Friday, July 23, 2010

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি-মাওবাদি অত্যাচার থেকে এখন মুক্তি চাইছে আদিবাসিরা



ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়াটাই নিয়ম।
আর যদি ভুল আদর্শবাদের পথে লোককে ঠেলে, তাদের ক্রমাগত পাঁঠাবলি দেওয়া হতে থাকে, এবং এটাই যদি কমিনিজমের সর্বত্র ইতিহাস হয়-তাহলে বলতেই হবে জঙ্গল মহলে মেয়েরা যেভাবে "জনগণের কমিটি" ( যা এখন প্রকাশ্যেই মাওবাদিদের একটি উইং হিসাবে কাজ করছে) এর বিরুদ্ধে একসাথে রুখে দাঁড়িয়েছে-তাতে এটা পরিস্কার মাওবাদিদের পায়ের তলার ভিত নড়ে গেছে। আর যত সেই ভিত নড়ছে-ততই তাদের অত্যাচার বাড়ছে।

১৯১৮-১৯ সালে রাশিয়ার ইতিহাসে ঠিক একই ঘটনা ঘটে। অনেক আশা জাগিয়ে ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে নির্বাচিত এসেম্বলিকে রেড আর্মির বন্দুকের নলের সামনে ভেঙে শ্রমিক শ্রেনীর প্রতিনিধি বলে দাবী করে লেনিনের বলশেভিক গুন্ডা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। কিন্ত সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ১৯১৮ সালে শুরু হয় লাল সন্ত্রাস বা বলশেভিকদের গুন্ডামো। যেসব শ্রমিকরা এক সময় বলশেভিক পার্টি বা লেনিনকে সমর্থন করেছিল-তারাই রাশিয়ার সর্বত্র বলশেভিক পার্টির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে। তারা ভেবে ছিল লেনিন শ্রমিক কৃষকের উদ্ধার কর্ত্তা-তারা ভাবে নি ক্ষমতায় গেলে সবাই হয় রাবণ। আর লাল বিপ্লবীরা ক্ষমতা পেলে তারা হয় দশাণন। কিন্ত তখন সেনা বাহিনী ছিল লেনিনের হাতে। ৫০০,০০০ শ্রমিক কৃষককে হত্যা করে লেনিন ক্ষমতা অটুট রাখেন।

কিন্ত জঙ্গল মহলে ত আর মাওবাদি দের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নেই। এখানে মাওরা খুন করলে, আধাসেনা বাহিনীর কাছে খবর পৌছে দিলে, মাওরা মার খাবেও। গত দুই বছরে মাওবাদিদের হাতে বন্দীত্ব আদিবাসিদের কাছে খুব সুখকর হয় নি। তারা ধীরে হলেও বুঝেছে জলে মাওবাদি, ডাঙায় পুলিশ-এই অবস্থায় তাদের জীবনটাই নষ্ট হতে চলেছে। মাও কিবা সরকার-কেওই তাদের বন্ধু না-সবার কাছেই তারা দাবার বোরে। তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে মাওবাদিরা গুলি মারবে-আর সরকার পেটে বসাবে।

এইভাবে কমিনিউস্ট গুন্ডা বাহিনী নামিয়ে আদিবাসিদের উন্নতির কোন আন্দোলন করা সম্ভব না আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি। শত্রু যখন শক্তিশালী, অহিংস আন্দোলনের কোন বিকল্প সেদিন ও ছিল না। আজ ও নেই। প্রশ্ন উঠবে যারা আহিংস পথ নিয়েছিলেন-যেমন হিমাংশু কুমার বা ডঃ বিনায়ক সেন-তাদের ওপর পুলিশী অত্যাচার নেমে এসেছে। আমার পালটা প্রশ্ন হল গান্ধীবাদিরা কি বৃটিশ পুলিশের লাঠি খান নি , না বৃটিশদের জেলে যান নি? ইতিহাস সেই বৃটিশ দের মনে রেখেছে-না মাতঙ্গিনী হাজরাকে মনে রেখেছে? পুলিশ হিংসাত্মক হলেই হিংসার পথ নিতে হবে? তাহলে ত অহিংসার দর্শনেরই পরাজয়। শত্রুকে তার ভুল বোঝানোই আসল গান্ধীবাদ-আর শত্রু তার ভুলের মধ্যে দিয়েই সেটা বুঝবে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে আদিবাসিদের শত্রু আমরা। সভ্য বাঙালী বা ভারতীয়রা। সেই বোধটা বা সংবেদনশীলতাই যখন ভারতবাসীদের মধ্যে জাগরুক না-তখন মাওবাদিদের খুনোখুনি আদিবাসীদের কোন সমস্যার সমাধান করবে? এটাত সরল সমীকরন। আদিবাসীদের ঢাল করে কিছু রোম্যান্টিক বিপ্লবী ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। আদিবাসীরা আর বেশীদিন বোরে হতে চাইবে না। সেই সময় আজ আগত।

Wednesday, July 21, 2010

বঙ্গ সম্মেলন ২০১০ -বাঙালী আর কবে শিখবে?




(১)
আমি আমেরিকাতে এসেছি ২০০১ এর জানুয়ারীতে-নাসডাক যখন হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করে সেই বছর এসেই বঙ্গ সম্মেলনে গিয়েছিলাম-বস্টনের লাওয়েলে আসলে বঙ্গ সম্মেলন নিয়ে আনন্দবাজার আগে এত হাইপ মার্কেটিং করেছে -বলাযায় একগাদা প্রত্যাশা নিয়েই গিয়েছিলাম বস্টনে তখন উদ্যোক্তাদের টাকা ছিল না-কনভেনশন সেন্টার ভাড়া করার বাজেট তাদের ছিল না হাইস্কুল ভাড়া করে বঙ্গ সম্মেলন হত পাত পেড়ে মাছ ভাত শুক্ত খায়িয়েছিল খারাপ লাগে নি তখন কোলকাতা থেকে হাতে গোনা কয়েকটা গয়না বা শাড়ির স্টল বসত

(২)

এরপর দীর্ঘদিন বঙ্গ সম্মেলনে যাওয়া হয়ে ওঠে নি-২০০৮ সালে টরেন্টো বঙ্গ সম্মেলনে বহুদিন বাদে গেছি। সেখানে বেশ অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। খাবার দাবার কিছু ছিল না। আমার এক কাকাশশুরের বাড়ি থেকে যাতায়াত করছিলাম। শুক্রবারে ওপেনিং সেরিমনির দিনে রাত আটতেই খাবার শেষ। নচিকেতা, বিপ্লব সহ অনেক কেই স্থানীয় টরেন্টোবাসিরা খায়িয়েছিল। মির শেষমেশ খিদের চোটে আমাকেই বলেই দিল-এটা কি ধরনের সম্মেলন দাদা? উদ্যোক্তাদের ধারে কাছে পাওয়া যায় নি। বোধ হয় গণ ধোলাই এর ভয়ে কেওই আর নিজেদের টরেন্টো সম্মেলনের উদ্যোক্তা বলে পরিচয় দেয় নি। এই কেলেঙ্কারী থেকে বে এরিয়ার বাঙালীরা শিক্ষা নিয়ে ২০০৯ সালে আবার খাবারের বন্দোবস্ত ভাল ছিল বলেই শুনেছি। কারন উদ্যোক্তারা
কিচেন নিয়ে যত্ন নিয়েছিলেন।

২০১০ সালে আটলান্টিক সিটিতে আবার টরেন্টোর স্মৃতি ফিরে এল। ক্যাটারিং এর দ্বায়িত্বে ছিল শাওনাওয়াজ বলে এক পাকিস্থানি দোকান। তাদের যঘন্য ডিমের কারি খেয়ে বাঙালীর উৎসবের আমেজ আর মেজাজটাই এবার দফারফা হয়েছে। বাঙালী খাবার ছারা কি করে বঙ্গোৎসব হয়? সেটা গোটা পৃথিবীর বাঙালী বুঝলেও উদ্যোক্তা বাঙালী বোঝে না-কারনা তাদের দৃষ্টি কি করে সেই খাবারের দোকানীর কাছ থেকে মোটা স্পনসর পাওয়া যায়! কেন সেই স্পনসর লাগে, কোথায় সেই টাকা যায়-সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। কারন যে বঙ্গ সম্মেলনে অভিজিতের মতন বলিউডি গায়করা গাইবেন-আর শুভমিতার মতন শিল্পীদের পাত্তা নেই-সেখানে অভিজিতের হিন্দি গান শোনার বিল মেটাতে বাঙালীকে কেন অখাদ্য পাকিস্থানী খাবার খেতে হবে ঐ দুই দিন-সেটা আমার সাধারন বুদ্ধিতে বোধগম্য না।


(৩)
অনুষ্ঠান নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করল ক্যাকটাস নামে কোন এক কোলকাতার নৃত্যগোষ্ঠী। কেমন করেছে? দু একটা স্যাম্পল এখানেই দেখুন। তাদের নাচের সমালোচনা করছি না-কিন্ত যেমন খুশী তেমন নাচ বা গরুর লেজে রঙ দিয়ে কেও ছবি আঁকলে যে এবশট্রাক্ট আর্ট হয়-সেটা কারুর কারুর ওপর অত্যাচার ও হতে পারে। আমি ১৫ মিনিট দেখেই উঠে গেছি। খুব পরিস্কার ভাবে উদ্যোক্তারা দ্বায়িত্ব দিয়েই খালাস ছিলেন-কেও দেখেনি আসলে হচ্ছে টা কি। ক্যাকটাস তাও নাচতে পারে-যারা বিদায়ী অনুষ্ঠান করল-ভারতীয় আর জাপানী নৃত্যের কোলাজ করে-সেটাত আরো ভয়াবহ। ওই গ্রুপের নৃত্যশিল্পীদের চেয়ে যেকোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা এখানে ভাল নাচে। উৎপল ফকিরের গান খুব ভাল লেগেছে।
অনীক অনেক উন্নতি করেছে দেখলাম। আমি অধিকাংশ সময় ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের স্টলে থাকায়-বাকী অনুষ্ঠান খুব বেশী দেখিনি-তবে অভিজিত অসহ্য লেগেছে। উপস্থাপনা সেই গ্রাম্য বোকা বোকা ভাঁড়ামো। ন্যাশভিলের স্থানীয় বঙ্গ সম্মেলনে পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন আনন্দবাজারের সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য্য। দারুন লেগেছে আমার। কারন প্রতিটা শিল্পীকে খুব ভালভাবে চেনেন গৌতমবাবু। সেইতুলনায় বঙ্গ সম্মেলনের উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছিল-নদীয়ার মফঃশহরে বসে শীতকালের টলিউড নাইট দেখছি!

(৪)

বঙ্গ সম্মেলনে গানকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়-সিনেমা বা নাটক দারুন ভাবে অবহেলিত। মূলত ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের অনুষ্ঠানগুলি কভার করছিলাম বলে সিনেমার দিকটাতেই ছিলাম। সিনেমাকে যেভাবে দুয়োরাণী করে রাখা হয়েছিল-তাতে কোলকাতা থেকে আগত ফিল্মস্টারদের অনেকেই অপমানিত বোধ করেছেন। অরিজিত খুব ভদ্রভাবেই
উদ্যোক্তাদের কাছে সাজেশন রেখেছেন-২০১১ সালে ফিল্ম সেকশনটিকে গুরুত্ব দিতে
বারের সব থেকে বড় স্পনসর ছিল-ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার, যারা সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা আমেরিকাতে হলে দেখাচ্ছে বা আমাজনের মাধ্যমে ডিভিডি বিক্রি করছে। অথচ-চলচ্ছিত্র সেকশনটিকে যেভাবে অন্য হল ঘরে রাখা হয়েছে, তা বাঞ্ছনীয় না। পরেরবার সিনেমা সেকশনটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। মেইন স্টেজে স্থানীয় শিল্পী বেসুরো স্বরে গাইবে-আর একটি পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ২০০ জনের হলে দেওয়া হবে-তা বেশ দৃষ্টিকটু।

(5)

স্পনসর রা বঙ্গ সম্মেলন কোন দিন ই পছন্দ করে নি। কিন্ত আমেরিকান বাঙালী সমাজে এর বিকল্প না থাকায় এত দিন বঙ্গসম্মেলন ছিল রিয়াল এস্টেট মুঘলদের ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। এবার প্রথম বারের মতন ন্যাশভিলে আঞ্চলিক বঙ্গ সম্মেলনের জন্ম হয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম। ন্যাশভিলের আঞ্চলিক বঙ্গসম্মেলন দারুণ সফল। এই ট্রেন্ড চালু থাকলে ২০১২ সাল থেকে বঙ্গ সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের কপালে দুঃখ আছে।

শাড়ি বা গয়নার দোকানীদের বিক্রি ভালোই ছিল। তাদের লোকসান হয় না। কিন্ত রিয়াল এস্টেট কোম্পানী গুলো দেখলাম বেজায় অখুশী। একেত তাদের স্টলের পজিশন ছিল ভেতরে। তারপর বঙ্গ সম্মেলন নতুন বাঙালীদের একদম টানতে পারছে না। রিয়াল এস্টেট আসে নতুন খরিদ্দারের খোঁজে। নতুন বাঙালী আমেরিকাতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ২০০৮ সালের রিশেসনের পর থেকে। ফলে রিয়াল এস্টেটের জন্যে বঙ্গ সম্মেলন আমের আঁটি। তবে গয়না আর শাড়ি বিক্রি বেড়েই চলেছে। ডিভিডি বিক্রিও ভালোই হয়েছে- বই এর নতুন পড়ুয়া নেই। নামী শিল্পীদের ছবির ভালো কাটতি ছিল। মোটামুটি ১৫০০-২০০০ বাঙালী আসে বঙ্গ সম্মেলনে। সব মিলিয়ে ২০০,০০০-৩০০,০০০ ডলারের বেশী কেনা কাটা হয় বলে মনে হয় না। তাও তার সিংহভাগ যায় জুয়েলার্সদের পকেটে। তবে এটাও ঠিক-বঙ্গ সম্মেলন বিশ্বের সব থেকে ধণী বাঙালীদের সম্মেলন।

এবার বিজনেস ফোরাম ভালোই চলেছে। আরো অনেক বেশী বাঙালী ব্যাবসাতে আসছেন-এটা দারূন সুখবর। আরো বেশী বাঙালী ব্যাবসায়ী বঙ্গ সম্মেলনে আসুন। এটাই চাইব।

Thursday, July 8, 2010

Bengali Film industry greets detabazaar in NABC2010



8th July, 2010: Atlantic City, NJ


Members of Bengali Film industry-Arpita, Arijit, Aniruddha (Tony) and Sayan arrived today in Atlantantic City, NJ, venue of North American Bengali Conference 2o10. Databazaar hosts a dinner to celebrate the opening of Bengali Film industry in US market. Aniruddha Roy Choudhuri, celebrated film maker of Antaheen and Ekti tarar khonjer told the audience


that for a long time good Begali Films had market only in Kolkata-now addition of


foreign market would surely surge a new generation of Bengali Films. He also told that he would like to see more experiments with Bengali Films.




DVDs of all the latest Bengali Movies, Ekti Tarar Khonje, Jadi Ekdin, The Japanese Wife, Dwando and Angshumaner Chabi will be available from Databazaar Stall 502 in NABC 2010. Cast and crew from Ekti tarar khonje will be available in the stall to sign the DVDs for you.

Monday, May 24, 2010

Bengali Press Release

দারুন ভালো লাগলো সিনেমাটি দেখে। বিশেষ করে আপনারা, ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের পরিচালক দেবাশিষ রায় এই চমৎকার আইডিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ পাবেন। প্রতিমাসে যদি এমন একটা সিনেমা দেখা যায় তাহলে খুবই ভালো হবে। কারণ পাইরেটেড ডিভিডির বাজে প্রিণ্ট, বাজে সাউণ্ডে সিনেমা দেখে আসলে ঠিক সিনেমার আসল স্বাদটা উপভোগ করা সম্ভব হয়না। আর আজকে এতো দর্শক আগমন এবং সবার সিনেমা দেখা পরবর্তী এই উচ্ছ্বাসই বলে দেয় এমন উদ্যোগে আমেরিকার দর্শকরা সবসময়ই পাশে থাকবে।

মন্তব্যটি করেছিলেন, আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলা চলচ্চিত্র "দ্য জাপানীজ ওয়াইফ" এর প্রিমিয়ার শো শেষ হবার পরে একজন দর্শক। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার নর্থ আমেরিকার দর্শকদের জন্য এখন থেকে ভারতের পাশাপাশি সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো আমেরিকাতেও প্রিমিয়ার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের প্রথম শো ছিলো "দ্য জাপানীজ ওয়াইফ"। সিনেমাটি প্রদর্শন করা হয়, কুইন্স অর্কাড হাই স্কুলের চমৎকার অডিটোরিয়ামে। ভাবনার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়া যায় দর্শকদের কাছ থেকে। কানায় কানায় পরিপূর্ন না হলেও বেশ বড় একটা বাঙ্গালী সমাবেশ হয় সেদিন।

প্রিমিয়ারের শুরুতেই ভিএনএন বাংলার বিপ্লব পাল কথা বলেন ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের পরিচালক দেবাশিষ রায় এবং আমেরিকার বাঙ্গালী এসোসিয়েশন সংস্কৃতি'র সভাপতি মিঃ তপনের সাথে। দেবাশিষ রায় জানান, এতোদিন এইদেশে বাংলা সিনেমা দেখার উপায় কী ছিলো? হয় পাইরেটেড ডিভিডি কিংবা ছবি মনে টুকে রাখা যাতে করে দেশে গেলে সেটা দেখা নেওয়া যায়। এই প্যাচ থেকে দর্শকদের মুক্তিদিতে ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি প্রবাসী এই বিপুল সংখ্যক দর্শকদের জন্য বাংলা সিনেমা প্রদর্শনের একটা স্ট্রাকচার তৈরী করতে। যাতে প্রতিমাসে অন্তত দুটো তিনটি সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা দর্শকদের দেখানো সম্ভব হয়। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চার প্রবাসী বিভিন্ন বাঙ্গালী এসোসিয়েশনের সাথে যোগাযোগ করে অডিটোরিয়াম ভাড়া করে সিনেমা দেখানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া যারা সিনেমা হলে এসে দেখতে পারবেন না, তারা যেন ভালো মানের এবং ভালো সাউন্ডের বাংলা সিনেমা কিনে দেখতে পারেন, তার জন্য এমাজন, নেটফ্লিক্স, বেস্টবে, আইটিউনস সহ প্রায় সকল অনলাইন স্টোরে এ সকল ধরণের সিনেমা রাখার ব্যবস্থাও করছে ডেটাবাজার।


