আজ(৩০শে জানুয়ারী) সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতদের একহাত নিলেন ওবামা। আমেরিকায় যেখানে একের পর এক চাকরী যাচ্ছে-সেখানে পাবলিকের পয়সায় থুরি বেইল আউটের টাকায় ব্যাঙ্কারা দুহাতে বোনাস লুটছেন। গত বছর ওয়াল স্ট্রীটে ব্যাঙ্কার প্রতি ১১২ হাজার ডলার বোনাস দেওয়া হয়েছে। ওয়াল স্ট্রীটের ডাকাতরা সাধারন মানুষের বেঁচে থাকার শেষ সম্বল টুকু ধ্বংস করে, টোটাল বোনাস নিয়েছে ১৬ বিলিয়ান ডলার। ডাকাতির পুরষ্কার। তা আগেব বছরে তুলনায় কম-কিন্তু লস খাওয়াবার জন্যে বোনাস?? সেকেন্ডারী পরীক্ষায় ফেইল করে পিএইচডী ডিগ্রী একমাত্র ওয়াল স্ট্রীটেই সম্ভব।
১৫ বিলিয়ান ডলার লস খাওয়ানো মেরিল লিঞ্চের সি এই ও বোনাস নিয়েছেন ১০০ মিলিয়ান ডলার। কোম্পানীকে বিলিয়ান ডলার লস খাইয়ে সরকারের পয়সায় মিলিয়ান ডলারের বোনাস নেওয়া বোধ হয় একমাত্র আমেরিকাতেই সম্ভব ছিল। কারন ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকান পার্টি-যারা ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির স্বার্থ ছাড়া কিছু দেখত না-আর মানুষের মাথায় খ্রীষ্ঠান ধর্মের ভূত ঢুকিয়ে, ইসলামিক সন্ত্রাসের জুজু দেখিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করত। ওবামা আসায় সে দিন বদলেছে-ওবামা আজ পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিলেন, এই সব দিনে ডাকাতি আর তিনি সহ্য করবেন না। পাবলিক বেইল আউটের টাকায় কোন সি এই ও বা কোম্পানীর আমলারা বোনাস নিয়ে থাকলে, তিনি সরসরি তাদের ছাঁটাই করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। কারন তাদের মালিক এখন আমেরিকান সরকার। দুই সেনেটর নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও বসিয়েছেন। যেসব সিইও রা বেইল আউটের টাকায় বোনাস নিয়েছেন ঘরে, তাদের সেই তদন্ত কমিশনে হাজিরা দিতে হবে। দোষী সাব্যাস্ত হলে-চাকরি নট। ব্যাচারা ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার ম্যানেজাররা- বোনাস ঘোষনা করে দিয়েছিল -ওবামার হুঙ্কারে সেই প্ল্যান স্থগিত করে দিয়েছে। গর্ভমেন্ট মানেই কিছু ধান্দাবাজদের লুটেপুটে চেটে খাওয়া-এটাই আম-আদমী জানত এতদিন। সেটাই রাজনীতি বিমুখ করে রেখেছিল মানুষকে। ওবামার কথায় এবং এখন কাজে গণতন্ত্রে একটু একটু করে ভরসা ফিরে পাচ্ছে মানুষ।
গণতন্ত্র অচল, শুয়ারের খোঁয়ার এবং সাধারন মানুষের জন্যে উপযুক্ত নয় বলে ধ্বজ্জা তোলা রাজনীতির কান্ডারীদের আজ দুর্দিন। কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট একনায়কতন্ত্রের পুজ়ারীদের বিশ্বাস করার লোক আস্তে আস্তে আরো কমে আসবে-যত উন্নততর গণতন্ত্র ওবামা উপহার দিতে পারবেন। তাই কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠির কাছে আমার অনুরোধ শেষ বয়সে অন্তিম সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাদের যেন আক্ষেপ করতে না হয়-এক মরিচিকার পেছনে জীবন অনর্থক শেষ হল। ধর্মীয় লোকেরা তাও স্বর্গের বা পরজন্মের লোভে নিজেদের কিছুটা হলেও মিথ্যা শান্তনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখবে। কমিনিউস্টদের স্বর্গ ত ইহকালে-সেখানে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র ওবামার উদাহরন ধরে আরো উন্নততর রাষ্ট্র এবং সমাজের জন্ম দিলে তাদের সারা জীবনটাই ত বৃথা হয়ে যাবে।
