Wednesday, March 4, 2009
মমতা আগে থেকেই পার্থী দিচ্ছেন কেন?
টাটা বিদায় থেকে বাঙালীর রাহুর দশা অব্যাহত। আজই শোনা গেল-কাটোয়ার বর্তমান এম পি আবু আয়েশ মন্ডল সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন। কারন তাকে টিকিট দেয় নি সিপিএম। কারা আজকাল সিপিএমে থাকে এই ঘটনায় আরো পরিস্কার হচ্ছে-যেখানে এতদিনের এক সদস্য রাত বদলিয়ে তৃণমুলে আসতে লজ্জা পান না। পাশাপাশি এটাও ঠিক নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরে জমি বাঁচানোর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল একটি বাম চরিত্র পেয়েছে -ফলে অনেক প্রখ্যাত বাম ব্যাক্তিত্ব এখন তৃণমূলের সাথে। সেইজন্যে তৃণমূল এখণ বামেদের কাছে অচ্ছুৎ নয়। এর ফলে আপাতত সব থেকে বেশী ক্ষতি পি ডি এসের। কিন্ত পাশাপাশি এটাও ঠিক এখন রাজ্য রাজনীতি যে অবস্থায়-সেখানে সিপিএম এবং সিপিএম বিরোধি-এর বাইরে কোন সুস্থ পথ দাঁড় করানো মুশকিল। সিপিএম ক্ষমতা থেকে না গেলে সেটা হবে বলে মনে হয় না। সেই সুযোগ সমাগত। সিপিএমের যদু বংশ এখন মুশল পর্বে। সিটুর সাথে ডি ওয়াই এফ আই, সিটুর সাথে পার্টির মারামারি নিত্যদিনের ঘটনা। যে কয়েক এখনো সৎ এবং আদর্শবাদি নেতা সিপিএমে আছেন-তারা সিপিএম করতে ভয় পাচ্ছেন।
চোখ কান বুঁজে এইসব ধান্দাবাজ কমরেডদের নোংরামো সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন-নইলে হয়ত প্রাণেই মেরে ফেলবে তাদের প্রমোটারিতে বাধা দিতে গেলে। স্বার্থন্বেষী যদুকুল যে মুশল যুদ্ধ শুরু করেছে নিজেদের ধ্বংশ করার জন্যে সেই দেখে এক সিপিএম নেতা ব্যাক্তিগত ভাবে সেদিন বললেন এর থেকে এবার হারা ভাল। এই সব বেনোজল দূর হবে। নইলে আজকাল পার্টি অফিসে যেতেও তার মতন চল্লিশ বছর ধরে সিপিএম করা সৎ নেতারা ভয় পাচ্ছেন। সবাইত আর আবু মন্ডলের মতন পরের দিন তৃণমূলে যোগ দিতে পারবে না।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিরোধিরা এর সুযোগ নিতে পারবে কি? যতদিন মমতা বিরোধি নেত্রী? ৮০-৯৬ সিপিএম টিকেছে কংগ্রেসের কোন্দলের জন্য। '৯৬ থেকে সিপিএম টিকেছে মমতার জন্যে। গত কয়েকমাসে খেলাটা ঘুরে গেল। কেন? কারন সিপিএমের হাত থেকে মুক্তি পেতে জনগন উদ্গ্রীব। পুলিশ, পার্টি, প্রশাসন দিয়ে ঘিরে সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে, তাদের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সিপিএম যে চক্রবূহ্য তৈরী করেছে-তার থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে সর্বত্র। মমতার বদলে প্রণব মুখার্জী বা প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সির মতন কেও বিরোধি নেতৃত্বে থাকলে এটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু সেরকম কিছু হয় নি-দিল্লীর দিকে চাতক পাখীর মতন চেয়ে রাজ্যে সিপিএম বিরোধি আন্দোলনকে উপেক্ষা করেছে কংগ্রেস। ফসল তুলেছেন মমতা। সেই আন্দোলনে পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি হয়েছে অনেক-কিন্তু লাভ হয়েছে মমতার। মমতা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। এই জায়গায় হেরে গেছে পি ডিএস, এস উ সি আই। কংগ্রেস। রাজ্যের লোক সিপিএমের লোকেদের হাতে নিস্পেষিত হয়ে এখন মুক্তি চাইছে সব কিছু ছেড়ে-এই মারাত্মক অবস্থানই রাজ্যের কাল-কিন্ত কি আর করা যাবে-স্বাধীনতা হীনতায় কে আর বাঁচতে চাই!
মমতা এই সুযোগে সবাইকে বসিয়ে দিচ্ছেন। সে গণতান্ত্রিক অধিকার তার আছে। কংগ্রেস কৃষ্ণ নগরে মহুয়া মৈত্রকে দাঁড় করানোর কথা ঘোষনা করতেই সেখানে তাপস পাল এসে গেল! বেচারী মহুয়া বিদেশের চাকরী ছেড়ে দেশ সেবা করতে এসে হারে হারে বুঝছে দিদি কি চীজ। রাহুল দর্শন না করে একবার কালীঘাটে দেবী দর্শন করলে এই হাল হত না বোধ হয়। মমতার হাতেই সব -কংগ্রেসের উত্তর বঙ্গ ছাড়া কিছুই নেই।
কিন্তু সেটাও ঠিক না। কংগ্রেসের আসল জিনিস আছে। সেটা হচ্ছে ভোটে জেতার জন্যে টাকা। সেটা তৃণমূলের নেই। ফলে কংগ্রেসের ওপর তৃণমূলকে নির্ভর করতেই হবে। কংগ্রেস বুদ্ধিমানের কাজ করছে। শুধ যেসব আসনে বিরোধিদের জেতার আশা এবার খুব বেশী সেগুলোই নিচ্ছে। কৃষ্ণ নগরে ভোট ভাগ না হলে বিরোধিরা জিতবেই।
তৃণমূল তাপস, শতাব্দি, সুমনকে আনতে চাইছে। তীব্র বিরোধিতা করছি পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিকে তামিলনাডু বানাবার জন্যে। তবে ফিল্ম স্টাররা এখানে খোরাক। তাদের পক্ষে ফিল্ম ছেড়ে নিজের এলাকা দেখভাল করা সম্ভব নয়। পশ্চিম বঙ্গের লোক তার থেকে অনেক বেশী রাজনীতি সচেতন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
sumanke eki tapas shatabdi-r sathe eki bracket-e rakha ki sangato holo? sumaner rajnaitik prekkhittaake ki upekkha kara jai? naki bajari kagoj-guli jebhebe sumaner prarthi hoata k jst "chamok" hisebe dekhte chaichhe,setar dwara-i bip-baabur mulyayan-ti prerito
ReplyDelete