Thursday, January 15, 2009
কংগ্রেসের নেতারা কি তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছেন?
প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙার খেলায় মেতেছে।
এই অভিযোগের যতার্থতা এবং গভীরতা বিশ্লেষন করা দরকার। সম্প্রতি কৃষ্ণনগর এবং বহরুমপুরের কিছু পুরানো কংগ্রেসী নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে নেতা নেত্রীরা কংগ্রেস ছাড়লেই কি কংগ্রেস ভাঙে? ১৯২১ সালে বিপিন চন্দ্র পালের মতন প্রথম শ্রেনীরা নেতা মহত্মা গান্ধীকে "প্যাপাল ডিক্টেটর" বলে গালাগাল দিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। ফল হচ্ছে এই যে জীবনের বাকি দশটা বছর তাকে রাজনীতিতে "নোবডি" হয়ে কাটাতে হয়-বাকী দশ বছরে তিনি অনেক দারিদ্রে ভুগেছেন-নতুন পার্টি গড়েছেন-কিছুই হয় নি। সুভাষ বোসও কংগ্রেস ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লক গড়েছেন-সেই খরকুটোই। প্রনব মুখার্জি বেড়িয়ে গিয়ে দেখেছেন-এখন সোমেন মিত্র দেখছেন-কংগ্রেস নেতাতে চলে না-চলে সংগঠনের জোরে। এর মধ্যে শারদ পাওয়ার বা মমতা ব্যানার্জি ঘর ভেঙে কিছুটা সফল হয়েছেন-কারন প্রদেশ কংগ্রেস জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণে ব্যার্থ হয়েছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরা সিপিএমের লেঠেল বাহিনী এবং সমান্তরাল প্রশাসন থেকে 'প্রোটেকশন" চেয়েছে। অধীর চৌধুরী সেটা দিতে পেরেছেন-সেখানে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারে নি। উত্তর বঙ্গে গল্পটা মোটামুটি এমনই। সেখানে অতীশ সিনহা বা মায়া পালের মতন নেতা-নেত্রীরা দল ছেড়ে কিছুই করতে পারেন নি।
সিঙ্গুরের ঘটনার পর-একটা বিশাল বড় কংগ্রেসী ভোট, জাতীয় কংগ্রেসের দিকে আসার কথা। যারা সিপিএম এবং মমতা উভয়কেই পছন্দ করে না-এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই ভোটব্যাঙ্ক ধরার মতন ক্ষমতা জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের আছে বলে মনে হয় না-তারা নিজেদের রাজনৈতিক লাভ লোকসানের অঙ্কেই ব্যাস্ত। নইলে সোমেন মিত্র পার্টি ছাড়েন?
অথচ রাজ্যে ঐক্য হওয়া এমন কিছু জ়টিল নয়। শ্রেফ ফর্মুলা মেনেই এই কাজ করা যায়। আগের বার যারা দ্বিতীয় পজিশনে ছিল, তাদের টিকিট দিলেই মিটে যায়। তাহলে বিতর্কের অবকাশ থাকে না। দড়াদরি করে মমতার সাথে কেও পারবে না-উনি খুব ভাল এই ব্যপারে। সেই জন্যেই প্রদেশ কংগ্রেসের উচিত ফর্মুলা ভিত্তিক আসন বিভাজনের একটা প্রস্তাব তৃণমূলকে দেওয়া। এতে গন্ডগোল হবে না। কোন সাবজেক্টিভ জ়াজ়মেন্ট নিয়ে মারামারি হবে না। যে সময় বাঁচবে, তাতে সিপিএম বিরোধি প্রচারে আরো বেশী তারা হাওয়া তুলতে পারবেন।
মমতা মোটেও অত জনপ্রিয় নন যতটা প্রদেশ কংগ্রেস ভয় পাচ্ছেন। সাধারন লোকে এখনো প্রদেশ কংগ্রেসকেই বেশী ভরসা করে-কারন জাতীয় কংগ্রেসে তাও কিছুটা গণতন্ত্র আছে-দিদির মন মেজাজই আইন-এই ভাবে কংগ্রেস চলে না। সেটা সাধারন মানুষের কাছে একটা ভরসার জায়গা। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেসের নেতারা আর তা বুঝলেন কবে?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Bip Da,eta thik bollen na je Mamata ke public pochhondo kore na.Tahole TMCP eto clg e jitchhe ki kore?Ki kore YMC Panchayet votes e INC er cheye besi safollo pelo?Ki kore Municipality Election e valo fol korlo?Ki kore eto School Committee-r Election e TMC jite cholechhe emon sob jaygay jekhane opposition candidate dite parto na & jekhane goto 32 years dhore CPI(M) jite aschhe?Perechhe INC eto ta unnoti korte?
ReplyDeletebplab, asole sabaike nijer moto bhabchhe. o ekhon pakka congressi. cpm and trinamul dujonke gali dey.. o nije jemon bhabe, temoni sabaike bhbachhe.. usa te bose thele west bengal er rajniti charcha korle ja hay..
ReplyDeleteTMC aar CPM ke galagal dilei congressi..ami aali PCC ke galagal dilam..tabe ha Congess ekhan lesser of the evil..
ReplyDelete