Sunday, November 29, 2009

First convention of Janachetana Mancha held in Sujata Sadan Mancha




Uttal Ghosh, reporting from Sujata Sadan

( His radio reporting can be heard in this link)

Convention of JANACHETANA MANCHA, peoples’ forum of West Bengal, held today (29th November, 2009) at SUJATA SADAN, KOLKATA.


Convention started with paintings against violent politics and candles lighted by children. Near about 200-225 people were present there. AMLAN DUTTA, SAIFUDDIN CHOUDHURY, SARAT KR MUKHOPADHAY, KISWAR JAHAN were also present and they delivered speech. Due to some personal assignment ex LOKSABHA SPEAKER SOMNATH CHATTERJEE couldn’t attend the convention. But in a video speech he appealed to people to raise voice against violent politics and in favour of sustainable development and to join JANACHETANA MANCHA. Draft resolution placed by UTTAL GHOSH. 21 persons discussed at the convention.

A Co-ordinating Committee elected from the convention
CONVENORS: Dr Ashok Kundu, Anirban Sinha, Debdyuti Sengupta
Members
Piyasi Roychoudhury, Chandana Ghosh, Neha Bhowal, Uttal Ghosh, Firoz Islam, Shirsendu Mondal, Amitabha Sen, Rupanjan Chakraborty, Subir Majumder, Sandip Gharai, Anutam Pal, Abhijit Ghosh, Upal Bakshi, Probal Bhadra, Hindol Goswami, Probir Chatterjee, Niloy Dutta, Anirban Choudhury, Sudipto Goswami, Sunondito Basu Roychoudhury, Satyabrata Karmakar, Bhaskar Sinha Roy, Prodip Bhowal, Biplab Pal (USA), Mrinal Majumder (Germany)
ADVISORY BODY
SOMNATH CHATTERJEE, AMLAN DUTTA, SAIFUDDIN CHOUDHURY, SARAT KR. MUKHERJEE, KISWAR JAHAN, SUTANU BHATTACHARYA




Due to emergency in Bolpur, Somnath Chatterjee sent a video statement for formation of Janachetana Mancha





































































Monday, October 26, 2009

The Package

The package:
Customer can opt for any combination of 1,2,3 ( like 1+2 or 2+3 or 1+2+3)
*********************************
1. Basic promotion: $1000 per month (50% off for being first)

A. Email blasting to 500,000 NRI email database-once a week.
B. Facebook or Linkdin /Orkut promotion among NRIs-will be mailed to 250,000 NRI profiles in Facebook.

( We will prepare the news, graphics and all sort of promotional text for you in case you do not have enough pomotional material
A sample text which we have made as promotional news to Facebook/Linkdin/Orkut/email blasting recently is provided for your review


http://sciencelatestdiscovery.blogspot.com/2009/10/travel-fromnew-york-to-delhi-in-two.html

)


2. Add on radio promotion : $500 per month

1. Radio interview of 10 minutes posted in youtube, rediffishare , Metcafe and blasted to Facebook and different NRI Forums
2. Radio interview posted in Fosaactv and blasted to 500,000 email data base

Sample (that we have prepared for our customers)
http://www.esnips.com/doc/0f5e67a5-28f7-4b3d-b0f2-0868d5041643/YonFinal



3. Add on -video promotion -$500 per month

1. Video interview of 10 minutes posted in youtube, rediffishare , Metcafe and blasted to Facebook and different NRI Forums
2. Video interview posted in Fosaactv (www.fosaac.tv ) /Politico India (www.politicoindia.com)+ blasted to 500,000 NRI email data base

Sample:
http://www.fosaac.tv/watch1.asp?vedio2=D000072
http://www.youtube.com/watch?v=wewm4qevZ5g&feature=player_embedded

Jagdsharti Puja Parikrama









.




Sunday, March 15, 2009

ক্যালিফোর্নিয়ার পিঙ্ক ফ্রাইডে




গত শুক্রবার (১৩ই মার্চ) দেউলিয়া ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যসরকার ১ লক্ষ সরকারী কর্মচারীকে ছাঁটাই এর নোটিশ ধরিয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ হাজার স্কুল শিক্ষক। আমেরিকার ইতিহাসে একদিনে এটি বৃহত্তম ছাঁটাই। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর থেকে দক্ষিনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। সব শহরে পিঙ্ক রঙের সার্ট পরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। মিডিয়া এই কালোদিনকে ডাকছে "পিঙ্ক ফ্রাইডে"। পথ চলতি গাড়িগুলি হঙ্ক করে তাদের সমর্থন জানাচ্ছে।

একই দিনে খবর এ আই জ়ির কর্নাধাররা ১৬০ মিলিয়ান ডলার বোনাস নিচ্ছে ট্যাক্স পেয়ারদের বেইল আউটের পয়সা থেকে। ওয়াশিংটন সব জেনেও আইনগত কারনে নাকি আটকাতে পারছে না-ক্ষোভই সার। এই এ আই জি বর্তমান কোয়ার্টারে ৬০ বিলিয়ান ডলার লস করে সরকার থেকে ১৬০ বিলিয়ান ডলার বেইল আউট প্যাকেজ পেয়েছে দুই দফায়। যেসব লোভী ম্যানেজারদের জন্যে আজ আমেরিকা তথা গোটা পৃথিবীর দুরাবস্থা, তারা মিলিয়ান ডলার বোনাস তুলছেন ট্যাক্স পেয়ারদের টাকায়। আর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাড়াতে হচ্ছে স্কুল থেকে আমাদের ছেলেমেদের ভবিষ্যত অন্ধকার করে দিয়ে। ধণতন্ত্রের কঙ্কাল চারিদিকে।

ক্যালিফোর্নিয়ার শিক্ষার হাল এমনিতেই খুব করুন। ৫২ টি রাজ্যের মধ্যে ৫০তম। ৩৫% শিক্ষক-শিক্ষিকা কম এমনিতেই ছিল। এখানে একটু সামর্থ্য থাকলে সবাই ছেলেমেয়েদের বেসরকারী স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হয়। এমন নয় বেসরকারীস্কুল আমেরিকায় সবাই পছন্দ করে। ইস্টকোস্টে বেসরকারী স্কুল গুলি মোটেও ভাল না-সবাই সরকারী স্কুল পছন্দ করে। ক্যালিফোর্নিয়াও ব্যাতিক্রম ছিল না-কিন্ত স্কুলে ৩৫% শিক্ষক শিক্ষিকা না থাকলে সেই স্কুল চলবে কি করে? এই ছাঁটাই এর পর-তা আরো মারাত্মক হল। এমনিতেই প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষায় ক্যালিফোর্নিয়া সব থেকে পিছিয়ে। এবার স্কুলগুলো চলবে কি করে কে জানে! স্কুল চালানোর পয়সা নেই অথচ ঘটা করে এরা ইরাকের যুদ্ধ চালিয়ে যায়। যাতে ওয়াশিংটনের ঠিকেদারদের পকেট ভরে। জনসাধারনের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হল কি না তাতে তাদের কি যায় আসে! ইরাকের যুদ্ধে শুধু ইরাকের লোকই মরে নি-আমেরিকান ভবিষ্যত প্রজন্মও পঙ্গু হয়ে গেছে শিক্ষার টাকা যুদ্ধে ঢালায়। হ্যাঁ-এটাই হচ্ছে উদারনীতির ধণতন্ত্র-সরকারকে লুঠে খেয়ে দেশকে দেউলিয়া করার রাজপথ।

ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সর্বোৎকৃষ্ট ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সিস্টেম চালায়। সেখানেও অধ্যাপকদের বলা হচ্ছে নিজেদের বেতন নিজেদের উপায় করতে হবে। সরকার বেতন দিতে পারবে না। তাদের প্রোজেক্ট থেকে স্যালারী জোগার করতে হবে। এটা অনেক স্কুলেই ছিল-এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল প্রফেসরদের এতে সমস্যা নেই। বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের অধ্যাপকরা সম্পূর্নই প্রায় সরকারি মাইনার ওপর নির্ভরশীল। কেও কেও ব্যাতিক্রম। তাদের সামনে ঘোর দুর্দিন।

