Friday, January 30, 2009

ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতদের থামাতে পারবেন ওবামা?


আজ(৩০শে জানুয়ারী) সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতদের একহাত নিলেন ওবামা। আমেরিকায় যেখানে একের পর এক চাকরী যাচ্ছে-সেখানে পাবলিকের পয়সায় থুরি বেইল আউটের টাকায় ব্যাঙ্কারা দুহাতে বোনাস লুটছেন। গত বছর ওয়াল স্ট্রীটে ব্যাঙ্কার প্রতি ১১২ হাজার ডলার বোনাস দেওয়া হয়েছে। ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতরা সাধারন মানুষের বেঁচে থাকার শেষ সম্বল টুকু ধ্বংস করে, টোটাল বোনাস নিয়েছে ১৬ বিলিয়ান ডলার। ডাকাতির পুরষ্কার। তা আগেব বছরে তুলনায় কম-কিন্তু লস খাওয়াবার জন্যে বোনাস?? সেকেন্ডারী পরীক্ষায় ফেইল করে পিএইচডী ডিগ্রী একমাত্র ওয়াল স্ট্রীটেই সম্ভব।

১৫ বিলিয়ান ডলার লস খাওয়ানো মেরিল লিঞ্চের সি এই ও বোনাস নিয়েছেন ১০০ মিলিয়ান ডলার। কোম্পানীকে বিলিয়ান ডলার লস খাইয়ে সরকারের পয়সায় মিলিয়ান ডলারের বোনাস নেওয়া বোধ হয় একমাত্র আমেরিকাতেই সম্ভব ছিল। কারন ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকান পার্টি-যারা ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির স্বার্থ ছাড়া কিছু দেখত না-আর মানুষের মাথায় খ্রীষ্ঠান ধর্মের ভূত ঢুকিয়ে, ইসলামিক সন্ত্রাসের জুজু দেখিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করত। ওবামা আসায় সে দিন বদলেছে-ওবামা আজ পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিলেন, এই সব দিনে ডাকাতি আর তিনি সহ্য করবেন না। পাবলিক বেইল আউটের টাকায় কোন সি এই ও বা কোম্পানীর আমলারা বোনাস নিয়ে থাকলে, তিনি সরসরি তাদের ছাঁটাই করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। কারন তাদের মালিক এখন আমেরিকান সরকার। দুই সেনেটর নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও বসিয়েছেন। যেসব সিইও রা বেইল আউটের টাকায় বোনাস নিয়েছেন ঘরে, তাদের সেই তদন্ত কমিশনে হাজিরা দিতে হবে। দোষী সাব্যাস্ত হলে-চাকরি নট। ব্যাচারা ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার ম্যানেজাররা- বোনাস ঘোষনা করে দিয়েছিল -ওবামার হুঙ্কারে সেই প্ল্যান স্থগিত করে দিয়েছে। গর্ভমেন্ট মানেই কিছু ধান্দাবাজদের লুটেপুটে চেটে খাওয়া-এটাই আম-আদমী জানত এতদিন। সেটাই রাজনীতি বিমুখ করে রেখেছিল মানুষকে। ওবামার কথায় এবং এখন কাজে গণতন্ত্রে একটু একটু করে ভরসা ফিরে পাচ্ছে মানুষ।

গণতন্ত্র অচল, শুয়ারের খোঁয়ার এবং সাধারন মানুষের জন্যে উপযুক্ত নয় বলে ধ্বজ্জা তোলা রাজনীতির কান্ডারীদের আজ দুর্দিন। কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট একনায়কতন্ত্রের পুজ়ারীদের বিশ্বাস করার লোক আস্তে আস্তে আরো কমে আসবে-যত উন্নততর গণতন্ত্র ওবামা উপহার দিতে পারবেন। তাই কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠির কাছে আমার অনুরোধ শেষ বয়সে অন্তিম সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাদের যেন আক্ষেপ করতে না হয়-এক মরিচিকার পেছনে জীবন অনর্থক শেষ হল। ধর্মীয় লোকেরা তাও স্বর্গের বা পরজন্মের লোভে নিজেদের কিছুটা হলেও মিথ্যা শান্তনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখবে। কমিনিউস্টদের স্বর্গ ত ইহকালে-সেখানে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র ওবামার উদাহরন ধরে আরো উন্নততর রাষ্ট্র এবং সমাজের জন্ম দিলে তাদের সারা জীবনটাই ত বৃথা হয়ে যাবে।

