

সুমনঃ বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করতে বাংলা সিনেমার মার্কেট টাকে আরো বাড়াতে বা expand করতে হবেডিমান্ড ও সাপ্লাই ব্যাপারটা জানেন তোসেই অনুযায়ী বাংলা ছবিকে ছড়িয়ে দিতে হবে আগে তো এটা ছিলনাতবে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের সহায়তায় বাংলা ছবির মার্কেট টা অনেক বেশী ছড়িয়ে পড়বেফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলা ছবির ভালো চাহিদা হবেবাংলা ছবি আবার সফলতা পাবে বলে আশা রাখি

( ভিডিও তে ইন্টারভিউটি শুনুন)।


Thursday, March 11, 2010

সুমন

[১] দ্বন্দের এই গল্পটা কবে থেকে মাথায় এল? হঠাৎ ত্রিকোন প্রেমের সমস্যা নিতে এক্সিপেরিমেন্ট করতে ইচ্ছুক হলেন কেন?

[২] ফেলিনি দ্বন্দের স্ক্রীপ্টটা পেলে কি ভাবে এই থিমটাকে ডেভেলপ করতেন? এখানে কি নিও রিয়ালিজম বা সারিয়ালিজম নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার স্কোপ ছিল?

[৩] বাঙালী সমাজের রক্ষনশীলতা কি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে একটা বাধা? বিশেষত এই ধরনের থিমে যে কোন বিদেশী পরিচালক যৌনতা নিয়ে যতটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবেন, আপনি পারবেন না।

[৪] সত্যজিত রায় পশ্চিম বঙ্গ সরকারের অনুদানে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা বানিয়েছেন। বর্তমানে রাজ্য সরকার সেসব অনুদান বহুদিন হল বন্ধ করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মার্কেটের জন্যে বাঙালী সিনেমা বানিয়ে কি আপনার মনে হয় একটা বিকল্প পথের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে?

[৫] আমেরিকাতে একটা বিদেশী সিনেমা ১০ মিলিয়ান ডলার করতে পারলেই-বিশেষ ভাবে সফল বলে বক্স অফিস মনে করে। এই দশকে আমেরিকার সফল বিদেশী সিনেমাগুলি যদি আমরা দেখি-যেমন মটোর সাইকেল ডাইরি বা টক টু হার। বা ফেয়ার ওয়েল টু মাই কঙ্কুবাইন বা এম্পায়ার এন্ড দি এসাসিন এর মতন আন্তর্জাতিক ভাবে সফল চাইনিজ সিনেমাগুলির মধ্যে কিছু কমোনালিটি আছে-এই সিনেমাগুলি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক পটভূমিকা এবং সেই বিশাল ক্যানভাসে দাঁড়িতে মানবিক সম্পর্কগুলি যৌনতার কষ্টিপাথরে যাচাই করেছে। দ্বন্দ সেখানে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে বলে আপনার মনে হয়?

[৬] বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করতে কি কি দরকার? ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারে বাংলা সিনেমা কি ভাবে উপকৃত হবে?

অনন্যা

আমরা কথা বলছি এই মুহুর্তে বাংলা সিনেমার সবথেকে আলোচিত নায়িকা অনন্যা চ্যাটার্জির সাথে।

১৬ ই মার্চ-অর্থাৎ এই সামনের মঙ্গলবার, তার নতুন সিনেমা দ্বন্দ, গোটা উত্তর আমেরিকাতে মুক্তি পাচ্ছে। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের সৌজন্যে
নেট ফ্লিক্স, ব্লক ব্লাস্টার এবং আমাজনের রিলিজ হচ্ছে, এই নতুন সিনেমা দ্বন্দ। দ্বন্দ বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে।
এই প্রথম কোন বাংলা সিনেমা একই সাথে ভারতে এবং আমেরিকাতে রিলিজ হচ্ছে । শুধু তাই নয় রিলিজের সাথে সাথে তা নেটফ্লিক্স, আমাজন বা ব্লক ব্লাস্টারের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকাতে পাওয়া যাবে।

সেই দ্বন্দ নিয়েই আমরা কথা বলছি অনন্যার সাথে।

[১] বিকল্প ধারার ছবি দ্বন্দ। চরিত্রাভিনয়ের যে সুযোগ তুমি এখানে পেয়েছে-সেটার সম্পূর্ন সুযোগ তুমি নিতে পেড়েছ বলে মনে হয়েছে? না আরেকবার স্যুটিং এর সুযোগ পেলে, দ্বন্দে আমরা অন্য অন্যনাকে পাব?


[২] সুমন বাবু যখন প্রথম সুদীপ্তার চরিত্রটা নিয়ে তোমাকে এপ্রোচ করেন-তখন কি মনে হয়েছিল? স্যুটিং এর সাথে সাথে কি সুদীপ্তা তোমার কাছে বিবর্তিত হয়েছে?


[৩] সুদীপ্তার চরিত্রের মধ্যে কি নিজের প্রতিফলন কিছু দেখতে পেয়েছে? না সুদীপ্তা তোমার কাছে কাল্পনিক? না ডিরেক্টরের সুদীপ্তা করতে মনোযোগী হয়েছে?


[৪] ত্রিকোন প্রেমের নারীর মানসিক অবস্থান বা টানাপোড়েন গুলো নিয়ে নিজের কোন বাস্তব অভিজ্ঞতাকি তুমি সুদীপ্তার চরিত্রে এনেছ?


[৫] দন্দের টিমটার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন? সুমন ঘোষের মতন নতুন ধারার পরিচালকরা কি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক করতে পারবে?