আমি বুঝতে পারছি না ব্যাঙ্কগুলো বাঁচাতে শয়ে শয়ে বিলিয়ান ডলার ঢালা হচ্ছে। এই সেই ব্যাঙ্কগুলি- যাদের দুর্নীতি এবং লোভে আজ অর্থনীতি রসাতলে। সরকারে নিজেদের দালালদের ম্যানেজ করে তারা তাদের কৃতকর্মের পুরষ্কার স্বরূপ মিলিয়ান ডলার বোনাস পাচ্ছেন। আর ভুগছে সাধারন শ্রমিক। শিক্ষকরা। এইসব চোখের সামনে দেখে ভোটে বাক্সে ফেটে পরেছিল আমেরিকা-কিন্ত যত দিন যাচ্ছে অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। ওবামা চেষ্টা করেও বোনাস আটকাতে পারছেন না। মাইনে বেঁধেদিতে গেলেন-তাই বেশ উঁচু মাইনে। সেটাও শুনছি আইন পরিবর্ত্তন না করে আটকাতে পারবেন না। সরকারী বেইল আউটের টাকায় সব ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানী তাদের ম্যানেজমেন্টের জন্যে লাস ভেগাসে আমোদের আয়োজন করছেন-আর স্কুলে শিক্ষক নেই। সত্যি একেই বলে ফ্রি-মার্কেট। আমার ত মনে হচ্ছে ফ্রি লুঠতরাজ।

এই ধরনের সমাজের পতন হতে বাধ্য। অটোকারেকশন এখুনি দরকার। আমেরিকানরা ব্যাঙ্ক এবং ইন্সুয়ারেন্সের জাতীয়করন দাবী করছে। কোন কোন সেনেটর এতে গলা মেলালেও, ওভারঅল কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিদেন নিজেই একসময় সেনেটর থাকা কালীন ইন্সুরান্স কোম্পানীদের স্বার্থ দেখেছেন। ওবামা কেন বিদেনকে পছন্দ করলেন-আমাদের অনেকের কাছেই তা পরিস্কার না।

কিন্ত সে যাইহোক মন্দের ও ভাল দিক থাকে। দেখা যাচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন কংগ্রেসম্যানরা জনসনংযোগ এখন আরো ভাল করছেন। ফ্যাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমের বিরুদ্ধে জনগনের ক্ষোভ সেনেটে দ্রুত পৌঁছচ্ছে। ব্লগে ব্লগে ক্ষোভ ফেটে পড়ছে। প্রযুক্তির সাথে গণতন্ত্র উন্নত হবে-এটাই কাম্য ছিল। সব থেকে বড় কথা এনরন থেকে ওয়ার্ল্ডকমের ঘটনায় জনগন এটা বুঝেছে নামি দামি দামী কোম্পানীর সি ই ও দের হিরো বানায় মিডিয়া-আসলেই তাদের সাথে পেশাদার চোরেদের পার্থক্য কম। উভয়েই টাকার লোভে জেলে যাওয়ারও রিক্স নিতে পারে। ফলে কর্পরেট আমেরিকার পক্ষে এই নতুন উজ্জীবিত জনগনকে সিএন এন আর ফক্স নিউজের গল্প দিয়ে ম্যনেজ করা যাচ্ছে না। আর কোন দিন যাবেও না। কারন স্যোশাল অলটারনেট মিডিয়াগুলো এখন আমেরিকাতে প্রচন্ড শক্তিশালী।

আমাদের দেশে ব্যাঙ্কিং এবং ইন্সিউরান্সকে বেচে দেওয়ার যে পক্রিয়া শুরু হয়ছে-তাকে থামাতে হবে। সিপিএম, কংগ্রেস, মায়াবতী, বিজেপি কেওই একে ঠেকাবে না। রাজনীতিবিদদের পার্টির নাম, এজেন্ডা বদল হয়-আসলে কেহই এই ব্যাবসায়ীগোষ্ঠির জাল কাটতে পারে না। এটা পশ্চিমবঙ্গে বামেদের অবস্থা থেকে পরিস্কার বোঝা উচিত। ওরা ভোট চাই বেসরকারীকরন আটকাবে বলে। কিন্তু সেরকম কিছু সদিচ্ছা থাকলে, আমি আগেই লিখেছিলাম, প্রকাশ কারাত তৃতীয় সার্কাসে বিজেপির প্রাত্তন দোশরদের পেছনে না ঘুরে, অন্যান্য রাজ্যে আন্দোলনে নামতেন, জমি তৈরী করতে। সেই সদিচ্ছা নেই। তাই যেসব বামপন্থী বেসরকারীকরন আটকানোর জন্যে সিপিএমের ওপর নির্ভর করতে চান-তারা মারাত্মক ভুল করবেন।

এই বেসরকারীকরন আটকানো বা ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমের জাতীয়তাকরন, একমাত্র জনগনের চাপেই হতে পারে। মিডিয়া এই ব্যাপারে ব্যাবসায়ীদের পক্ষ নেবে-তাই আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যে আমেরিকান মতন অলটারনেট মিডিয়ার আরো বেশী করে ব্যাবহার করতে হবে। আমাদের দেশে ইন্টারনেট সবার কাছে পৌছায় না-ফলে সেই অসুবিধাটা আছেই। কিন্তু যতটা সম্ভব ব্লগ, ইন্টারনেট রেডিও, ইউ টিউবের মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতন জনগন যেন অন্যদের সাথে তাদের ক্ষোভ এবং মতামত ভাগ করে নিতে পারে-সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালু করতে হবে। জনগনের মিডিয়ার সামনেই একমাত্র প্রকৃত গণতন্ত্র আসবে।

Wednesday, March 4, 2009

মমতা আগে থেকেই পার্থী দিচ্ছেন কেন?



টাটা বিদায় থেকে বাঙালীর রাহুর দশা অব্যাহত। আজই শোনা গেল-কাটোয়ার বর্তমান এম পি আবু আয়েশ মন্ডল সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন। কারন তাকে টিকিট দেয় নি সিপিএম। কারা আজকাল সিপিএমে থাকে এই ঘটনায় আরো পরিস্কার হচ্ছে-যেখানে এতদিনের এক সদস্য রাত বদলিয়ে তৃণমুলে আসতে লজ্জা পান না। পাশাপাশি এটাও ঠিক নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরে জমি বাঁচানোর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল একটি বাম চরিত্র পেয়েছে -ফলে অনেক প্রখ্যাত বাম ব্যাক্তিত্ব এখন
তৃণমূলের সাথে। সেইজন্যে তৃণমূল এখণ বামেদের কাছে অচ্ছুৎ নয়। এর ফলে আপাতত সব থেকে বেশী ক্ষতি পি ডি এসের। কিন্ত পাশাপাশি এটাও ঠিক এখন রাজ্য রাজনীতি যে অবস্থায়-সেখানে সিপিএম এবং সিপিএম বিরোধি-এর বাইরে কোন সুস্থ পথ দাঁড় করানো মুশকিল। সিপিএম ক্ষমতা থেকে না গেলে সেটা হবে বলে মনে হয় না। সেই সুযোগ সমাগত। সিপিএমের যদু বংশ এখন মুশল পর্বে। সিটুর সাথে ডি ওয়াই এফ আই, সিটুর সাথে পার্টির মারামারি নিত্যদিনের ঘটনা। যে কয়েক এখনো সৎ এবং আদর্শবাদি নেতা সিপিএমে আছেন-তারা সিপিএম করতে ভয় পাচ্ছেন।