সামাজিক সত্যকে কখনোই কোন পরম সুত্রের আকারে বাঁধা যায় না-কারন প্রতিটা মানুষই আলাদা। আর তা যদি না হয় বহুত্ববাদ ছাড়া, গণতন্ত্র ছাড়া, সামাজিক সত্যের অনুধাবন, বিশ্লেষন এবং পরবর্ত্তী আইন প্রনয়ন ও পদক্ষেপ, সম্ভব না। কোন পরম সামাজিক সুত্রের কল্পনা মারাত্মক রকমের দার্শনিক বিচ্যুতি। অথচ ঐতিহাসিক বস্তুবাদ নামক এক ভুল দর্শনের পাঁকে ডুবে আছেন কমিনিউস্টরা। সেই মদে গ্যাঁজলা উঠে গেছে-তবুও আমাদের কমিনিউস্টদের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাতালের প্রলাপ, থামবে না।

চিঁচকে চোরেদের কিছু লাজ-লজ্জা থাকলেও ওয়াল স্ট্রীটের চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই। ট্যাক্সের টাকায় বেইল আউটের জন্যে ৮০০বিলিয়ান ডলার নিয়ে, বোনাস নিচ্ছে-প্রাইভেট জেট কিনছে। মিডীয়া জিজ্ঞেস করলে বলে, বোনাস না দিলে না কি কোম্পানীতে ট্যালেন্ট রাখা যাবে না! সত্যি এরা ট্যালেন্টই বটে-সাধারন মধ্যবিত্ত সহ গোটাদেশকে পথে বসাতে ট্যালেন্ট অবশ্যই দরকার হয়। যাইহোক, ওবামা শুধু এদের ফায়ার করলেই মনে হয় না সমস্যার সমাধান হবে। ক্রিমিন্যাল নেগলিজেন্সি এবং কন্সপিরেসির জন্যে এদের বিচার হওয়া দরকার এবং এই সব ট্যালেন্টরা- যারা মিলিয়ান ডলারের নীচে বোনাস নেন না, তারা জেলে থাকলেই আম-আদমী একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।


আটবছর হয়ে গেল আমেরিকায় আছি। শুধু মিডীয়ার বাতলামো শুনতাম। এখন জনগণের কন্ঠস্বর আবার শুনতে পাচ্ছি।

Thursday, January 15, 2009

কংগ্রেসের নেতারা কি তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছেন?


প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙার খেলায় মেতেছে।

এই অভিযোগের যতার্থতা এবং গভীরতা বিশ্লেষন করা দরকার। সম্প্রতি কৃষ্ণনগর এবং বহরুমপুরের কিছু পুরানো কংগ্রেসী নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে নেতা নেত্রীরা কংগ্রেস ছাড়লেই কি কংগ্রেস ভাঙে? ১৯২১ সালে বিপিন চন্দ্র পালের মতন প্রথম শ্রেনীরা নেতা মহত্মা গান্ধীকে "প্যাপাল ডিক্টেটর" বলে গালাগাল দিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। ফল হচ্ছে এই যে জীবনের বাকি দশটা বছর তাকে রাজনীতিতে "নোবডি" হয়ে কাটাতে হয়-বাকী দশ বছরে তিনি অনেক দারিদ্রে ভুগেছেন-নতুন পার্টি গড়েছেন-কিছুই হয় নি। সুভাষ বোসও কংগ্রেস ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক গড়েছেন-সেই খরকুটোই। প্রনব মুখার্জি বেড়িয়ে গিয়ে দেখেছেন-এখন সোমেন মিত্র দেখছেন-কংগ্রেস নেতাতে চলে না-চলে সংগঠনের জোরে। এর মধ্যে শারদ পাওয়ার বা মমতা ব্যানার্জি ঘর ভেঙে কিছুটা সফল হয়েছেন-কারন প্রদেশ কংগ্রেস জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে ব্যার্থ হয়েছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা সিপিএমের লেঠেল বাহিনী এবং সমান্তরাল প্রশাসন থেকে 'প্রোটেকশন" চেয়েছে। অধীর চৌধুরী সেটা দিতে পেরেছেন-সেখানে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারে নি। উত্তর বঙ্গে গল্পটা মোটামুটি এমনই। সেখানে অতীশ সিনহা বা মায়া পালের মতন নেতা-নেত্রীরা দল ছেড়ে কিছুই করতে পারেন নি।

সিঙ্গুরের ঘটনার পর-একটা বিশাল বড় কংগ্রেসী ভোট, জাতীয় কংগ্রেসের দিকে আসার কথা। যারা সিপিএম এবং মমতা উভয়কেই পছন্দ করে না-এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই ভোটব্যাঙ্ক ধরার মতন ক্ষমতা জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের আছে বলে মনে হয় না-তারা নিজেদের রাজনৈতিক লাভ লোকসানের অঙ্কেই ব্যাস্ত। নইলে সোমেন মিত্র পার্টি ছাড়েন?

