বিষ্ণুপুরে জোট হবেই-ভিন্নবাসর রেডিওতে জোর দিয়ে বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য। ৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জেনে যাওয়ার কথা। কিছুই হল না। কারন মমতা বা কংগ্রেস কেও কারুর দাবি মানতে রাজী নন।
মমতার দাবি কংগ্রেসকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে-তারা ভোটের পরে সিপিএমের সাথে জোট বাঁধবে না। সেটা সোনিয়ার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না-কারন মমতার চেয়ে সিপিএমের আসন সংখ্যা অনেক বেশী। এবং তা দরকার হতেই পারে কেন্দ্রে সরকার গড়তে। তার থেকে বড় কথা কংগ্রেস যে শর্ত দিয়েছে-এন ডি এ ছাড়তে হবে-সেটা মানতে রাজী না মমতা। ফলে বিরোধি জোট এখন বিশ বাঁও জলে। এটা বিশ্লেষন করলেই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সিপিএম বিরোধি রাজনীতির অস্তিচর্মহীন কঙ্কালসার অয়বয়।
(১) মমতা কেন দাবি তুললেন লোকসভায় সিপিএমের সাথে জোট বাঁধা যাবে না? পশ্চিম বঙ্গের ৪২টা সিটই যদি, ইউ পি এ তে থাকে, ভারতীয় রাজনীতিতে পশ্চিম বঙ্গ অনেক বেশী শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রীয় অনুদানের অনেক বেশী অংশ পশ্চিম বঙ্গে আসবে-তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করে কেন এই আবদার (অবশ্য রাজ্যের ভাল, তিনি আর কবেই বা বুঝলেন)?
উত্তরটা এই-- তিনি যে রাজনীতি করেন, সেটার নাম অচ্ছুৎ বর্গের রাজনীতি। তৃণমূল এখন তাদের প্ল্যাটফর্ম, যারা মনেপ্রানে সিপিএমকে ঘৃণা করে। সেই ঘৃণার আবেগে ভোটব্যাঙ্ক ভরে তৃণমূলের। অবশ্য এর কৃতিত্বটাও সিপিএমের পাওনা। গণতন্ত্রে এই অচ্ছুৎ এর রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা সিপিএমই। তারাই ক্যাডারদের শিখিয়েছে বিরোধি মানে অচ্ছুৎদের আখড়া-তাদের ওপর দমন পীড়ন নিপীড়ন চলেছেই। আজকে সেই নিপীড়িতরাই তৃণমূলের আশ্রয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। রাজ্যে রাজনীতির সুস্থ আবহটাই নেই-আছে শুধু ঘৃণা আর হিংসা। ফলে তৃণমুলের সমর্থকদের মন রাখতে, মমতা দাবি করছেন- কংগ্রেস যেন সিপিএমকে অচ্ছ্যুত ঘোষনা করে। তাতে রাজ্যের ক্ষতি হলে হৌক। এমনকি নিজেরা কম সিট পেলেও কিছু যায় আসে না। জমিদারী আদিম ঘৃণাটা না রাখলে যেন মান থাকে না।
এই ভাবে কখনো সুস্থ রাজনীতি বা গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব?
(২) মমতার ঘৃণাবাদি রাজনীতি যদি পশ্চিম বঙ্গকে ধ্বংশোদ্দ্যোত তলোয়ারের একদিক হয়-অন্যদিকটার নাম প্রকাশ কারাতের বালখিল্যতা। এই প্রকাশ কারাত আজ ঘোষনা করেছেন, কংগ্রেস বাদে আর যেকোন ধর্ম নিরেপেক্ষ জোটে তিনি আছেন। আপামর বাঙালী প্রশ্ন করতে পারে, কারাত কি এখনো ভাবেন, এই দেশের রাজনীতিটা দিল্লীর জেনিউ এর রাজনীতি? নইলে তার কথাটার মানে কি? কংগ্রেস এবং তার জ়োট সঙ্গীদের বাদ দিয়ে পড়ে রইল কে? জয়ললিতা, মায়াবতী আর চন্দ্রবাবু-যারা আগে বিজেপির দোশর ছিলেন। যৌবনে প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদের পর যেমন অনেক যুবা দাবীকরেন-বালিশের সাথে শোবে তাও বিয়ে করবে না-প্রকাশ কারাতের কথাবার্ত্তা সেই পর্যায়ের প্রলাপে চলে গেছে। কিন্তু ইউএস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়াল ডিল থেকে আজ পর্যন্ত, তার বালখিল্যতার খেসারত দিচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ। এবং সিপিএমের বাঙালী কমরেডরা রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষতি হচ্ছে দেখেও, তাদের জেনারেল সেক্রেটারীর ছেলেমানুষি সহ্য করে যাচ্ছেন। কারন প্রতিবাদ করলেই-সিপিএমে খেটে করা পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারটা একদিনে ধ্বংশ হবে। এই দিল্লীনিবাসী নেতার ছেলেমানুষি আর কতদিন তারা সহ্য করবেন-সেটা তারাই ঠিক করুন। আমরা কিন্ত দেখতে পাচ্ছি-প্রকাশ কারাতের ক্রীতদাসত্ব স্বীকার করে পশ্চিম বঙ্গের চূড়ান্ত ক্ষতি করছেন কমরেডরা সেই ইউ-এস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়ার ডিল থেকেই।
অবশ্য পলাশী যুদ্ধের আগে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দফতরে লর্ড ক্লাইভের লেখা চিঠি মনে পড়ে গেল। ক্লাইভ লিখেছিলেন, এই বাঙালীদের কোন জাতিগর্ব নেই, এরা নিজেদের কোন্দলে বেশী মগ্ন এবং অন্যের দাসত্ব স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত। আড়াইশো বছর অতিক্রান্ত-বাঙালী আজও অপরিবর্তিত।
মমতার দাবি কংগ্রেসকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে-তারা ভোটের পরে সিপিএমের সাথে জোট বাঁধবে না। সেটা সোনিয়ার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না-কারন মমতার চেয়ে সিপিএমের আসন সংখ্যা অনেক বেশী। এবং তা দরকার হতেই পারে কেন্দ্রে সরকার গড়তে। তার থেকে বড় কথা কংগ্রেস যে শর্ত দিয়েছে-এন ডি এ ছাড়তে হবে-সেটা মানতে রাজী না মমতা। ফলে বিরোধি জোট এখন বিশ বাঁও জলে। এটা বিশ্লেষন করলেই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সিপিএম বিরোধি রাজনীতির অস্তিচর্মহীন কঙ্কালসার অয়বয়।
(১) মমতা কেন দাবি তুললেন লোকসভায় সিপিএমের সাথে জোট বাঁধা যাবে না? পশ্চিম বঙ্গের ৪২টা সিটই যদি, ইউ পি এ তে থাকে, ভারতীয় রাজনীতিতে পশ্চিম বঙ্গ অনেক বেশী শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রীয় অনুদানের অনেক বেশী অংশ পশ্চিম বঙ্গে আসবে-তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করে কেন এই আবদার (অবশ্য রাজ্যের ভাল, তিনি আর কবেই বা বুঝলেন)?