চোখ কান বুঁজে এইসব ধান্দাবাজ কমরেডদের নোংরামো সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন-নইলে হয়ত প্রাণেই মেরে ফেলবে তাদের প্রমোটারিতে বাধা দিতে গেলে। স্বার্থন্বেষী যদুকুল যে মুশল যুদ্ধ শুরু করেছে নিজেদের ধ্বংশ করার জন্যে সেই দেখে এক সিপিএম নেতা ব্যাক্তিগত ভাবে সেদিন বললেন এর থেকে এবার হারা ভাল। এই সব বেনোজল দূর হবে। নইলে আজকাল পার্টি অফিসে যেতেও তার মতন চল্লিশ বছর ধরে সিপিএম করা সৎ নেতারা ভয় পাচ্ছেন। সবাইত আর আবু মন্ডলের মতন পরের দিন তৃণমূলে যোগ দিতে পারবে না।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিরোধিরা এর সুযোগ নিতে পারবে কি? যতদিন মমতা বিরোধি নেত্রী? ৮০-৯৬ সিপিএম টিকেছে কংগ্রেসের কোন্দলের জন্য। '৯৬ থেকে সিপিএম টিকেছে মমতার জন্যে। গত কয়েকমাসে খেলাটা ঘুরে গেল। কেন? কারন সিপিএমের হাত থেকে মুক্তি পেতে জনগন উদ্গ্রীব। পুলিশ, পার্টি, প্রশাসন দিয়ে ঘিরে সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে, তাদের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সিপিএম যে চক্রবূহ্য তৈরী করেছে-তার থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে সর্বত্র। মমতার বদলে প্রণব মুখার্জী বা প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সির মতন কেও বিরোধি নেতৃত্বে থাকলে এটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু সেরকম কিছু হয় নি-দিল্লীর দিকে চাতক পাখীর মতন চেয়ে রাজ্যে সিপিএম বিরোধি আন্দোলনকে উপেক্ষা করেছে কংগ্রেস। ফসল তুলেছেন মমতা। সেই আন্দোলনে পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি হয়েছে অনেক-কিন্তু লাভ হয়েছে মমতার। মমতা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। এই জায়গায় হেরে গেছে পি ডিএস, এস উ সি আই। কংগ্রেস। রাজ্যের লোক সিপিএমের লোকেদের হাতে নিস্পেষিত হয়ে এখন মুক্তি চাইছে সব কিছু ছেড়ে-এই মারাত্মক অবস্থানই রাজ্যের কাল-কিন্ত কি আর করা যাবে-স্বাধীনতা হীনতায় কে আর বাঁচতে চাই!

মমতা এই সুযোগে সবাইকে বসিয়ে দিচ্ছেন। সে গণতান্ত্রিক অধিকার তার আছে। কংগ্রেস কৃষ্ণ নগরে মহুয়া মৈত্রকে দাঁড় করানোর কথা ঘোষনা করতেই সেখানে তাপস পাল এসে গেল! বেচারী মহুয়া বিদেশের চাকরী ছেড়ে দেশ সেবা করতে এসে হারে হারে বুঝছে দিদি কি চীজ। রাহুল দর্শন না করে একবার কালীঘাটে দেবী দর্শন করলে এই হাল হত না বোধ হয়। মমতার হাতেই সব -কংগ্রেসের উত্তর বঙ্গ ছাড়া কিছুই নেই।

কিন্তু সেটাও ঠিক না। কংগ্রেসের আসল জিনিস আছে। সেটা হচ্ছে ভোটে জেতার জন্যে টাকা। সেটা তৃণমূলের নেই। ফলে কংগ্রেসের ওপর তৃণমূলকে নির্ভর করতেই হবে। কংগ্রেস বুদ্ধিমানের কাজ করছে। শুধ যেসব আসনে বিরোধিদের জেতার আশা এবার খুব বেশী সেগুলোই নিচ্ছে। কৃষ্ণ নগরে ভোট ভাগ না হলে বিরোধিরা জিতবেই।

তৃণমূল তাপস, শতাব্দি, সুমনকে আনতে চাইছে। তীব্র বিরোধিতা করছি পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিকে তামিলনাডু বানাবার জন্যে। তবে ফিল্ম স্টাররা এখানে খোরাক। তাদের পক্ষে ফিল্ম ছেড়ে নিজের এলাকা দেখভাল করা সম্ভব নয়। পশ্চিম বঙ্গের লোক তার থেকে অনেক বেশী রাজনীতি সচেতন।

Saturday, February 21, 2009

ইসলামের সমালোচনা করাই দৈনিক স্টেটসম্যানের সম্পাদক গ্রেফতার

এই নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের সংবাদপত্রে আমি কোন সংবাদই দেখিলি-বাংলাদেশের প্রথম আলো ছাপিয়েছে-যদিও ঘটনা ঘটেছে কোলকাতায়

যরত মুহাম্মদকে (সাঃ) নিয়ে আপত্তিকর প্রবন্ধ প্রকাশের দায়ে গতকাল গ্রেফতারকৃত ভারতীয় দৈনিক দ্য স্টেটসম্যানের সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার ও প্রকাশক আনন্দ সিনহাকে জামিন দেয়া হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কোলকাতার একজন মুসলিম নেতা ইসলাম বিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং এর স্বল্প সময় পরই আদালত তাদেরকে জামিন দেয়। সম্প্রতি দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় ব্রিটিশ লেখক জন হ্যারির লেখা Why should I respect these oppressive religions? ( ‘কেন আমি এই অত্যাচারী ধর্মকে শ্রদ্ধা করবো' ) শীর্ষক একটি নিবদ্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি ঐ দৈনিকটির পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত বিতর্কিত নিবন্ধের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়নি। (সুত্র )
এর আগে জন হ্যারির বিতর্কিত ঐ লেখাটি পশ্চিমা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধ এখানে দেওয়া হলঃ
http://www.independent.co.uk/opinion/commentators/johann-hari/johann-hari-why-should-i-respect-these-oppressive-religions-1517789.html

প্রথমত জনহ্যারির লেখাটি ধর্ম সম্মন্ধে বিশেষত ইসলাম সম্মন্ধে কটূ সত্যকেই প্রকাশ করেছে। সেটা হল এই যে ইসলামের পশ্চাদপর অন্ধকার অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে, রাজনৈতিক ক্ষমতা লুটছে কিছু ব্যাক্তি। সেটা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান-সব দেশের জন্যে সত্য। এই সত্যটুকু প্রকাশের অধিকারও কেড়ে নিলে-আমরা অন্ধকারে ডুবে যাব।
এই লেখাটিতে জন হ্যারি যে দাবি করেছেন তা আমিও করিঃ

The Universal Declaration of Human Rights stated 60 years ago that "a world in which human beings shall enjoy freedom of speech and belief is the highest aspiration of the common people". It was a Magna Carta for mankind – and loathed by every human rights abuser on earth. Today, the Chinese dictatorship calls it "Western", Robert Mugabe calls it "colonialist", and Dick Cheney calls it "outdated". The countries of the world have chronically failed to meet it – but the document has been held up by the United Nations as the ultimate standard against which to check ourselves.

এবং জন হ্যারি যে সমস্যার কথা বলেছেন তা আজকের নয়। মানবাধিকার আসলেই সার্বজনীন। ১৮২৪ সালে লর্ড বেন্টিং একই দ্বিধার সম্মুখীন ছিলেন-সতীদাহ প্রথা রধ করার জন্যে। এবং তিনিও সিদ্ধান্তে এসেছিলেন-মানবাধিকার সবার জন্যে-তা কোন পশ্চিমা ধারা নয়। তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে হিন্দুরা সতীদাহ প্রথা চলাতে পারে না। অথচ ধর্মের নামেই সবথেকে বেশী মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় পৃথিবীর সবদেশে। এই নিয়ে আমার ২০০৫ সালে লেখা একটি ব্লগ দেখতে পারেনঃ
লক্ষ্য করুন লর্ড বেনটিঙ্ক ও একই কথা বলেছেনঃ

With the firm undoubting conviction entertained upon this question, I should be guilty of little short of the crime of multiplied murder if I could hesitate in the performance of this solemn obligation

ধর্মকে সমালোচনা করার অ ধিকার নিয়ে যে লড়াই আমরা করছি-সেই লড়াকু অকুতোভয় যোদ্ধাদের জন্যে ঘটনাটা জানিয়ে রাখলাম। এর সাথে প্রথম আলোর পাঠকদের মন্তব্যগুলোও দিলামঃ


http://prothom-aloblog.com/users/base/broadcaster/131#

পাঠকরা নিন্দা জানাতেই পারেন। তবে কিছু কিছু পাঠকের বাক স্বাধীনতা হরন করার দাবি দেখে আসলেই দুঃখ হয় এরা কোন শতাব্দির লোক? এদের ভারতেও হিন্দুদের মধ্যেও দেখেছি। তবে ইসলামে এই ধরনের ডাইনোসরদের সংখ্যা অন্যধর্মের চেয়ে বেশী-সেটাও ঠিক।

ধর্মের মুখোশ এই ভাবে বেশীদিন আটকে রাখা যাবে না। ধর্মের আসল মুখ রাজনৈতিক ক্ষমতালিপ্সু কিছু অসৎ লোকের-আর মুখোসটা হচ্ছে মানবিকতা, নৈতিকতার নামাবলী। কোরান এবং গীতা পড়লে এটা ভালো বোঝা যায়। তখনকার সময়ে রাষ্ট্র গঠনে এসবের দরকার ছিল-সেটা মেনে নিতে আমার আপত্তি নেই। কারন তা সত্য। কিন্ত বর্তমানে ধর্মের নামাবলী চাপিয়ে ক্ষমতাদখলের রাজনীতি যারা করছেন-তাদের জেলে না ঢুকিয়ে-সাহসী সম্পাদকদের কেন জেলে ঢোকানো হবে-সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু ভবিষ্যত চাইবে।

Tuesday, February 10, 2009

What can we do for our parents in home


India is not an welfare state like Europe. Over last two decades, due to severe economic stagnation, generations of best and brightest from Bengal had to leave West Bengal and settle elsewhere for living. But now the obvious peril of the exodus is looming larger. Thousands of parents have been left alone -who would take care of them? what they are going to do? How they can avail medical emergency in need? I know somebody among us had to come forward.

http://www.youtube.com/watch?v=5oMXzU-cr3A


I am glad, Animesh Chowdshuri from Virginia, finally came forward. He has started long waited organization, that we, all the NRBs badly need. So I decided to tak his interview so that he can explain what he is trying to do for our parents. Please click on this link to see the video. Below is his company website.

Taking care of your parents in Kolkata






..

Monday, February 9, 2009

তৃণমূল-কংগ্রেস জোট কেন দানা বাঁধছে না?


বিষ্ণুপুরে জোট হবেই-ভিন্নবাসর রেডিওতে জোর দিয়ে বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য। ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জেনে যাওয়ার কথা। কিছুই হল না। কারন মমতা বা কংগ্রেস কেও কারুর দাবি মানতে রাজী নন।

মমতার দাবি কংগ্রেসকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে-তারা ভোটের পরে সিপিএমের সাথে জোট বাঁধবে না। সেটা সোনিয়ার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না-কারন মমতার চেয়ে সিপিএমের আসন সংখ্যা অনেক বেশী। এবং তা দরকার হতেই পারে কেন্দ্রে সরকার গড়তে। তার থেকে বড় কথা কংগ্রেস যে শর্ত দিয়েছে-এন ডি এ ছাড়তে হবে-সেটা মানতে রাজী না মমতা। ফলে বিরোধি জোট এখন বিশ বাঁও জলে। এটা বিশ্লেষন করলেই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সিপিএম বিরোধি রাজনীতির অস্তিচর্মহীন কঙ্কালসার অয়বয়।

(১) মমতা কেন দাবি তুললেন লোকসভায় সিপিএমের সাথে জোট বাঁধা যাবে না? পশ্চিম বঙ্গের ৪২টা সিটই যদি, ইউ পি এ তে থাকে, ভারতীয় রাজনীতিতে পশ্চিম বঙ্গ অনেক বেশী শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রীয় অনুদানের অনেক বেশী অংশ পশ্চিম বঙ্গে আসবে-তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করে কেন এই আবদার (অবশ্য রাজ্যের ভাল, তিনি আর কবেই বা বুঝলেন)?

উত্তরটা এই-- তিনি যে রাজনীতি করেন, সেটার নাম অচ্ছুৎ বর্গের রাজনীতি। তৃণমূল এখন তাদের প্ল্যাটফর্ম, যারা মনেপ্রানে সিপিএমকে ঘৃণা করে। সেই ঘৃণার আবেগে ভোটব্যাঙ্ক ভরে তৃণমূলের। অবশ্য এর কৃতিত্বটাও সিপিএমের পাওনা। গণতন্ত্রে এই অচ্ছুৎ এর রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা সিপিএমই। তারাই ক্যাডারদের শিখিয়েছে বিরোধি মানে অচ্ছুৎদের আখড়া-তাদের ওপর দমন পীড়ন নিপীড়ন চলেছেই। আজকে সেই নিপীড়িতরাই তৃণমূলের আশ্রয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। রাজ্যে রাজনীতির সুস্থ আবহটাই নেই-আছে শুধু ঘৃণা আর হিংসা। ফলে তৃণমুলের সমর্থকদের মন রাখতে, মমতা দাবি করছেন- কংগ্রেস যেন সিপিএমকে অচ্ছ্যুত ঘোষনা করে। তাতে রাজ্যের ক্ষতি হলে হৌক। এমনকি নিজেরা কম সিট পেলেও কিছু যায় আসে না। জমিদারী আদিম ঘৃণাটা না রাখলে যেন মান থাকে না।
এই ভাবে কখনো সুস্থ রাজনীতি বা গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব?

(২) মমতার ঘৃণাবাদি রাজনীতি যদি পশ্চিম বঙ্গকে ধ্বংশোদ্দ্যোত তলোয়ারের একদিক হয়-অন্যদিকটার নাম প্রকাশ কারাতের বালখিল্যতা। এই প্রকাশ কারাত আজ ঘোষনা করেছেন, কংগ্রেস বাদে আর যেকোন ধর্ম নিরেপেক্ষ জোটে তিনি আছেন। আপামর বাঙালী প্রশ্ন করতে পারে, কারাত কি এখনো ভাবেন, এই দেশের রাজনীতিটা দিল্লীর জেনিউ এর রাজনীতি? নইলে তার কথাটার মানে কি? কংগ্রেস এবং তার জ়োট সঙ্গীদের বাদ দিয়ে পড়ে রইল কে? জয়ললিতা, মায়াবতী আর চন্দ্রবাবু-যারা আগে বিজেপির দোশর ছিলেন। যৌবনে প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদের পর যেমন অনেক যুবা দাবীকরেন-বালিশের সাথে শোবে তাও বিয়ে করবে না-প্রকাশ কারাতের কথাবার্ত্তা সেই পর্যায়ের প্রলাপে চলে গেছে। কিন্তু ইউএস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়াল ডিল থেকে আজ পর্যন্ত, তার বালখিল্যতার খেসারত দিচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ। এবং সিপিএমের বাঙালী কমরেডরা রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষতি হচ্ছে দেখেও, তাদের জেনারেল সেক্রেটারীর ছেলেমানুষি সহ্য করে যাচ্ছেন। কারন প্রতিবাদ করলেই-সিপিএমে খেটে করা পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারটা একদিনে ধ্বংশ হবে। এই দিল্লীনিবাসী নেতার ছেলেমানুষি আর কতদিন তারা সহ্য করবেন-সেটা তারাই ঠিক করুন। আমরা কিন্ত দেখতে পাচ্ছি-প্রকাশ কারাতের ক্রীতদাসত্ব স্বীকার করে পশ্চিম বঙ্গের চূড়ান্ত ক্ষতি করছেন কমরেডরা সেই ইউ-এস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়ার ডিল থেকেই।

অবশ্য পলাশী যুদ্ধের আগে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দফতরে লর্ড ক্লাইভের লেখা চিঠি মনে পড়ে গেল। ক্লাইভ লিখেছিলেন, এই বাঙালীদের কোন জাতিগর্ব নেই, এরা নিজেদের কোন্দলে বেশী মগ্ন এবং অন্যের দাসত্ব স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত। আড়াইশো বছর অতিক্রান্ত-বাঙালী আজও অপরিবর্তিত।

Tuesday, February 3, 2009

সিপিএমের এম পি দের জন্যে পশ্চিম বঙ্গের ১০০ কোটি টাকা ফিরে গেল!

আমাদের সিপিমের এম পি রা আবার তাদের স্বব্যার্থতার উজ্জ্বলতর মহিমা রাখলেন। এম পি রা উন্নয়নের জন্যে ১০ কোটি টাকা পান-তাদের এলাকার উন্নয়নের জন্যে। তবে খরচ হয় ডি এমের হাত দিয়ে। এম পিরা শুধু পরিকল্পনা বানান। দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের সব এম পি তাদের কোটার টাকা শেষ করে ফেলেছেন-সিপিএমের এম পিরা পারেন নি। তড়িৎ তরফদার ১০ কোটির মধ্যে ন কোটি টাকায় খরচ করেন নি। এখন গাল পাড়ছেন ডি এম দের। আরে ডি এমদের তাড়া দেওয়ার কাজটা কাদের? সেটা কি জনগণ করবে?

সব থেকে আশ্চর্য্য লাগছে তরফদারের ঔদ্ধত্ব্য। উনি নাকি উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রই খুঁজে পান নি। ব্যারাকপুর শহরটা কি আমেরিকার সান ডিয়েগো শহর হয়ে গেল যে উনি উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রই খুঁজে পেলেন না? উনার শহরে ত পা ফেলার জায়গা নেই-এত ঘন লোক বসতি। এই যে পশ্চিম বঙ্গের জন্যে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা জলে ফেললেন সিপিএমের এম পিরা,
এর খেসারত কে দেবে? জনগণ? তার ওপর তরফদার সুলভ ঔদ্ধত্য যোগ হলে, এটাই কি প্রমানিত হয় না, সিপিএমের নেতারা জনগণের প্রতি এক চরম উদাসীন মনোভাব নিয়ে চলেন? কারন তাদের সমর্থকরা ত আবার পার্টীর চিহ্ন নিয়ে গরু ভেরা দাঁড়ালে-তাদের ও ভোট দেবে। শমীক লাহিড়ী ভদ্রলোক-তিনি দাবি করছেন তার 'ভদ্র' অনুরোধেও ডি এমরা সচল হয় নি! তাহলে বাপু, এম পি কেন? বাড়িতে বসে লেখা-লেখি করুন-যে ডি এমদের দিয়ে কাজ করাতে পারবে, এমপির পদটা তাকেই ছেড়ে দিন দাদা!

যাইহোক শুনলাম এই অপদার্থতা এবং ঔদ্ধত্যের কারনে, তড়িৎকে এবার টিকিট দেবে না সিপিএম। উত্তম সিদ্ধান্ত। আমরা দেখতে চাই, যেসব নেতারা এই দশ কোটি টাকার মধ্যে নুন্যতম আট কোটি খরচ করতে পারেন নি-তাদের সবাইকে বসিয়ে দিক সিপিএম। আর সেটা যদি না করে-তাহলে বুঝতে হবে, সিপিএম সম্পূর্ণ জন বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিকে চলেছে। যেসব এম পিরা নিজেদের এলাকার উন্নয়নকে অবহেলা করেছে-তাদের এই ভাবেই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হৌক। জ়নগণের জন্যেই নেতা-নেতা কখনোই পার্টি বা 'রাজনৈতিক আদর্শের' হতে পারেন না গণতন্ত্রে। তাই জনগনকে যারা অবহেলা করে, তাদের নেতার আলখাল্লা খুলে নেওয়া হৌক। গণতন্ত্রের রঙ্গমঞ্চে নেতার পাঠ তাদের জন্যে নয়।

ভারত সিরিজ জিতল ৩-০


Result India won by 147 runs

বীরু আর যুবি ঝড়ে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। দুজনেই সেঞ্চুরী করলেন।

ফুল স্কোর এখানেঃ



উদোম মার খেলেন মেণ্ডিস এবং মুরলীধরন। প্রজ্ঞান ওঝার দুরন্ত বোলিং এর সামনে নতজানু হল শ্রীলঙ্কা-প্রজ্ঞান পেলেন চারটি উইকেট। ভারত এই নিয়ে ক্রমাগত চারটি ম্যাচে জিতল।

Monday, February 2, 2009

বৈদেশিক নীতির প্রভাব ক্রিকেটে কেন??


পাকিস্থান ক্রিকেট বোর্ড এবারে তাদের ক্রিকেটারদের ভারতের আই পি এল লীগে খেলার অনুমতি দিচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য খুব খারাপ খবর। আগের বারের মতন ইডেনে শোয়েব আখতার বা ওমর গুলকে দেখা যাবে না। রাজস্থান রয়্যাল ও বঞ্চিত হবে তনভীর সোয়েলের মতন বোলারের অভাবে। পাকিস্থানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত টিট ফর ট্যাট-ভারত পাকিস্থান সফর বাতিল করেছে। তার প্রতিক্রিয়া।

সফর বাতিল কি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল? পাকিস্থান সরকার যেভাবে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পরোক্ষে ঢিলেমি দিয়েছে-তাতে ভারতের প্রায় সব মিডিয়া এবং জনগণ একে ঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করে। আমি করি না-আমার মনে হচ্ছে খুব ভুল করছি আমরা। পাকিস্থানের জনগণ এবং সরকারকে এক করে দেখে সিদ্ধান্ত নিলে মারাত্মক ভুল হবে।

পাকিস্থানের প্রায় ৬০% লোক এখন একবেলা খেয়ে আছে। মুষ্টিমেয় কিছু ফ্যামিলি পাকিস্থান চালাচ্ছে এই অদ্ভুত দেশটির জন্মলগ্ন থেকে। পাকিস্থানের ৬০% অভুক্ত লোক যাতে বিদ্রোহ না করে-তার জন্যে এদের ধর্মান্ধ বানানোর চেয়ে ভাল মগজ ধোলাই এর ঔষধ আর কি আছে? এই শ্রেণী দ্বন্দটা পাকিস্থান বহুদিন ধরেই তাদের দেশের লোকের মধ্যে কাষ্মীর নিয়ে ভারতের আগ্রাসনের কথা শুনিয়ে জেহাদি তৈরী করে ধামা চাপা দিয়ে এসেছে। কাশ্মীরের লোকজন এবার ব্যাপক হারে ভোট দিয়েছে-বিচ্ছিন্নবাদি গোষ্ঠি গুলি নিজেরাই স্বীকার করেছে-কাষ্মীরের লোকেরা এখন আরো ভাল থাকতে চাই-তারা সমৃদ্ধি চাইছে স্বাধীনতার চেয়ে বেশী। এমন অবস্থায় মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী বলে পাকিস্থানের কাষ্মীর পলিশির একটাই লক্ষ্য-এই ধরনের ঘৃণা ছড়িয়ে যাতে গরীব লোকেদের রাগটাকে ভারত বা আমেরিকা বা কখনো ইরাণের বিরুদ্ধে চালনা করা যায়। তাতে জাদ্দারী কিয়ানীদের ক্ষমতাই থাকার সুবিধা-দেশটাকে চেটেপুটে খাওয়ার সুবিধা বেশী।

তাহলে এই ক্রিকেট বন্ধ করে কার সুবিধা করা হল? পাকিস্থানের সেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠিকেই আমরা হাতে মোয়া ধরিয়ে দিলাম। ওদের এখন ভারত বিরোধী ঘৃণা ছড়াতে আরো সুবিধা!

১৯৯৯ সালে ইডেনে যখন শোয়েব আখতার প্রথম বলে শচীনকে বোল্ড করে-আমি তখন মাঠে। ঠিক ফেন্সের ধারে বসে ছিলাম। ওভার শেষ হতেই শোয়েব যখন ফেন্সের কাছে আসে-তার উদ্দেশ্যে গালাগাল শুরু হয়-আবার কিছু লোক তার প্রতিবাদ ও করছিল গ্যালারী থেকে। ২০০৮ সালে আমরা কি দেখেছি? শোয়েব দিল্লীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ম্যাচে গম্ভীর আর শেহভাগকে আউট করতেই ইডেন শোয়েব শোয়েব চিৎকারে ভেঙে পড়েছে। একই রকম সাপোর্ট পেয়েছে ওমর গুল এবং সোয়েল তনবীর। ২০০৮ সালে পাকিস্থানী ক্রিকেটারা ভারতে যত জনপ্রিয় হয়েছেন তেমনটা আগে দেখি নি। এটা কি পাকিস্থানে কোন সংবাদ দিচ্ছিল না? এত এত পাকিস্থানি আই পি এল দেখছিলেন-কারন তাদের সব তারকাই এই লীগে ছিলেন। পাকিস্থানের একটা বড় অংশই কোলকাতার নাইট রাইডার্সের সমর্থক ছিল। এগুলোই ত ভারত বিরোধি পাকি মনোবৃত্তি আস্তে আস্তে কমাচ্ছিল। আই পি এল ছাড়া এটা হত না।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এটা খুব ভুল সিদ্ধান্ত-আমরা চক্রান্তকারী ক্ষমতালোভি পাক শাসক গোষ্ঠীর হাত শক্ত করলাম মাত্র।

Sunday, February 1, 2009

প্রণব-সিপিএম ঘনিষ্ঠতা এবং একটি বাঙালী রোগ

অপেলো হাসপাতালের শিল্যানাসে প্রণব বাবু এবং সিপিএম একে ওপরের ভূসয়ী প্রসংসা করায় দেখা যাচ্ছে অনেক কংগ্রেসীর গাত্রদাহ হচ্ছে। সরাকারি স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা লাটে উঠলেও সিপিএম বেসরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ভালোই করেছে। প্রণব বাবুর তারই প্রশংসা করেছেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই বেসরকারী স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা বা নার্সিং হোমের উন্নতিতে সাধারন জনগনের কিছু যায় আসে? নিশ্চয় যায় আসে। এপোলোর মতন সংস্থা এখানে এলে হায়দ্রাবাদ মাদ্রাসে ছুটতে হয় না বাঙালীকে। সিপিএম যেমন সরকারী স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় সম্পূর্ণ ব্যার্থ এবং তজ্জন্য তাদের নিন্দা প্রাপ্য-কিন্ত বেসরকারী ক্ষেত্রে সাফল্যর কিছু ধন্যবাদ তারা নিশ্চয় পেতে পারে। আবার প্রণব বাবু জঙ্গীপুরে উন্নয়নের যে কাজ করেছেন-সেটাও অন্য এম পি দের কাছে শিক্ষানীয় বিষয়। সেটা সিপিএম স্বীকার করলেই দোষনীয় হবে কেন?

বাঙালীর রাজনীতি করার সংজ্ঞা কি তাহলে মমতা ব্যানার্জির মতন কুনাট্য? সিপিএমকে গালাগাল আর সিপিএমের পালটা খুন আর ধর্ষনের রাজনীতি কি আমাদের ভবিষ্যত? এই অন্ধকার আর কতদিন চলবে? তৃণমূল এখন ডিফ্যাক্টো সিপিএম বিরোধিদের প্ল্যাটফর্ম-যারা মনে করে সিপিএম একটা কমপ্লিট এভিল। ভালো কথা। গণতন্ত্রে এই গ্রুপ থাকতেই পারে-বিশেষত সিপিএম তার বত্রিশ বছরের ইতিহাসে গণতন্ত্রের প্রতি সুবিচার করে নি। কিন্ত এর বাইরেও বিশাল এক জনগোষ্ঠি আছে-যারা মনে করেন, রাজনীতি হওয়া উচিত ইস্যুভিত্তিক এবং পশ্চিম বঙ্গের উন্নতিকে সামনে রেখে।

আমি খুব পরিষ্কার ভাবেই মনে করি সিপিএম এবং তৃনমূল কেওই পশ্চিম বঙ্গের উন্নতিকে প্রাধান্য দেয় না। হ্যাঁ বুদ্ধদেব বাবু নিশ্চয় চেষ্টা করছেন-কিন্ত এটাও ত ঘটনা যে ইন্দো-আমেরিকান নিউক্লিয়ার ডিলে উনি প্রকাশ কারাতের বাল-খিল্যতা থামাতে পারেন নি। প্রকাশ কারাতের অবস্থান পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ বিরোধি ছিল-বুদ্ধ বুঝেছেন ঠিকই-কিন্তু পার্টিতে নিজের ভবিষ্যত ভেবে, কারাতকে থামালেন না। পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ বিসর্জন দিলেন। মমতা ব্যানার্জীর কথা যত কম বলা যায় তত ভাল।

অন্ধ বিরোধিতা অন্ধত্বের বন্ধ্যা রাজনীতির জন্ম দেয়। যে দোষ থেকে প্রকাশ কারাত বা মমতা কেও মুক্ত নন। সিপিএম মমতার অন্ধ বিরোধিতাকে কঠাক্ষ করে-আবার নিজেরা আমেরিকার অন্ধ বিরোধিতা করে। আমাদের মতন সাধারন জনগন এই ধরনের অন্ধ বিরোধিতাতে নিশ্চয় ক্রুদ্ধ-কারন ক্ষতি হয় পশ্চিম বঙ্গের! ওবামা কিন্ত রিপাবলিকান পার্টির দক্ষ প্রশাসকদের রেখে দিয়েছেন নিজের টিমে। পশ্চিম বঙ্গে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের প্রধান অন্তরায়-মমতার কুনাট্য এবং সিপিএমের উদ্ধত আত্মরম্ভিকতা। গণতন্ত্রের এই কুৎসিত পরিবেশ যত দ্রুত কাটে-তত ভাল। প্রণব বাবু এবং সিপিএমকে এই সুপ্রচেষ্ঠার জন্যে আগাম ধন্যবাদ।

Friday, January 30, 2009

ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতদের থামাতে পারবেন ওবামা?


আজ(৩০শে জানুয়ারী) সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতদের একহাত নিলেন ওবামা। আমেরিকায় যেখানে একের পর এক চাকরী যাচ্ছে-সেখানে পাবলিকের পয়সায় থুরি বেইল আউটের টাকায় ব্যাঙ্কারা দুহাতে বোনাস লুটছেন। গত বছর ওয়াল স্ট্রীটে ব্যাঙ্কার প্রতি ১১২ হাজার ডলার বোনাস দেওয়া হয়েছে। ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতরা সাধারন মানুষের বেঁচে থাকার শেষ সম্বল টুকু ধ্বংস করে, টোটাল বোনাস নিয়েছে ১৬ বিলিয়ান ডলার। ডাকাতির পুরষ্কার। তা আগেব বছরে তুলনায় কম-কিন্তু লস খাওয়াবার জন্যে বোনাস?? সেকেন্ডারী পরীক্ষায় ফেইল করে পিএইচডী ডিগ্রী একমাত্র ওয়াল স্ট্রীটেই সম্ভব।

১৫ বিলিয়ান ডলার লস খাওয়ানো মেরিল লিঞ্চের সি এই ও বোনাস নিয়েছেন ১০০ মিলিয়ান ডলার। কোম্পানীকে বিলিয়ান ডলার লস খাইয়ে সরকারের পয়সায় মিলিয়ান ডলারের বোনাস নেওয়া বোধ হয় একমাত্র আমেরিকাতেই সম্ভব ছিল। কারন ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকান পার্টি-যারা ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির স্বার্থ ছাড়া কিছু দেখত না-আর মানুষের মাথায় খ্রীষ্ঠান ধর্মের ভূত ঢুকিয়ে, ইসলামিক সন্ত্রাসের জুজু দেখিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করত। ওবামা আসায় সে দিন বদলেছে-ওবামা আজ পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিলেন, এই সব দিনে ডাকাতি আর তিনি সহ্য করবেন না। পাবলিক বেইল আউটের টাকায় কোন সি এই ও বা কোম্পানীর আমলারা বোনাস নিয়ে থাকলে, তিনি সরসরি তাদের ছাঁটাই করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। কারন তাদের মালিক এখন আমেরিকান সরকার। দুই সেনেটর নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও বসিয়েছেন। যেসব সিইও রা বেইল আউটের টাকায় বোনাস নিয়েছেন ঘরে, তাদের সেই তদন্ত কমিশনে হাজিরা দিতে হবে। দোষী সাব্যাস্ত হলে-চাকরি নট। ব্যাচারা ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার ম্যানেজাররা- বোনাস ঘোষনা করে দিয়েছিল -ওবামার হুঙ্কারে সেই প্ল্যান স্থগিত করে দিয়েছে। গর্ভমেন্ট মানেই কিছু ধান্দাবাজদের লুটেপুটে চেটে খাওয়া-এটাই আম-আদমী জানত এতদিন। সেটাই রাজনীতি বিমুখ করে রেখেছিল মানুষকে। ওবামার কথায় এবং এখন কাজে গণতন্ত্রে একটু একটু করে ভরসা ফিরে পাচ্ছে মানুষ।