সামাজিক সত্যকে কখনোই কোন পরম সুত্রের আকারে বাঁধা যায় না-কারন প্রতিটা মানুষই আলাদা। আর তা যদি না হয় বহুত্ববাদ ছাড়া, গণতন্ত্র ছাড়া, সামাজিক সত্যের অনুধাবন, বিশ্লেষন এবং পরবর্ত্তী আইন প্রনয়ন ও পদক্ষেপ, সম্ভব না। কোন পরম সামাজিক সুত্রের কল্পনা মারাত্মক রকমের দার্শনিক বিচ্যুতি। অথচ ঐতিহাসিক বস্তুবাদ নামক এক ভুল দর্শনের পাঁকে ডুবে আছেন কমিনিউস্টরা। সেই মদে গ্যাঁজলা উঠে গেছে-তবুও আমাদের কমিনিউস্টদের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাতালের প্রলাপ, থামবে না।
চিঁচকে চোরেদের কিছু লাজ-লজ্জা থাকলেও ওয়াল স্ট্রীটের চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই। ট্যাক্সের টাকায় বেইল আউটের জন্যে ৮০০বিলিয়ান ডলার নিয়ে, বোনাস নিচ্ছে-প্রাইভেট জেট কিনছে। মিডীয়া জিজ্ঞেস করলে বলে, বোনাস না দিলে না কি কোম্পানীতে ট্যালেন্ট রাখা যাবে না! সত্যি এরা ট্যালেন্টই বটে-সাধারন মধ্যবিত্ত সহ গোটাদেশকে পথে বসাতে ট্যালেন্ট অবশ্যই দরকার হয়। যাইহোক, ওবামা শুধু এদের ফায়ার করলেই মনে হয় না সমস্যার সমাধান হবে। ক্রিমিন্যাল নেগলিজেন্সি এবং কন্সপিরেসির জন্যে এদের বিচার হওয়া দরকার এবং এই সব ট্যালেন্টরা- যারা মিলিয়ান ডলারের নীচে বোনাস নেন না, তারা জেলে থাকলেই আম-আদমী একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।
১৫ বিলিয়ান ডলার লস খাওয়ানো মেরিল লিঞ্চের সি এই ও বোনাস নিয়েছেন ১০০ মিলিয়ান ডলার। কোম্পানীকে বিলিয়ান ডলার লস খাইয়ে সরকারের পয়সায় মিলিয়ান ডলারের বোনাস নেওয়া বোধ হয় একমাত্র আমেরিকাতেই সম্ভব ছিল। কারন ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকান পার্টি-যারা ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির স্বার্থ ছাড়া কিছু দেখত না-আর মানুষের মাথায় খ্রীষ্ঠান ধর্মের ভূত ঢুকিয়ে, ইসলামিক সন্ত্রাসের জুজু দেখিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করত। ওবামা আসায় সে দিন বদলেছে-ওবামা আজ পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিলেন, এই সব দিনে ডাকাতি আর তিনি সহ্য করবেন না। পাবলিক বেইল আউটের টাকায় কোন সি এই ও বা কোম্পানীর আমলারা বোনাস নিয়ে থাকলে, তিনি সরসরি তাদের ছাঁটাই করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। কারন তাদের মালিক এখন আমেরিকান সরকার। দুই সেনেটর নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও বসিয়েছেন। যেসব সিইও রা বেইল আউটের টাকায় বোনাস নিয়েছেন ঘরে, তাদের সেই তদন্ত কমিশনে হাজিরা দিতে হবে। দোষী সাব্যাস্ত হলে-চাকরি নট। ব্যাচারা ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার ম্যানেজাররা- বোনাস ঘোষনা করে দিয়েছিল -ওবামার হুঙ্কারে সেই প্ল্যান স্থগিত করে দিয়েছে। গর্ভমেন্ট মানেই কিছু ধান্দাবাজদের লুটেপুটে চেটে খাওয়া-এটাই আম-আদমী জানত এতদিন। সেটাই রাজনীতি বিমুখ করে রেখেছিল মানুষকে। ওবামার কথায় এবং এখন কাজে গণতন্ত্রে একটু একটু করে ভরসা ফিরে পাচ্ছে মানুষ।