উত্তরটা এই-- তিনি যে রাজনীতি করেন, সেটার নাম অচ্ছুৎ বর্গের রাজনীতি। তৃণমূল এখন তাদের প্ল্যাটফর্ম, যারা মনেপ্রানে সিপিএমকে ঘৃণা করে। সেই ঘৃণার আবেগে ভোটব্যাঙ্ক ভরে তৃণমূলের। অবশ্য এর কৃতিত্বটাও সিপিএমের পাওনা। গণতন্ত্রে এই অচ্ছুৎ এর রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা সিপিএমই। তারাই ক্যাডারদের শিখিয়েছে বিরোধি মানে অচ্ছুৎদের আখড়া-তাদের ওপর দমন পীড়ন নিপীড়ন চলেছেই। আজকে সেই নিপীড়িতরাই তৃণমূলের আশ্রয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। রাজ্যে রাজনীতির সুস্থ আবহটাই নেই-আছে শুধু ঘৃণা আর হিংসা। ফলে তৃণমুলের সমর্থকদের মন রাখতে, মমতা দাবি করছেন- কংগ্রেস যেন সিপিএমকে অচ্ছ্যুত ঘোষনা করে। তাতে রাজ্যের ক্ষতি হলে হৌক। এমনকি নিজেরা কম সিট পেলেও কিছু যায় আসে না। জমিদারী আদিম ঘৃণাটা না রাখলে যেন মান থাকে না।
এই ভাবে কখনো সুস্থ রাজনীতি বা গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব?
(২) মমতার ঘৃণাবাদি রাজনীতি যদি পশ্চিম বঙ্গকে ধ্বংশোদ্দ্যোত তলোয়ারের একদিক হয়-অন্যদিকটার নাম প্রকাশ কারাতের বালখিল্যতা। এই প্রকাশ কারাত আজ ঘোষনা করেছেন, কংগ্রেস বাদে আর যেকোন ধর্ম নিরেপেক্ষ জোটে তিনি আছেন। আপামর বাঙালী প্রশ্ন করতে পারে, কারাত কি এখনো ভাবেন, এই দেশের রাজনীতিটা দিল্লীর জেনিউ এর রাজনীতি? নইলে তার কথাটার মানে কি? কংগ্রেস এবং তার জ়োট সঙ্গীদের বাদ দিয়ে পড়ে রইল কে? জয়ললিতা, মায়াবতী আর চন্দ্রবাবু-যারা আগে বিজেপির দোশর ছিলেন। যৌবনে প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদের পর যেমন অনেক যুবা দাবীকরেন-বালিশের সাথে শোবে তাও বিয়ে করবে না-প্রকাশ কারাতের কথাবার্ত্তা সেই পর্যায়ের প্রলাপে চলে গেছে। কিন্তু ইউএস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়াল ডিল থেকে আজ পর্যন্ত, তার বালখিল্যতার খেসারত দিচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ। এবং সিপিএমের বাঙালী কমরেডরা রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষতি হচ্ছে দেখেও, তাদের জেনারেল সেক্রেটারীর ছেলেমানুষি সহ্য করে যাচ্ছেন। কারন প্রতিবাদ করলেই-সিপিএমে খেটে করা পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারটা একদিনে ধ্বংশ হবে। এই দিল্লীনিবাসী নেতার ছেলেমানুষি আর কতদিন তারা সহ্য করবেন-সেটা তারাই ঠিক করুন। আমরা কিন্ত দেখতে পাচ্ছি-প্রকাশ কারাতের ক্রীতদাসত্ব স্বীকার করে পশ্চিম বঙ্গের চূড়ান্ত ক্ষতি করছেন কমরেডরা সেই ইউ-এস ইন্ডিয়া নিউক্লিয়ার ডিল থেকেই।
অবশ্য পলাশী যুদ্ধের আগে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দফতরে লর্ড ক্লাইভের লেখা চিঠি মনে পড়ে গেল। ক্লাইভ লিখেছিলেন, এই বাঙালীদের কোন জাতিগর্ব নেই, এরা নিজেদের কোন্দলে বেশী মগ্ন এবং অন্যের দাসত্ব স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত। আড়াইশো বছর অতিক্রান্ত-বাঙালী আজও অপরিবর্তিত।
No comments:
Post a Comment