গণতন্ত্র অচল, শুয়ারের খোঁয়ার এবং সাধারন মানুষের জন্যে উপযুক্ত নয় বলে ধ্বজ্জা তোলা রাজনীতির কান্ডারীদের আজ দুর্দিন। কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট একনায়কতন্ত্রের পুজ়ারীদের বিশ্বাস করার লোক আস্তে আস্তে আরো কমে আসবে-যত উন্নততর গণতন্ত্র ওবামা উপহার দিতে পারবেন। তাই কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠির কাছে আমার অনুরোধ শেষ বয়সে অন্তিম সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাদের যেন আক্ষেপ করতে না হয়-এক মরিচিকার পেছনে জীবন অনর্থক শেষ হল। ধর্মীয় লোকেরা তাও স্বর্গের বা পরজন্মের লোভে নিজেদের কিছুটা হলেও মিথ্যা শান্তনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখবে। কমিনিউস্টদের স্বর্গ ত ইহকালে-সেখানে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র ওবামার উদাহরন ধরে আরো উন্নততর রাষ্ট্র এবং সমাজের জন্ম দিলে তাদের সারা জীবনটাই ত বৃথা হয়ে যাবে।

সামাজিক সত্যকে কখনোই কোন পরম সুত্রের আকারে বাঁধা যায় না-কারন প্রতিটা মানুষই আলাদা। আর তা যদি না হয় বহুত্ববাদ ছাড়া, গণতন্ত্র ছাড়া, সামাজিক সত্যের অনুধাবন, বিশ্লেষন এবং পরবর্ত্তী আইন প্রনয়ন ও পদক্ষেপ, সম্ভব না। কোন পরম সামাজিক সুত্রের কল্পনা মারাত্মক রকমের দার্শনিক বিচ্যুতি। অথচ ঐতিহাসিক বস্তুবাদ নামক এক ভুল দর্শনের পাঁকে ডুবে আছেন কমিনিউস্টরা। সেই মদে গ্যাঁজলা উঠে গেছে-তবুও আমাদের কমিনিউস্টদের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাতালের প্রলাপ, থামবে না।

চিঁচকে চোরেদের কিছু লাজ-লজ্জা থাকলেও ওয়াল স্ট্রীটের চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই। ট্যাক্সের টাকায় বেইল আউটের জন্যে ৮০০বিলিয়ান ডলার নিয়ে, বোনাস নিচ্ছে-প্রাইভেট জেট কিনছে। মিডীয়া জিজ্ঞেস করলে বলে, বোনাস না দিলে না কি কোম্পানীতে ট্যালেন্ট রাখা যাবে না! সত্যি এরা ট্যালেন্টই বটে-সাধারন মধ্যবিত্ত সহ গোটাদেশকে পথে বসাতে ট্যালেন্ট অবশ্যই দরকার হয়। যাইহোক, ওবামা শুধু এদের ফায়ার করলেই মনে হয় না সমস্যার সমাধান হবে। ক্রিমিন্যাল নেগলিজেন্সি এবং কন্সপিরেসির জন্যে এদের বিচার হওয়া দরকার এবং এই সব ট্যালেন্টরা- যারা মিলিয়ান ডলারের নীচে বোনাস নেন না, তারা জেলে থাকলেই আম-আদমী একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।


আটবছর হয়ে গেল আমেরিকায় আছি। শুধু মিডীয়ার বাতলামো শুনতাম। এখন জনগণের কন্ঠস্বর আবার শুনতে পাচ্ছি।

Thursday, January 15, 2009

কংগ্রেসের নেতারা কি তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছেন?


প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙার খেলায় মেতেছে।

এই অভিযোগের যতার্থতা এবং গভীরতা বিশ্লেষন করা দরকার। সম্প্রতি কৃষ্ণনগর এবং বহরুমপুরের কিছু পুরানো কংগ্রেসী নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে নেতা নেত্রীরা কংগ্রেস ছাড়লেই কি কংগ্রেস ভাঙে? ১৯২১ সালে বিপিন চন্দ্র পালের মতন প্রথম শ্রেনীরা নেতা মহত্মা গান্ধীকে "প্যাপাল ডিক্টেটর" বলে গালাগাল দিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। ফল হচ্ছে এই যে জীবনের বাকি দশটা বছর তাকে রাজনীতিতে "নোবডি" হয়ে কাটাতে হয়-বাকী দশ বছরে তিনি অনেক দারিদ্রে ভুগেছেন-নতুন পার্টি গড়েছেন-কিছুই হয় নি। সুভাষ বোসও কংগ্রেস ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক গড়েছেন-সেই খরকুটোই। প্রনব মুখার্জি বেড়িয়ে গিয়ে দেখেছেন-এখন সোমেন মিত্র দেখছেন-কংগ্রেস নেতাতে চলে না-চলে সংগঠনের জোরে। এর মধ্যে শারদ পাওয়ার বা মমতা ব্যানার্জি ঘর ভেঙে কিছুটা সফল হয়েছেন-কারন প্রদেশ কংগ্রেস জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে ব্যার্থ হয়েছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা সিপিএমের লেঠেল বাহিনী এবং সমান্তরাল প্রশাসন থেকে 'প্রোটেকশন" চেয়েছে। অধীর চৌধুরী সেটা দিতে পেরেছেন-সেখানে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারে নি। উত্তর বঙ্গে গল্পটা মোটামুটি এমনই। সেখানে অতীশ সিনহা বা মায়া পালের মতন নেতা-নেত্রীরা দল ছেড়ে কিছুই করতে পারেন নি।

সিঙ্গুরের ঘটনার পর-একটা বিশাল বড় কংগ্রেসী ভোট, জাতীয় কংগ্রেসের দিকে আসার কথা। যারা সিপিএম এবং মমতা উভয়কেই পছন্দ করে না-এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই ভোটব্যাঙ্ক ধরার মতন ক্ষমতা জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের আছে বলে মনে হয় না-তারা নিজেদের রাজনৈতিক লাভ লোকসানের অঙ্কেই ব্যাস্ত। নইলে সোমেন মিত্র পার্টি ছাড়েন?

অথচ রাজ্যে ঐক্য হওয়া এমন কিছু জ়টিল নয়। শ্রেফ ফর্মুলা মেনেই এই কাজ করা যায়। আগের বার যারা দ্বিতীয় পজিশনে ছিল, তাদের টিকিট দিলেই মিটে যায়। তাহলে বিতর্কের অবকাশ থাকে না। দড়াদরি করে মমতার সাথে কেও পারবে না-উনি খুব ভাল এই ব্যপারে। সেই জন্যেই প্রদেশ কংগ্রেসের উচিত ফর্মুলা ভিত্তিক আসন বিভাজনের একটা প্রস্তাব তৃণমূলকে দেওয়া। এতে গন্ডগোল হবে না। কোন সাবজেক্টিভ জ়াজ়মেন্ট নিয়ে মারামারি হবে না। যে সময় বাঁচবে, তাতে সিপিএম বিরোধি প্রচারে আরো বেশী তারা হাওয়া তুলতে পারবেন।

মমতা মোটেও অত জনপ্রিয় নন যতটা প্রদেশ কংগ্রেস ভয় পাচ্ছেন। সাধারন লোকে এখনো প্রদেশ কংগ্রেসকেই বেশী ভরসা করে-কারন জাতীয় কংগ্রেসে তাও কিছুটা গণতন্ত্র আছে-দিদির মন মেজাজই আইন-এই ভাবে কংগ্রেস চলে না। সেটা সাধারন মানুষের কাছে একটা ভরসার জায়গা। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেসের নেতারা আর তা বুঝলেন কবে?

