Tuesday, February 3, 2009

সিপিএমের এম পি দের জন্যে পশ্চিম বঙ্গের ১০০ কোটি টাকা ফিরে গেল!

আমাদের সিপিমের এম পি রা আবার তাদের স্বব্যার্থতার উজ্জ্বলতর মহিমা রাখলেন। এম পি রা উন্নয়নের জন্যে ১০ কোটি টাকা পান-তাদের এলাকার উন্নয়নের জন্যে। তবে খরচ হয় ডি এমের হাত দিয়ে। এম পিরা শুধু পরিকল্পনা বানান। দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের সব এম পি তাদের কোটার টাকা শেষ করে ফেলেছেন-সিপিএমের এম পিরা পারেন নি। তড়িৎ তরফদার ১০ কোটির মধ্যে ন কোটি টাকায় খরচ করেন নি। এখন গাল পাড়ছেন ডি এম দের। আরে ডি এমদের তাড়া দেওয়ার কাজটা কাদের? সেটা কি জনগণ করবে?

সব থেকে আশ্চর্য্য লাগছে তরফদারের ঔদ্ধত্ব্য। উনি নাকি উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রই খুঁজে পান নি। ব্যারাকপুর শহরটা কি আমেরিকার সান ডিয়েগো শহর হয়ে গেল যে উনি উন্নয়নের কোন ক্ষেত্রই খুঁজে পেলেন না? উনার শহরে ত পা ফেলার জায়গা নেই-এত ঘন লোক বসতি। এই যে পশ্চিম বঙ্গের জন্যে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা জলে ফেললেন সিপিএমের এম পিরা,
এর খেসারত কে দেবে? জনগণ? তার ওপর তরফদার সুলভ ঔদ্ধত্য যোগ হলে, এটাই কি প্রমানিত হয় না, সিপিএমের নেতারা জনগণের প্রতি এক চরম উদাসীন মনোভাব নিয়ে চলেন? কারন তাদের সমর্থকরা ত আবার পার্টীর চিহ্ন নিয়ে গরু ভেরা দাঁড়ালে-তাদের ও ভোট দেবে। শমীক লাহিড়ী ভদ্রলোক-তিনি দাবি করছেন তার 'ভদ্র' অনুরোধেও ডি এমরা সচল হয় নি! তাহলে বাপু, এম পি কেন? বাড়িতে বসে লেখা-লেখি করুন-যে ডি এমদের দিয়ে কাজ করাতে পারবে, এমপির পদটা তাকেই ছেড়ে দিন দাদা!

যাইহোক শুনলাম এই অপদার্থতা এবং ঔদ্ধত্যের কারনে, তড়িৎকে এবার টিকিট দেবে না সিপিএম। উত্তম সিদ্ধান্ত। আমরা দেখতে চাই, যেসব নেতারা এই দশ কোটি টাকার মধ্যে নুন্যতম আট কোটি খরচ করতে পারেন নি-তাদের সবাইকে বসিয়ে দিক সিপিএম। আর সেটা যদি না করে-তাহলে বুঝতে হবে, সিপিএম সম্পূর্ণ জন বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিকে চলেছে। যেসব এম পিরা নিজেদের এলাকার উন্নয়নকে অবহেলা করেছে-তাদের এই ভাবেই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হৌক। জ়নগণের জন্যেই নেতা-নেতা কখনোই পার্টি বা 'রাজনৈতিক আদর্শের' হতে পারেন না গণতন্ত্রে। তাই জনগনকে যারা অবহেলা করে, তাদের নেতার আলখাল্লা খুলে নেওয়া হৌক। গণতন্ত্রের রঙ্গমঞ্চে নেতার পাঠ তাদের জন্যে নয়।

No comments:

Post a Comment