অথচ রাজ্যে ঐক্য হওয়া এমন কিছু জ়টিল নয়। শ্রেফ ফর্মুলা মেনেই এই কাজ করা যায়। আগের বার যারা দ্বিতীয় পজিশনে ছিল, তাদের টিকিট দিলেই মিটে যায়। তাহলে বিতর্কের অবকাশ থাকে না। দড়াদরি করে মমতার সাথে কেও পারবে না-উনি খুব ভাল এই ব্যপারে। সেই জন্যেই প্রদেশ কংগ্রেসের উচিত ফর্মুলা ভিত্তিক আসন বিভাজনের একটা প্রস্তাব তৃণমূলকে দেওয়া। এতে গন্ডগোল হবে না। কোন সাবজেক্টিভ জ়াজ়মেন্ট নিয়ে মারামারি হবে না। যে সময় বাঁচবে, তাতে সিপিএম বিরোধি প্রচারে আরো বেশী তারা হাওয়া তুলতে পারবেন।

মমতা মোটেও অত জনপ্রিয় নন যতটা প্রদেশ কংগ্রেস ভয় পাচ্ছেন। সাধারন লোকে এখনো প্রদেশ কংগ্রেসকেই বেশী ভরসা করে-কারন জাতীয় কংগ্রেসে তাও কিছুটা গণতন্ত্র আছে-দিদির মন মেজাজই আইন-এই ভাবে কংগ্রেস চলে না। সেটা সাধারন মানুষের কাছে একটা ভরসার জায়গা। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেসের নেতারা আর তা বুঝলেন কবে?

Friday, January 9, 2009

ঝড়ের পূর্বাভাস

৪০,০০০ হাজার ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর সিপিএম নিশ্চয় তাদের বিদায় ঘন্টা শুনতে পাচ্ছে। যদিও আমি নিশ্চিত নই। এই জন্যেই যে -এত ভাল সুযোগ বিরোধিরা রাখতে পারবেন কি না আমার সন্দেহ আছে। আর পুরুলিয়াতে কংগ্রেসের কোন অস্তিত্বই নেই। বস্তুত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং বর্ধমানে সিঙ্গুরে মমতার শিল্প বিরোধি কুনাট্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে কি না-সেটাও এবার বোঝা গেল না। আনন্দবাজার লিখছে সংখ্যালঘু ভোটে ধ্বস-সেটা কিভাবে সিদ্ধান্তে আসা যাবে মাথায় ঢুকলো না। সিদিকুল্লদের জামানত জব্দ হয়েছে নন্দীগ্রামে-ওরা সিপিএমের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক প্রচার করেছিল-পেল মাত্র হাজার খানেক ভোট। মুসলিমরা আমাদের রাজ্যে মোটেও সাম্প্রদায়িক ভাবে ভোট দিচ্ছেন না-দিলে সেটা সিদিকুল্লাদের পাওয়ার কথা। এটা কবে মমতা আর বুদ্ধ বুঝবেন? কবে বুঝবে আমাদের সাধের আনন্দবাজার?

আসলে পশ্চিম বঙ্গে বিরোধি রাজনীতির অবস্থা এখন এমন, বিরোধিরা একত্রিত হলেই সাফল্য আসবে। এটা জনগণ বোঝেন-বিরোধি নেতারা বোঝেন না। মমতা ভাবছেন তাকেই ভোট দিচ্ছে লোকে। পুরুলিয়া বোঝাল-নন্দীগ্রামের লোক ভোট দিয়েছে সিপিএমের বিরুদ্ধে-তাকে নয়। এদিকে সোমেন মিত্রর ধারনা ছিল-তিনি বড় নেতা। কৃষ্ণনগর এবং হাওড়ার পৌড়সভা বোঝাল কংগ্রেসে বড় নেতা কেও নেই-লোকে ভোট দেয় সিপিএমের বিরুদ্ধে। মমতা তৃণমূল করে জমি পেয়েছিলেন কারন ভাল হোক মন্দ হোক-লোকে তার কোলেই সিপিএমের বিরুদ্ধে একটু নির্ভরযোগ্য আশ্রয় পেয়েছে। যেকারনে বহরমপুরে অধীর ম্যাজিক অব্যাহত। সুতরাং আশা করব কংগ্রেস নেতারা বুঝবেন তাদের বক্স অফিস নেই-জনগণ চাইছে তারা সিপিএমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করুন। এটা বুঝলে ভালো-না বুঝলে জনগণ তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে।

বাংলাদেশে এবার প্রধান মন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিলা। অথচ আমাদের প্রগ্রেসিভ বামপন্থী মন্ত্রীসভায় একজন মাত্র আদিবাসি রমনী মন্ত্রী ছিলেন! শুধু তাই নয়, সিপিএম শাসনে তফশীলি, আদিবাসি মুসলিমদের তুলনামুলক অবস্থান এখন সর্বভারতীয় গড়ের নীচে-যদি তুলনাটা ভারতের সেরা রাজ্যগুলি যেমন মহারাষ্ট্র বা গুজরাটের সাথে হয়। গুজরাটের মতন হিন্দুত্ববাদি রাজ্যে মুসলিমরা অনেক বেশী সংখ্যায় শিক্ষিত এবং সরকারী চাকরিতে আছেন।

তফসিলী জাতি-উপজাতিগুলি সিপিএম নিয়ে হতাশ। তারা বুঝতে পারছে এক রাশিয়ান আলখাল্লা চাপিয়ে, কিছু বর্ণহিন্দু প্রগতিশীলতার নামে, সিপিএম চালাচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যত সৎকার করছে। ঝাড়খন্ড মুক্তিমোর্চা পুরুলিয়াতে এই জন্যেই জমি পেয়ে গেল। আশা করি পুরুলিয়া থেকে মমতা বুঝেছেন বিচ্ছিন্নবাদিদের সাথে গলা মেলালে আম ও যাবে ছালাও যাবে। বাঙালীরা ভোট দেবে না-আর বিচ্ছিন্নতাবাদিরা তাকে দিদি হিসাবে মানবে না।

জনগণ সঠিক পথেই আছে-কিন্তু আমাদের বিরোধি নেতারা কি করে ফসল তোলে সেটাই দেখার। সিপিএম এই ব্যার্থতার বিশ্লেষন করে-পার্থক্য ঘোচাবার চেস্টা করবে। কিন্তু কংগ্রেসে এই দাদা আর ওই দিদি-এবার কি বুঝবেন জনগণ কি চাইছে?
তারা এবার "কংগ্রেস" নামে পতাকার তলায় একসাথে বিরোধী পক্ষকে দেখতে চাইছে।

Thursday, January 8, 2009

সাবাশ নন্দীগ্রাম তোমারে সেলাম

২৫০০০ হাজার ভোটে হেরে গেল সিপিএম নন্দীগ্রামে। তৃণমূল জিতল। সুজাপুর ও কংগ্রেস দখলে ১২০০০ ভোটে। দিন বদলের পালা মনে হচ্ছে এগিয়ে আসছে। শুধু তৃণমূল, কংগ্রেসকে একসাথে ভোটে যেতে হবে। নেতা নেত্রীদের প্যান প্যানানি ছেড়ে জনগণের দুঃখের সাথে একাত্ম হতে হবে। আর শিল্পবিরোধি খাম খেয়ালি পনা ছাড়তে হবে।

যাইহোক এটা বোঝা গেল-নন্দীগ্রামের জনগণ সিপিএমকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে। এখন এই চেতনা গোটা পশ্চিম বঙ্গে ছড়াবে কি না সেটাই দেখার।

সিকিউরিটি কাউন্সিলে সিজ ফায়ারের জন্যে রিজলুশন

জানুয়ারী ৯ঃ সকাল ৭টা
এই মাত্র ১৪-০ ভোটে ইউ এন কাউন্সিল গাজাতে ইস্রায়েল আগ্রাসন বন্ধের নির্দেশ দিল। আমেরিকা ভোট দিল না। কন্ডোলিজা রাইস হাত তুললেন না-পক্ষান্তরে আমেরিকা
যে ইস্রায়েলের আগ্রাসনকেই সমর্থন করে সেটা জানালেন। রিজল্যুশনের পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে হামাসের রকেটের জন্যেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এটাও জানানো হয়েছে হামাসকে রকেট আক্রমন বন্ধ করতে হবে। আমেরিকা প্রকাশ্যেই জানিয়েছে হামাস যে সন্ত্রাসবাদি সেটা রিজসল্যুশনে পরিষ্কার করা হয় নি-তাই তারা ভোট দেবে না। তাই আমেরিকা প্রকাশ্যেই ইস্রায়েলের আক্রমন সমর্থন করে।
ইউ এন অবশ্য আমেরিকার ভাষ্যে রাজি হয় নি। সবাই প্রকাশ্যে ইস্রায়েলের আগ্রাসন এবং হামাসের বিরুদ্ধে এক কাট্টা । আরব দেশগুলি অবশ্য হামসের দোষ নিয়েও কিছু বলে নি। লিবিয়ান বিদেশমন্ত্রী বলেন ১১,০০০ পালেস্টাইন-যাদের মধ্যে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও আছে-তারা ইস্রায়েলের জেলে বন্দি।