Friday, January 9, 2009

ঝড়ের পূর্বাভাস

৪০,০০০ হাজার ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর সিপিএম নিশ্চয় তাদের বিদায় ঘন্টা শুনতে পাচ্ছে। যদিও আমি নিশ্চিত নই। এই জন্যেই যে -এত ভাল সুযোগ বিরোধিরা রাখতে পারবেন কি না আমার সন্দেহ আছে। আর পুরুলিয়াতে কংগ্রেসের কোন অস্তিত্বই নেই। বস্তুত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং বর্ধমানে সিঙ্গুরে মমতার শিল্প বিরোধি কুনাট্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে কি না-সেটাও এবার বোঝা গেল না। আনন্দবাজার লিখছে সংখ্যালঘু ভোটে ধ্বস-সেটা কিভাবে সিদ্ধান্তে আসা যাবে মাথায় ঢুকলো না। সিদিকুল্লদের জামানত জব্দ হয়েছে নন্দীগ্রামে-ওরা সিপিএমের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক প্রচার করেছিল-পেল মাত্র হাজার খানেক ভোট। মুসলিমরা আমাদের রাজ্যে মোটেও সাম্প্রদায়িক ভাবে ভোট দিচ্ছেন না-দিলে সেটা সিদিকুল্লাদের পাওয়ার কথা। এটা কবে মমতা আর বুদ্ধ বুঝবেন? কবে বুঝবে আমাদের সাধের আনন্দবাজার?

আসলে পশ্চিম বঙ্গে বিরোধি রাজনীতির অবস্থা এখন এমন, বিরোধিরা একত্রিত হলেই সাফল্য আসবে। এটা জনগণ বোঝেন-বিরোধি নেতারা বোঝেন না। মমতা ভাবছেন তাকেই ভোট দিচ্ছে লোকে। পুরুলিয়া বোঝাল-নন্দীগ্রামের লোক ভোট দিয়েছে সিপিএমের বিরুদ্ধে-তাকে নয়। এদিকে সোমেন মিত্রর ধারনা ছিল-তিনি বড় নেতা। কৃষ্ণনগর এবং হাওড়ার পৌড়সভা বোঝাল কংগ্রেসে বড় নেতা কেও নেই-লোকে ভোট দেয় সিপিএমের বিরুদ্ধে। মমতা তৃণমূল করে জমি পেয়েছিলেন কারন ভাল হোক মন্দ হোক-লোকে তার কোলেই সিপিএমের বিরুদ্ধে একটু নির্ভরযোগ্য আশ্রয় পেয়েছে। যেকারনে বহরমপুরে অধীর ম্যাজিক অব্যাহত। সুতরাং আশা করব কংগ্রেস নেতারা বুঝবেন তাদের বক্স অফিস নেই-জনগণ চাইছে তারা সিপিএমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করুন। এটা বুঝলে ভালো-না বুঝলে জনগণ তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে।

বাংলাদেশে এবার প্রধান মন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিলা। অথচ আমাদের প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মন্ত্রীসভায় একজন মাত্র আদিবাসি রমনী মন্ত্রী ছিলেন! শুধু তাই নয়, সিপিএম শাসনে তফশীলি, আদিবাসি মুসলিমদের তুলনামুলক অবস্থান এখন সর্বভারতীয় গড়ের নীচে-যদি তুলনাটা ভারতের সেরা রাজ্যগুলি যেমন মহারাষ্ট্র বা গুজরাটের সাথে হয়। গুজরাটের মতন হিন্দুত্ববাদি রাজ্যে মুসলিমরা অনেক বেশী সংখ্যায় শিক্ষিত এবং সরকারী চাকরিতে আছেন।

তফসিলী জাতি-উপজাতিগুলি সিপিএম নিয়ে হতাশ। তারা বুঝতে পারছে এক রাশিয়ান আলখাল্লা চাপিয়ে, কিছু বর্ণহিন্দু প্রগতিশীলতার নামে, সিপিএম চালাচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যত সৎকার করছে। ঝাড়খন্ড মুক্তিমোর্চা পুরুলিয়াতে এই জন্যেই জমি পেয়ে গেল। আশা করি পুরুলিয়া থেকে মমতা বুঝেছেন বিচ্ছিন্নবাদিদের সাথে গলা মেলালে আম ও যাবে ছালাও যাবে। বাঙালীরা ভোট দেবে না-আর বিচ্ছিন্নতাবাদিরা তাকে দিদি হিসাবে মানবে না।

জনগণ সঠিক পথেই আছে-কিন্তু আমাদের বিরোধি নেতারা কি করে ফসল তোলে সেটাই দেখার। সিপিএম এই ব্যার্থতার বিশ্লেষন করে-পার্থক্য ঘোচাবার চেস্টা করবে। কিন্তু কংগ্রেসে এই দাদা আর ওই দিদি-এবার কি বুঝবেন জনগণ কি চাইছে?
তারা এবার "কংগ্রেস" নামে পতাকার তলায় একসাথে বিরোধী পক্ষকে দেখতে চাইছে।

Thursday, January 8, 2009

সাবাশ নন্দীগ্রাম তোমারে সেলাম

২৫০০০ হাজার ভোটে হেরে গেল সিপিএম নন্দীগ্রামে। তৃণমূল জিতল। সুজাপুর ও কংগ্রেস দখলে ১২০০০ ভোটে। দিন বদলের পালা মনে হচ্ছে এগিয়ে আসছে। শুধু তৃণমূল, কংগ্রেসকে একসাথে ভোটে যেতে হবে। নেতা নেত্রীদের প্যান প্যানানি ছেড়ে জনগণের দুঃখের সাথে একাত্ম হতে হবে। আর শিল্পবিরোধি খাম খেয়ালি পনা ছাড়তে হবে।

যাইহোক এটা বোঝা গেল-নন্দীগ্রামের জনগণ সিপিএমকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে। এখন এই চেতনা গোটা পশ্চিম বঙ্গে ছড়াবে কি না সেটাই দেখার।

সিকিউরিটি কাউন্সিলে সিজ ফায়ারের জন্যে রিজলুশন

জানুয়ারী ৯ঃ সকাল ৭টা
এই মাত্র ১৪-০ ভোটে ইউ এন কাউন্সিল গাজাতে ইস্রায়েল আগ্রাসন বন্ধের নির্দেশ দিল। আমেরিকা ভোট দিল না। কন্ডোলিজা রাইস হাত তুললেন না-পক্ষান্তরে আমেরিকা
যে ইস্রায়েলের আগ্রাসনকেই সমর্থন করে সেটা জানালেন। রিজল্যুশনের পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে হামাসের রকেটের জন্যেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এটাও জানানো হয়েছে হামাসকে রকেট আক্রমন বন্ধ করতে হবে। আমেরিকা প্রকাশ্যেই জানিয়েছে হামাস যে সন্ত্রাসবাদি সেটা রিজসল্যুশনে পরিষ্কার করা হয় নি-তাই তারা ভোট দেবে না। তাই আমেরিকা প্রকাশ্যেই ইস্রায়েলের আক্রমন সমর্থন করে।
ইউ এন অবশ্য আমেরিকার ভাষ্যে রাজি হয় নি। সবাই প্রকাশ্যে ইস্রায়েলের আগ্রাসন এবং হামাসের বিরুদ্ধে এক কাট্টা । আরব দেশগুলি অবশ্য হামসের দোষ নিয়েও কিছু বলে নি। লিবিয়ান বিদেশমন্ত্রী বলেন ১১,০০০ পালেস্টাইন-যাদের মধ্যে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও আছে-তারা ইস্রায়েলের জেলে বন্দি।