ওয়াশিংটনের সকল চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য ডেটাবাজার বাঙ্গালী এসোশিয়েশন সংস্কৃতি'র সাথে সম্পর্কবদ্ধ হয়েছে। এই প্রসংগে সংস্কৃতির সভাপতি তপন জানান, সংস্কৃতি প্রায় চল্লিশ বছর বয়স্ক সংগঠন। কিন্তু এতোদিনেও তারা এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেননি। বিপ্লব পালের ভিন্ন এক প্রশ্নে তিনি জানান, এই উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বাঙালি কমিউনিটির যার সাথেই কথা বলেছেন সেই খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর দর্শকদের এই দারুন ফিডব্যাকের কল্যানে সংস্কৃতি এখন থেকে প্রতিমাসেই অন্তত দুটি থেকে তিনটি ছবি এইভাবে উইকএণ্ডে দেখানোর ব্যবস্থা করবে।

Wednesday, April 14, 2010

News uploading instruction

Then this is how you fill up the form

Headline--> give any title of news/article

By line--> Your name or the author of the article

Tags--> browse words, correct tag for the news

Picture:
browse a pic that is right for the news/article

Filed by: Your name

Summery: Summary of the news in 1-2 lines

Enter a link: This is optional. If your news needs to be pasted from a email, then paste that news in enter story--- don't need this then
But if you need to paste URL of news or blog, or if you are cross linking the news then give URL of that news here.

If the news is Youtube:
enter the link this
http://www.youtube.com/watch?v=gWysgJINbA4&feature=popular

>>>
http://www.youtube.com/watch/v/gWysgJINbA4&feature=popular

Upload a file : This is optional. If you are uploading a audio-file you will need it.
Enter story : Copy and paste your blog here, if you do not want to link it-this is optional..and do not need it when URL is given or youtube video is link

Then click publish-and it is published!!!!


If you make a mistake, then just delete the news by hitting right hand top button.. assetid is the number in the URL link of the published news..for example for link of the news
http://www.vnnbangla.com/newsreader.aspx?id=144
you need to give 144 in delete and hit delete.
In short it is news aggregation system in all forms-mainstream, blog-all kinds of news can be accomodated here.
Please keep uploading and linking your latest news/blogs/videos...

Friday, April 9, 2010

ITunes এ প্রথম বাংলা সিনেমা ঃ দ্বন্দ ইতিহাস তৈরী করল

অনেকেই ভাবছেন আই টিউনে বাংলা সিনেমা "দ্বন্দ" রেন্টে বা ডাউনলোড হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে-এই ঘটনাকে কেন আমি ঐতিহাসিক বলছি? টরেন্ট সহ নানান ডাউনলোড সাইটে অমন শত শত বাংলা সিনেমা বেআইনি ভাবে ডাউনলোড করা যায়!

এতে নতুনত্বটা কি?

এটা বুঝতে আমাকে ভিডীও প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আই টিউন সাইটের মালিক আপলকে নিয়ে কিছু লিখতে হয়। আই ফোন বা আই পডের দৌলতে আপনার সবাই আপল কোম্পানীর নাম অবশ্যই শুনেছেন। আপল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উদ্ভাবক কোম্পানী হিসাবে গত তিন বছর ধরে প্রথম স্থানে। এরাই প্রথম হাই ডেফিনিশন ভিডিওর জনক-যা তাদের H-264 কোডেকের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে জন্ম নিয়েছিল আজ থেকে ছয় বছর আগে। কোডেক হচ্ছে কিছু গণিতিক এলগোরিদম যা দিয়ে ভিডীও ফাইলকে কম্প্রেস করে ছোট করা হয়। যেমন ধরুন একটা ১ঘন্টার সিনেমা হাই ডেফিনিশনে শুটিং করলে, তার ফাইল সাইজ দাঁড়াবে ১২ টেরাবাইটের ওপরে ( এক টেরাবাইট মানে ১০০০ গিগাবাইট)। ৩৫ মিলিমিটারের ফিল্ম থেকে ডিজিটাল মাস্টার ( ডিজি বিটা) বানালে, সেটার সাইজ হয় ১০০ গিগাবাইট। এবার সেটা দিয়ে না ডিভিডি হবে, না কেও ডাউনলোড করতে পারবে। কারন ডিভিডি তে ২-৮ গিগাবাইট আঁটে। ফলে অনেক গণিত কষে সেই ফাইলকে ছোট করে দেওয়া হয়, যাতে ভিডিওর রং, বা মোশন বা রিজল্যুশনের ক্ষতি না হয়। সেই গণিতকে বলে ভিডিও কোডেক-যার কোডেক যত উন্নত তার ভিডিও কোয়ালিটি তত উন্নত।

আই টিউন সাইট থেকে ভিডিও দেখার সাথে অন্য ডাউনলোড বা ডিভিডির পার্থক্য কোথায়?

প্রথমে ডিভিডির কথাতে আসি।ভিসিডি কোডেক কোয়ালিটি হচ্ছে MPEG1 । ডিভিডিতে যে কোডেক চলে তা MPEG2। আর আই টিউন তৈরী হয় H-264 নামে এপেলের কোডেক দিয়ে যা MPEG4 or MP4-অর্থাৎ তা ডিভিডি থেকে অনেকগুন উন্নত। ডিভিডির একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, এগুলো 8-bit encrypted. সেখানে আই টিউনে ৩২ bit বা 64 bit encrypted কোডেক চলে-ফলে ভিডিওর রঙ এবং মোশন অনেক উন্নত। তবে বাংলা সিনেমার ডিজিটাল মাস্টার অত ভাল হয় না-তবুও এই দ্বন্দ সিনেমারই ডিভিডি এবং আই টিউন ফাইলের কোয়ালিটির মধ্যে অনেক পার্থক্য। আই টিউনের ভিডিও দেখে আপনার অনেক বেশী ভাল লাগবে। সেই অর্থে দ্বন্দই হল প্রথম বাংলা সিনেমা যা আপনারা MPEG4 এ দেখতে পাবেন।

আর বে আইনি ডাইনলোড কোয়ালিটি? আমার কিছু বলার নেই। এগুলো ডিভিডি রিপ করে সস্তার WMV-9 কোডেকে করা ভিডিও। এমনিতে ডিভিডি কোয়ালিটিই আহামরি কিছু না-আবার সেটাকে ভেঙে WMV-9 এর মতন মাইক্রোসফটের পুরানো কোডেকের ভিডিও খুবই নিম্নমানের। খারাপ কোয়ালিটির ভিডিও আমাকে বিনা পয়সাতে কেও দেখালেও আমি দেখব না। কারন সেটা আমার কাছে অত্যাচার। তাছারা আই টিউন সাইটে পয়সা দিয়ে বাংলা সিনেমা দেখলে, সেই টাকার ৭০% বাংলা সিনেমা শিল্পে যাবে। যা বাংলার সংস্কৃতিকে উন্নত করবে।

আমি যেটা লিখলাম-সেটা শুধু পড়ে বুঝতে পারবেন না। আপল সাইট থেকে দ্বন্দ রেন্ট করে দেখুন ( এখানে ক্লিক করুন)। তাহলেই পার্থক্যটা খুব ভাল করে বুঝতে পারবেন।

ডেটাবাজারের কর্নাধারন অনি শীল যখন আমাকে ইমেল করে জানালেন, দ্বন্দ আইটিউনে পাওয়া যাচ্ছে-আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার আই টিউন একাউন্ট থেকে দ্বন্দ রেন্ট করে নিলাম। বাংলা সিনেমার জন্যে উনি যা করে দিয়ে গেলেন, ইতিহাসই তার উত্তর দেবে। কারন সমগ্র বিশ্বের সিনেমা এখন আই টিউনে পাওয়া যায়। বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক হতে গেলে আই টিউনে আসতেই হত। ডেটাবাজার মিডিয়া ভেঞ্চারের মাধ্যমে উনি যুগান্তকারী সেই পথটা খুলে দিয়ে গেলেন। তবে বাংলা সিনেমাকে আরো উন্নত করতে হবে। বাংলা সিনেমার ক্যামেরা, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পোষ্টপ্রোডাকশন এখনো বেশ নিম্নমানের।