গণতন্ত্র অচল, শুয়ারের খোঁয়ার এবং সাধারন মানুষের জন্যে উপযুক্ত নয় বলে ধ্বজ্জা তোলা রাজনীতির কান্ডারীদের আজ দুর্দিন। কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট একনায়কতন্ত্রের পুজ়ারীদের বিশ্বাস করার লোক আস্তে আস্তে আরো কমে আসবে-যত উন্নততর গণতন্ত্র ওবামা উপহার দিতে পারবেন। তাই কমিনিউস্ট এবং ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠির কাছে আমার অনুরোধ শেষ বয়সে অন্তিম সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনাদের যেন আক্ষেপ করতে না হয়-এক মরিচিকার পেছনে জীবন অনর্থক শেষ হল। ধর্মীয় লোকেরা তাও স্বর্গের বা পরজন্মের লোভে নিজেদের কিছুটা হলেও মিথ্যা শান্তনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখবে। কমিনিউস্টদের স্বর্গ ত ইহকালে-সেখানে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র ওবামার উদাহরন ধরে আরো উন্নততর রাষ্ট্র এবং সমাজের জন্ম দিলে তাদের সারা জীবনটাই ত বৃথা হয়ে যাবে।
সামাজিক সত্যকে কখনোই কোন পরম সুত্রের আকারে বাঁধা যায় না-কারন প্রতিটা মানুষই আলাদা। আর তা যদি না হয় বহুত্ববাদ ছাড়া, গণতন্ত্র ছাড়া, সামাজিক সত্যের অনুধাবন, বিশ্লেষন এবং পরবর্ত্তী আইন প্রনয়ন ও পদক্ষেপ, সম্ভব না। কোন পরম সামাজিক সুত্রের কল্পনা মারাত্মক রকমের দার্শনিক বিচ্যুতি। অথচ ঐতিহাসিক বস্তুবাদ নামক এক ভুল দর্শনের পাঁকে ডুবে আছেন কমিনিউস্টরা। সেই মদে গ্যাঁজলা উঠে গেছে-তবুও আমাদের কমিনিউস্টদের সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাতালের প্রলাপ, থামবে না।
চিঁচকে চোরেদের কিছু লাজ-লজ্জা থাকলেও ওয়াল স্ট্রীটের চক্ষুলজ্জা বলতে কিছু নেই। ট্যাক্সের টাকায় বেইল আউটের জন্যে ৮০০বিলিয়ান ডলার নিয়ে, বোনাস নিচ্ছে-প্রাইভেট জেট কিনছে। মিডীয়া জিজ্ঞেস করলে বলে, বোনাস না দিলে না কি কোম্পানীতে ট্যালেন্ট রাখা যাবে না! সত্যি এরা ট্যালেন্টই বটে-সাধারন মধ্যবিত্ত সহ গোটাদেশকে পথে বসাতে ট্যালেন্ট অবশ্যই দরকার হয়। যাইহোক, ওবামা শুধু এদের ফায়ার করলেই মনে হয় না সমস্যার সমাধান হবে। ক্রিমিন্যাল নেগলিজেন্সি এবং কন্সপিরেসির জন্যে এদের বিচার হওয়া দরকার এবং এই সব ট্যালেন্টরা- যারা মিলিয়ান ডলারের নীচে বোনাস নেন না, তারা জেলে থাকলেই আম-আদমী একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।
আটবছর হয়ে গেল আমেরিকায় আছি। শুধু মিডীয়ার বাতলামো শুনতাম। এখন জনগণের কন্ঠস্বর আবার শুনতে পাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment