Tuesday, March 23, 2010

পার্ক স্ট্রীটে আগুন-রেগুলেশন গুলো মানতে কবে শিখব?



সেটা ২০০১ সালের ফ্রেব্রুয়ারী। আমেরিকাতে কাজের দ্বিতীয় দিন। হঠাৎ চারিদিকে ফায়ার সাইরেন। আমি ত সত্যিই আগুন লেগেছে ভেবে দৌড়ে অফিসের বাইরে এলাম। পড়ে শুনলাম ইহারে কয় ফায়ার ড্রিল। ইনস্পেক্টর হঠাৎ করে এসে দেখছেন, বিল্ডিং গুলি রেগুলেশন মেনে চলছে কি না। ফায়ার এলার্ম চলে কি না। এমার্জেন্সি এক্সিট গুলো খোলে কি না। বছরে দুবার প্রতিটা অফিস বিলডিং এই ভাবে চেক করা হয়।


কলকাতার বাড়ি-অফিসগুলোর এমন দূরাবস্থা-আগুন কেন লাগল-তার চেয়ে, আগুন কেন রোজ লাগে না, সেটা ভেবেই আশ্চর্য্য হই বেশী। যে কোন অফিস একটু পুরানো মানেই তার প্রতিটা তলে স্টোভ জ্বেলে রান্না, ইলেকট্রিকের ওপনে পুরানো তার ছড়াছরি চারিদিকে। কোলকাতা মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা আদৌ কোন দিন কোন আফিসে গিয়ে ফায়ার ড্রিল করেন বলে শুনি নি। অথচ এটা পৃথিবীর সর্বত্রই নিয়ম।


এমন জতুর্গৃহের জন্যে যে ফায়ার বিগ্রেড থাকে তাদের কি অবস্থা?


আগুন লেগেছিল ১-১৫ তে। ফায়ার বিগ্রেড সাথে সাথেই খবর পেয়েছে-মাত্র ৫ মিনিট দূরে তাদের অফিস। তাও তাদের কাজ শুরু করতে করতে ২টো বেজেছে। সঙ্গে আধুনিক মই ও ছিল না। ফলে ৪ জন ঝাঁপিয়ে মারা গেছে। আধুনিক ফায়ার বিগ্রেড থাকলে, মূল্যবান প্রাণগুলি বেঁচে যেতে পারত।


আসলে পশ্চিম বঙ্গের বর্তমান বামফ্রন্ট সরকার এতটাই অপদার্থ এদের গালাগাল দিতেও করুণা হয়। ফায়ার বিগ্রেডের আধুনীকরনের টাকা ফিরে যায়-মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা সম্ভবত অফিসেই আসেন না। আমেরিকা ইরাকে একটা কাক মারলে এরা বিগ্রেডে মিছিল ডাকে-আর সেই যে মূল্যবান প্রানগুলো হারালো-এদের জন্যে আবার ইহা হইয়া থাকে বা কমিটি বসিয়েই দ্বায়িত্ব সারবে। আর আমাদের বিরোধী নেত্রী ঘটনা স্থলে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক কিছু করেছেন। সেই জন্যে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে খাটো করব না-কিন্ত সিস্টমে কি ঘুন ধরেছে, সেটা নিয়ে ভাবার ক্ষমতা বোধ হয়, তার পার্টির ও নেই।

No comments:

Post a Comment