হয়ত আই টিউনে বাংলা সিনেমাটা যাবে, সেই চাপেই বাংলা সিনেমা এবার উন্নত প্রযুক্তির আঁচল ধরবে।

Tuesday, March 23, 2010

পার্ক স্ট্রীটে আগুন-রেগুলেশন গুলো মানতে কবে শিখব?



সেটা ২০০১ সালের ফ্রেব্রুয়ারী। আমেরিকাতে কাজের দ্বিতীয় দিন। হঠাৎ চারিদিকে ফায়ার সাইরেন। আমি ত সত্যিই আগুন লেগেছে ভেবে দৌড়ে অফিসের বাইরে এলাম। পড়ে শুনলাম ইহারে কয় ফায়ার ড্রিল। ইনস্পেক্টর হঠাৎ করে এসে দেখছেন, বিল্ডিং গুলি রেগুলেশন মেনে চলছে কি না। ফায়ার এলার্ম চলে কি না। এমার্জেন্সি এক্সিট গুলো খোলে কি না। বছরে দুবার প্রতিটা অফিস বিলডিং এই ভাবে চেক করা হয়।


কলকাতার বাড়ি-অফিসগুলোর এমন দূরাবস্থা-আগুন কেন লাগল-তার চেয়ে, আগুন কেন রোজ লাগে না, সেটা ভেবেই আশ্চর্য্য হই বেশী। যে কোন অফিস একটু পুরানো মানেই তার প্রতিটা তলে স্টোভ জ্বেলে রান্না, ইলেকট্রিকের ওপনে পুরানো তার ছড়াছরি চারিদিকে। কোলকাতা মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা আদৌ কোন দিন কোন আফিসে গিয়ে ফায়ার ড্রিল করেন বলে শুনি নি। অথচ এটা পৃথিবীর সর্বত্রই নিয়ম।


এমন জতুর্গৃহের জন্যে যে ফায়ার বিগ্রেড থাকে তাদের কি অবস্থা?


আগুন লেগেছিল ১-১৫ তে। ফায়ার বিগ্রেড সাথে সাথেই খবর পেয়েছে-মাত্র ৫ মিনিট দূরে তাদের অফিস। তাও তাদের কাজ শুরু করতে করতে ২টো বেজেছে। সঙ্গে আধুনিক মই ও ছিল না। ফলে ৪ জন ঝাঁপিয়ে মারা গেছে। আধুনিক ফায়ার বিগ্রেড থাকলে, মূল্যবান প্রাণগুলি বেঁচে যেতে পারত।


আসলে পশ্চিম বঙ্গের বর্তমান বামফ্রন্ট সরকার এতটাই অপদার্থ এদের গালাগাল দিতেও করুণা হয়। ফায়ার বিগ্রেডের আধুনীকরনের টাকা ফিরে যায়-মিউনিসিপালিটির ইন্সপেক্টররা সম্ভবত অফিসেই আসেন না। আমেরিকা ইরাকে একটা কাক মারলে এরা বিগ্রেডে মিছিল ডাকে-আর সেই যে মূল্যবান প্রানগুলো হারালো-এদের জন্যে আবার ইহা হইয়া থাকে বা কমিটি বসিয়েই দ্বায়িত্ব সারবে। আর আমাদের বিরোধী নেত্রী ঘটনা স্থলে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক কিছু করেছেন। সেই জন্যে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে খাটো করব না-কিন্ত সিস্টমে কি ঘুন ধরেছে, সেটা নিয়ে ভাবার ক্ষমতা বোধ হয়, তার পার্টির ও নেই।